ছাত্রলীগকে ‘মুরব্বি সংগঠন’ বললেন শেখ হাসিনা
স্টাফ রিপোর্টার:
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ছাত্রলীগকে মুরব্বি প্রতিষ্ঠান আখ্যা দিয়ে বলেছেন, ছাত্রলীগের ইতিহাস, বাঙালির ইতিহাস, বাংলার ইতিহাস। দেশের সব আন্দোলন সংগ্রামে এ সংগঠনটির অগ্রণী ভূমিকা ছিলো।
শনিবার ছাত্রলীগের ৭২তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী ও পুনর্মিলনী অনুষ্ঠান উদ্বোধন শেষে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। দুপুর আড়াইটার দিকে রাজধানীর ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে এ অনুষ্ঠানে যোগ দেন প্রধানমন্ত্রী।
বক্তব্যের এক পর্যায়ে তিনি রসিকতার সুরে বলেন, ছাত্রলীগ মুরব্বি প্রতিষ্ঠানের মতো। এটা আওয়ামী লীগের থেকে পুরনো সংগঠন। রাষ্ট্রভাষা বাংলার সংগ্রামে অগ্রণী ভূমিকা পালন করে এসেছে ছাত্রলীগ। তৎকালীন সময় পাকিস্তান সরকার বাংলায় কথা বলতে বাধা দিতে নারাজ ছিলো। তারা এমন একটা পরিকল্পনা করেছিলো যে, আরবি হরফ দিয়ে আমাদেরকে বাংলা লিখতে হবে।
ছাত্রলীগের সংগ্রামের স্মতিচারণ করে তিনি বলেন, ছাত্রলীগকে দিয়েই সংগ্রাম শুরু করেছিলেন জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। সব আন্দোলনের এ সংগঠনের অগ্রণী ভূমিকা ছিলো। ১৯৫৮ সালে সামরিক আইন জারি হলে দেশে সব ধরনের রাজনীতি নিষিদ্ধ ছিলো। বঙ্গবন্ধু ওই সময় কারাগারে বসেই সিদ্ধান্ত নেন যেভাবেই হোক এ অবস্থা থেকে দেশের মানুষকে মুক্ত করতে হবে। ১৯৬০ সালে তিনি মুক্তি পেলেও ঢাকার বাইরে যাওয়া তার নিষেধ ছিল। তখন তিনি সারা দেশে ছাত্রলীগকে সংঘবদ্ধ হওয়ার নির্দেশ দেন।
বাঙ্গালির মুক্তি চেতনা এবং তাদের জাগ্রত করার কাজ শুরু করেছিলেন জাতির পিতা। আর এ ক্ষেত্রে অগ্রণী ভুমিকা পালন করে ছাত্রলীগ। ৬ দফা দেয়ার সাথে সাথে তিনি ‘জয় বাঙলা স্লোগান মাঠে নিয়ে যাওয়া, মানুষের মাঝে ছড়িয়ে দেয়ার দায়িত্ব দিয়েছিলেন ছাত্রলীগকে। বাংলাদেশ স্বাধীন হলে পতাকা কেমন হবে, যে নির্দেশ দিয়েছিল ছাত্রলীগকে।
প্রধানমন্ত্রী স্মৃতিচারণ করে বলেন, ১৯৬৮ সালে কারাগার থেকে বঙ্গবন্ধুকে মুক্তি দিয়ে ঢাকা ক্যানটমেন্টে নিয়ে যাওয়া হয়। যখন আগরতলা মামলার বিচার শুরু হয় তখন আমরা পরিবারের কয়েকজন সদস্য সেখানে গিয়ে জানতে পারি তিনি বেঁচে আছেন। ছাত্ররা যে আন্দোলন শুরু করেছিলেন তাতে সবচেয়ে বেশি সহযোগিতা করেছিলেন আমার মা। তিনি গোপনে ছাত্রলীগকে নির্দেশনা দিতেন। বিভিন্ন পরামর্শ দিতেন।
চিত্রদেশ//এস/