অপরাধ ও আইনপ্রধান সংবাদ

দিহানের সিসিটিভিতে যা পাওয়া গেল

স্টাফ রিপোর্টার:
মাস্টারমাইন্ড স্কুলের ‘ও’ লেভেলের শিক্ষার্থী আনুশকা নূর আমিনকে ধর্ষণ ও খুনের দায়ে গ্রেফতার করা হয়েছে ইফতেখার ফারদিন দিহানকে। আর এ ঘটনায় আটক করে পুলিশ হেফাজতে নেওয়া হয়েছে দিহানের কলাবাগান বাসার দারোয়ান দুলালকেও। উদ্ধার করা হয়েছে বাসাটির সিসি ক্যামেরার ফুটেজ।

মঙ্গলবার দুপুরে রমনা জোনের উপপুলিশ কমিশনার (ডিসি) সাজ্জাদ হোসেন গণমাধ্যমকে বলেন, তদন্তের স্বার্থে ওই বাসার সিসি ক্যামেরার ফুটেজেসহ অনেক কিছুই জব্দ করা হয়েছে।

সিসি ক্যামেরার ফুটেজ বিশ্লেষণ করে দেখা যায়, সেদিন বাসাটিতে প্রায় দেড় ঘণ্টা অবস্থান করছিল আনুশকাহ।

এ সময় রহস্যজনক গতিবিধির উপস্থিতি পাওয়া গেছে তিন ব্যক্তির। পুলিশের ধারণা, সর্বগ্রাসী মাদকের পরিণতিতেই এমন ঘটনা ঘটতে পারে।

সিসিটিভি বিশ্লেষণ করে পুলিশ আরও জানায়, ঘটনার দিন দুপুর ১২টা ১২ মিনিটে ধর্ষণ ও হত‌্যার শিকার ওই শিক্ষার্থী প্রবেশ করে। বাসার সিঁড়ি ঘরের দিকে সে যায়। দুপুর ১টার দিকে বাসার সামনে তিন ব্যক্তির রহস্যজনক গতিবিধি লক্ষ্য করা যায়। ১টা ৩৬ মিনিটে গাড়িতে করে দিহান বাসা থেকে বের হন। ওই তিন ব্যক্তি বাসার সামনে নজরদারি করেন।

পুলিশ আরও জানায়, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ওই তিনজনের দেয়া তথ‌্য ও আটক দিহানের বাসার দারোয়ান দুলালের দেয়া তথ‌্যের মিল রয়েছে। তদন্তের স্বার্থে প্রয়োজনে তাদের আবারও জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে।

গত ৭ জানুয়ারি দুপুরে দিহান ওই ছাত্রীকে মৃত অবস্থায় আনোয়ার খান মডার্ন মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যান। তখন কিশোরীর প্রচুর রক্তক্ষরণ হচ্ছিল। খবর পেয়ে দিহানের তিন বন্ধু হাসপাতালে গেলে পুলিশ তাদের হেফাজতে নেয়। বৃহস্পতিবার গভীর রাতে স্কুলছাত্রীর বাবা বাদী হয়ে কলাবাগান থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা করেন। মামলার একমাত্র আসামি করা হয় দিহানকে। যেখানে স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণের পর হত্যার অভিযোগ আনা হয়।

চিত্রদেশ//এলএইচ//

 

Related Articles

Back to top button