গল্প-কবিতা

কানিজ কাদীরের ভ্রমণ কাহিনী-‘মাদুরাই’ (২য় পর্ব)

আমি মালডিভিনী ইন্টারন্যাশনাল এয়ার লাইন্সে উঠেছি চেন্নাই আসার জন্য । আমার দুইপাশে বসেছে একজন ১৫-১৬ বছরের ছেলে ও আর একজন ৩৫-৪০ বছরের লোক যে মালদ্বীপ থাকে বেশ ক’বছর হলো।সেখানে সে চাকরি করে। কিশোর ছেলেটি মালদ্বীপ যাচ্ছে মালির কাজ করার জন্য। বেতন পাবে ২৫ হাজার টাকা। আমার ডান পাশের লোকটি আমাকে নানাভাবে হেল্প করার চেষ্টা করলো। ওরা খুব অল্প শিক্ষিত হলেও ওদের সাথে গল্প করতে করতেই তিন ঘন্টা পার করে দিলাম। প্লেনে আমার তেমন অসুবিধা হলো না।শুধু মাত্র কানে টিনিটাস ছাড়া।

ইন্ডিয়ান টাইম সন্ধ্যা ৬টার দিকে চেন্নাই এয়ারপোর্ট এ পৌছলাম। আমার সাথে বাংলাদেশের আর একটি মহিলা নামলো। আমি আমার লাগেজ বুঝে নিয়ে এয়ারপোর্টের বাইরে আসলাম। বাইরে এসেই দেখি ড্রাইভার আমার নাম লেখা কার্ড নিয়ে দাঁড়িয়ে আছে।ড্রাইভারটা বেশ ভালো। আমার লাগেজ নিয়ে গাড়িতে উঠালো। আমি গাড়িতে উঠলাম। ড্রাইভারের সাথে ইংরেজীতে কথা বলতে বলতে আসলাম হোটেলে। চেন্নাই শহরটা অনেক বড় মনে হলো। বেশ ভাল লাগলো। বিশাল বড় ফ্লাইওভার পার হয়ে আসছিলাম। চারিদিকে বড় বড় গাছপালা। লোকজন মটর সাইকেলে বেশি চলাচল করছিল। মনে হচ্ছিল আমি ঢাকা শহর দিয়েই যাচ্ছি। কিন্তু চেন্নাই শহরকে অনেক বেশি স্পেসিয়াস মনে হচ্ছিল। বেশ কিছু মুসলিম মেয়েও দেখলাম যারা হিজাব পরে মটর সাইকেলে যাচ্ছিল। ড্রাইভারকে অনেক কিছু জিজ্ঞেস করলাম। জানতে পারলাম চেন্নাই তামিল নাড়ুর রাজধানী।এখানের লোকজন তামিল ভাষায় কথা বলে।

ড্রাইভার খুব ভাল ড্রাইভ করে আমাকে রাধা রিজেন্ট হোটেলে নিয়ে এল। আমি রিসিপশন এ যেয়ে বললাম।’ আই অ্যাম ড: কানিজ ফ্রম বাংলাদেশ’ । ডেস্কে একজন মহিলা ছিল। সে আমার কাছে হোটেল বুকিং এর কাগজ চাইল। আমি বের করে দিলাম। ইতিমধ্যে হোটেলের ম্যনেজার এসে আমার সাথে কথা বললো। আমাকে একজন ছেলে দিয়ে ৩ তলায় একটা ডাবল বেডের রুম বুঝিয়ে দিল।

(চলবে)

লেখক: কানিজ কাদীর

Related Articles

Back to top button