আন্তর্জাতিকপ্রধান সংবাদ

আইনি গ্যাঁড়াকলে গড়াচ্ছে ফলাফল?

আন্তর্জাতিক ডেস্ক:

আমেরিকায় প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের চূড়ান্ত ফলাফলের দিকে এখন সারা বিশ্বের নজর। ডোনাল্ড ট্রাম্প নিজেকে বিজয়ী ঘোষণা করেছেন এবং তার প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে নির্বাচনী জালিয়াতির অভিযোগ এনেছেন। জয়ের আশা কমতে থাকায় মামলার পথ বেছে নিয়েছেন ট্রাম্প। তিনি এ ব্যাপারে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হবেন বলে ঘোষণা দিয়েছেন। খবর বিবিসির।

যে দু:স্বপ্নের পরিস্থিতির আশঙ্কা অনেকেই করছিলেন, সেটিই এখন বাস্তবের দিকে এগুচ্ছে বলে মনে হচ্ছে, যা বিরোধীদের মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি করবে এবং দেশ একটা দীর্ঘ ও তিক্ত আইনি লড়াইয়ের দিকে নিয়ে যাবে। “আমরা এই নির্বাচনে জয়ের জন্য প্রস্তুতই ছিলাম। এবং সত্যি কথা বলতে কি, আমরা আসলেই জিতেছি,” ট্রাম্প জানান। তবে মামলা হলে কীভাবে তা সমাধান হবে?

দুই প্রার্থীই এখন ভোট পুনঃগণনার দাবি করতে পারেন, বিশেষ করে যেখানে ফলাফলের ব্যবধান খুবই কম হবে। এবছর যেহেতু অনেক বেশি ভোট পড়েছে ডাকযোগে, তাই এসব ডাকে পাঠানো ব্যালটের বৈধতা নিয়ে আদালতে প্রশ্ন তোলারও বিধান আমেরিকার আইনে রয়েছে।

দুই দলেরই প্রচারণা টিম থেকে জানানো হয়েছে নির্বাচনের পর আইনি লড়াইয়ের জন্য তারা ইতোমধ্যেই প্রস্তুতি শুরু করেছে। এবং দুই দলই আইনজীবীদের বড় দল তৈরি রেখেছে ভোট গণনা নিয়ে আইনি চ্যালেঞ্জ লড়ার জন্য। এইসব আইনি চ্যালেঞ্জ শেষ পর্যন্ত আমেরিকার সর্বোচ্চ আইনি কর্তৃপক্ষ সুপ্রিম কোর্ট পর্যন্ত গড়াতে পারে।

যেটা ঘটেছিল ২০০০ সালের নির্বাচনে, যখন প্রেসিডেন্ট পদের জন্য প্রার্থী ছিলেন রিপাবলিকান দলের জর্জ ডাব্লিউ বুশ এবং ডেমোক্র্যাট আল গোর এবং ফ্লোরিডায় ভোট পুনর্গণনার আবেদন সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে বন্ধ হয়ে যায় এবং বিজয়ী ঘোষণা করা হয় বুশকে।

দেশটির কেন্দ্রীয় নির্বাচন কমিশনের প্রধান এলেন ওয়েইনট্রাউব এবারের নির্বাচনের আগে বলেন: “ডাকযোগে ভোটদানে জালিয়াতি বা প্রতারণার সুযোগ আছে বলে যে ষড়যন্ত্র তত্ত্ব ছড়ানো হচ্ছে তা পুরোপুরি ভিত্তিহীন।”

প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের এই লড়াই শেষ পর্যন্ত যদি আদালতে গড়ায়, তাহলে সেটা বেশ দীর্ঘ সময় ধরে চলতে পারে এবং নানাধরনের জটিলতা তৈরি করতে পারে। কিন্তু ফলাফল নির্ধারণী ব্যাটলগ্রাউন্ড রাজ্যগুলোতে যদি ফলাফলের ব্যবধান খুবই কম হয়, তাহলে আইনি চ্যালেঞ্জের সম্ভাবনা খুবই বেশি বলে বিশ্লেষকরা মনে করছেন।

চিত্রদেশ//এস//

Related Articles

Back to top button