বঙ্গবন্ধু বিপিএলের উদ্বোধন আজ
স্টাফ রিপোর্টার:
বঙ্গবন্ধু বিপিএলের জমকালো উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সবচেয়ে বড় আকর্ষণ আজ দুই বলিউড তারকা সালমান খান ও ক্যাটরিনা কাইফ। দু’জনই আজ চার্টার্ড বিমানে বাংলাদেশে আসছেন। শনিবারই চলে এসেছেন ভারতের জনপ্রিয় কণ্ঠশিল্পী কৈলাস খের। গত কয়েকদিন মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়ামে মঞ্চ তৈরি ও সাজসজ্জার কাজ চলেছে। সবকিছু ঠিকঠাক আছে কিনা সেটা পরীক্ষার জন্য কাল সন্ধ্যায় মঞ্চে লাইট শো’ও হয়ে গেছে। প্রস্তুতি পর্ব শেষ। আর মাত্র কয়েক ঘণ্টা, এরপরই পর্দা উঠবে বঙ্গবন্ধুর নামে এবারের বিশেষ বিপিএলের। উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তবে বিপিএলের মাঠের খেলা শুরু হবে বুধবার।
আগামী বছর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষে ক্রীড়াঙ্গনে বিশাল আয়োজন করা হয়েছে। প্রতিটি ফেডারেশনই স্থানীয় ও আন্তর্জাতিক টুর্নামেন্ট আয়োজন করছে। এজন্য সবাই সরকারি বাজেটের জন্য চাহিদাপত্রও জমা দিয়েছে। বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি) বিপিএল দিয়েই সবার আগে বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী পালন শুরু করছে। বিসিবি এজন্য সরকার থেকে কোনো আর্থিক সাহায্য নিচ্ছে না।
সালমান খান ও ক্যাটরিনাকে দেখার জন্য সর্বনিম্ন এক হাজার ও সর্বোচ্চ ১০ হাজার টাকা দিয়ে টিকিট কাটতে হয়েছে দর্শকদের। আজ সঙ্গীতশিল্পীদের অনুষ্ঠান শুরু হবে বিকেল ৫টায়। সব মিলিয়ে দেশি-বিদেশি আট তারকা সামনে থেকে মঞ্চ মাতাবেন। তাদের সঙ্গে থাকছেন সহশিল্পীরাও। ছয় ঘণ্টার বেশি সময় ধরে চলবে উদ্বোধনী অনুষ্ঠান। সবার শেষে একসঙ্গে পারফর্ম করবেন ক্যাটরিনা ও সালমান। তার আগে তারা আলাদাভাবে সহশিল্পীদের নিয়ে বিপিএলের উদ্বোধনী অনুষ্ঠান মাতাবেন। সালমানদের আগে গান গাইবেন কৈলাস খের ও সনু নিগম।
সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে প্রধানমন্ত্রী টুর্নামেন্টের উদ্বোধন করবেন। উদ্বোধনের জন্য প্রেসিডেন্ট বক্সের নিচে আলাদা ব্যালকনি তৈরি করা হয়েছে। সেখান থেকেই উদ্বোধন ঘোষণা করবেন প্রধানমন্ত্রী। তার আগেই শেষ হবে দেশি শিল্পীদের পরিবেশনা। দেশি সঙ্গীতশিল্পীদের মধ্যে থাকছেন মমতাজ, জেমস, রেশমি মির্জা ও মহিদুল ইসলাম খান। এছাড়া প্রধানমন্ত্রী উদ্বোধন করার পর ফায়ারওয়ার্কস এবং লেজার বিম শো অনুষ্ঠিত হবে। বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান মনে করছেন, এবার বিপিএলের ইতিহাসে সবচেয়ে আকর্ষণীয় উদ্বোধনী অনুষ্ঠান হবে।
বিশেষ এ বিপিএলে কোনো ফ্র্যাঞ্চাইজি নেই। বিসিবিই আয়োজন করছে টুর্নামেন্ট। সাতটি দলই বিসিবির নিয়ন্ত্রণে থাকবে। এজন্য প্রতিটি দলের সঙ্গে একজন করে বোর্ড পরিচালক রাখা হয়েছে। অবশ্য স্পন্সর প্রতিষ্ঠানকে দল চালানোর জন্য যথেষ্ট ক্ষমতা দেয়া হয়েছে। এরইমধ্যে দলগুলো অনুশীলন শুরু করেছে। বিদেশি কোচ ও ক্রিকেটাররা আসাও শুরু করেছেন। ১১ ডিসেম্বর মিরপুরে উদ্বোধনী ম্যাচে চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স ও সিলেট থান্ডার মুখোমুখি হবে।
চিত্রদেশ//এস//