![](https://chitrodesh.com/wp-content/uploads/2020/02/book-fair-22.jpg)
জমে উঠছে বাঙালির প্রাণের মেলা ‘অমর একুশে বইমেলা ২০২০’। প্রথম ৫ দিনের তুলনায় আজ ষষ্ঠ দিনে বইপ্রেমী, দর্শনার্থী ও ক্রেতার ভিড় বেড়েছে।
প্রকাশকরা বলছেন, আজ শুক্রবার, মেলা শুরু হওয়ার প্রথম ছুটির দিন, এ ছাড়া সকালে ছিল শিশু প্রহর, তাই মেলায় দর্শনার্থী, ক্রেতা বেশি।
মেলায় আগতরা এ স্টল থেকে ও স্টলে ঘুরছেন। দেখছেন নিজের প্রিয় লেখকসহ নতুন বই। পছন্দমতো কিনছেন বইও। অনেকে আবার দল বেঁধে আসছেন, দেখেশুনে আবার চলে যাচ্ছেন।
স্টলকর্মীদের আশা, আর কিছু দিন পর থেকে পুরো জমে উঠবে মেলা।
‘কথাপ্রকাশ’ স্টলের বিক্রয় প্রতিনিধি সাজ্জাদ হোসেন বলেন, শুরু হওয়ার পর থেকে গত পাঁচ দিন খুব বেশি ক্রেতা, দর্শনার্থীর ভিড় ছিল না। কিন্তু আজ শুক্রবার, প্রথম ছুটির দিন হওয়ায় লোকসমাগম চোখে পড়ার মতো। গত কয়েকদিনের তুলনায় বেচা-বিক্রিও বেড়েছে আজ। আশা করা যায়, দিন যত যাবে তত মানুষের ভিড় বাড়তে থাকবে।
গত ২ ফেব্রুয়ারি এ মেলার উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বাংলা একাডেমি ও সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের প্রায় ৮ লাখ বর্গফুট জায়গায় অনুষ্ঠিত হচ্ছে এবারের মেলা। এবার পুরো মেলা প্রাঙ্গণে মুজিববর্ষ উদযাপনের ছোঁয়া লেগেছে। নান্দনিক করা হয়েছে মেলা প্রাঙ্গণ।
মেলায় বাংলা একাডেমি প্রাঙ্গণে ১২৬টি প্রতিষ্ঠানকে ১৭৯টি স্টল ও সোহরাওয়ার্দী উদ্যান অংশে ৪৩৪টি প্রতিষ্ঠানকে ৬৯৪টি স্টলসহ মোট ৫৬০টি প্রতিষ্ঠানকে ৮৭৩টি স্টল বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। এ ছাড়া বাংলা একাডেমিসহ ৩৩টি প্রকাশনা প্রতিষ্ঠানকে ৩৪টি প্যাভিলিয়ন বরাদ্দ দেয়া হয়েছে।
লিটল ম্যাগাজিন চত্বর স্থানান্তরিত হয়েছে সোহরাওয়ার্দী উদ্যান অংশে। লিটল ম্যাগাজিনকে ১৫২টি স্টল বরাদ্দ ছাড়াও ছয়টি উন্মুক্ত স্টল রাখা হয়েছে।
২৯ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত চলবে এ মেলা। ছুটির দিন ছাড়া প্রতিদিন বিকেল ৩টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত খোলা থাকবে মেলা। ছুটির দিন মেলা খোলা থাকবে বেলা ১১টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত। ২১ ফেব্রুয়ারি সকাল ৮টা থেকে রাত সাড়ে ৮টা পর্যন্ত মেলা খোলা থাকবে।
প্রতিদিন বিকেল ৪টায় মেলার মূলমঞ্চে সেমিনার হবে। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবর্ষ উদযাপন উপলক্ষে জাতির পিতাকে নিয়ে ২৫টি বই প্রকাশ করেছে বাংলা একাডেমি। নতুন এসব বই নিয়েও আলোচনা হবে। এ ছাড়া প্রতিদিন সন্ধ্যায় থাকছে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান।
চিত্রদেশ //এস//