মে থেকে বাংলাদেশে কমতে শুরু করবে করোনা, ১৫ জুলাই শেষ!
স্টাফ রিপোর্টার:
বিশ্বের ৭০০ কোটিরও বেশি মানুষের মনে এখন একটাই প্রশ্ন- কবে শেষ হবে করোনাভাইরাস মহামারী। ইতিমধ্যে দুই লাখেরও বেশি মানুষ মারা গেছেন, সংক্রমিত হয়েছেন ২৯ লাখের বেশি। দিন দিন বেড়েই চলছে এর মাত্রা।
প্রাণঘাতী এই করোনা নিয়ে সবার এখন একটিই প্রশ্ন- করোনা শেষ হতে কতদিন লাগবে? আর মানুষ কবে নাগাদ তাদের স্বাভাবিক দৈনন্দিন জীবনে ফিরতে পারবে?
এর মধ্যে আশার বাণী শোনালেন সিঙ্গাপুর ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজি অ্যান্ড ডিজাইনের (এসইউটিডি) ডাটা ড্রাইভেন ইনোভেশন ল্যাবের গবেষকরা।
রোববার বিশ্বের বিভিন্ন দেশ কবে নাগাদ করোনাভাইরাস মুক্ত হবে তার একটি অনুমানভিত্তিক পরিসংখ্যান প্রকাশ করেছেন তারা। করোনার বিদায়ের দিনক্ষণের বিষয়ে এমন পূর্বাভাস এটিই প্রথম বলে জানা গেছে।
এতে বাংলাদেশ থেকে করোনাভাইরাস পুরোপুরি বিদায় নিতে ১৫ জুলাই পর্যন্ত সময় গড়াতে পারে বলে পূর্বাভাস দিয়েছেন গবেষকরা।
পরিসংখ্যানে বলা হয়, ১৯ মের মধ্যে বাংলাদেশে ভাইরাসটি ৯৭ শতাংশ এবং ৩০ মের মধ্যে ৯৯ শতাংশ বিলীন হয়ে যাবে। ভাইরাসটির পুরোপুরি বিদায় নিতে ১৫ জুলাই পর্যন্ত সময় গড়াতে পারে।
এতে আরও বলা হয়, গত ১১ এপ্রিল থেকে বিশ্বব্যাপী করোনাভাইরাসের সংক্রমণ কমতে শুরু করেছে। আগামী ২৯ মের মধ্যে ৯৭ শতাংশ, ১৭ জুনের মধ্যে ৯৯ শতাংশ এবং চলতি বছরের ৮ ডিসেম্বরের মধ্যে বিশ্ব শতভাগ করোনাভাইরাস মুক্ত হবে বলে অনুমান করা হয়।
এদিকে গতকাল করোনা শনাক্তের ৫০তম দিন পার করেছে বাংলাদেশ। দিনটিতে চীন-ইতালি-স্পেন-যুক্তরাজ্যের চেয়ে ভালো হলেও যুক্তরাষ্ট্র-ভারতের চেয়ে খারাপ অবস্থায় রয়েছে বাংলাদেশের।
আক্রান্তদের একটি বড় অংশ স্বাস্থ্যকর্মী, পুলিশ ও বিভিন্ন জরুরি সেবাকর্মী বলে জানিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদফতর।
রোববার নিয়মিত স্বাস্থ্য বুলেটিনে অধিদফতরটি জানায়, দেশে করোনা শনাক্তের ৫০তম দিনে মোট আক্রান্ত সাড়ে ৫ হাজার, মোট মৃত্যু ১৪৫ ও সুস্থ হয়ে ফিরেছেন ১২২ জন।
এদিন দুপুর পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় নতুন আক্রান্ত হয়েছেন ৪১৮ এবং মৃত্যুবরণ করেছেন ৫ জন। এছাড়াও সুস্থ হয়েছেন ৯ জন।
তবে বিশ্লেষণ বলছে, এ সময়ে চীন-ইতালি-স্পেন-যুক্তরাজ্যের চেয়ে বাংলাদেশের পরিস্থিতি অনেক ভালো হলেও যুক্তরাষ্ট্র এবং ভারতের চেয়ে অনেক খারাপ।
বাংলাদেশে প্রথম করোনা শনাক্ত হয় ৮ মার্চ। সে হিসেবে ৫০তম দিনে মোট আক্রান্ত ৫ হাজার ৪১৬ জন, আর মোট মৃত্যু ১৪৫।
চীনে ৫০ দিনের মাথায় আক্রান্ত ছিল ৭৪ হাজার ৫৭৬ জন, মৃত্যু দুই হাজার ১১৮ জন, ইতালিতে আক্রান্ত ছিল ৫৩ হাজার ৫৭৮, মৃত্যু ছিল চার হাজার ৮২৫ জনের, স্পেনে ২৫ হাজার ৪৯৬ আক্রান্ত ছিল আর মৃত্যু সংখ্যা ছিল এক হাজার ৩৮১ জন।
যুক্তরাজ্যে ৫০তম দিনে মোট আক্রান্ত ছিল পাঁচ হাজার ১৮ জন, আর সে সময়ে ২৩৩ জনের মৃত্যু হয়েছিল।
শনাক্তের অর্ধশততম দিনে যুক্তরাষ্ট্রে আক্রান্ত হয়েছিলেন মাত্র ২২১ জন, আর মুত্যু ছিল ১২ জনের। পাশের দেশ ভারতে এই সময়ে আক্রান্তের সংখ্যা ছিল ২৪৯, মৃত্যু ৫ জনের।
শনাক্তের ৫০তম দিনে বাংলাদেশে আক্রান্ত এবং মৃত্যু যুক্তরাষ্ট্র এবং ভারতের চেয়ে বেশি। যুক্তরাজ্যের চেয়ে আক্রান্ত সংখ্যা একটু বেশি হলেও মৃত্যু সংখ্যা কম।
তবে চীন-ইতালি-স্পেনের চেয়ে সবদিক থেকেই বাংলাদেশের অবস্থা ভালো।
চিত্রদেশ//এস//