অর্থ-বাণিজ্যপ্রধান সংবাদ

সরবরাহ স্বাভাবিক থাকার পরেও বাড়ছে নিত্যপণ্যের দাম

স্টাফ রিপোর্টার :
প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে করোনা পরিস্থিতি ও রমজানে নিত্যপণ্যের দাম ভোক্তা সহনীয় রাখতে একাধিক সংস্থা বাজার তদারকি করছে। কাজ করছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের মনিটরিং সেল। সরবরাহ ও আমদানি স্বাভাবিক। কিন্তু তারপরেও সব কিছুকে বৃদ্ধাঙ্গুলী দেখিয়ে অসাধুরা পণ্যের দাম বাড়িয়েই চলছে। এরই মধ্যে কয়েক ধাপে বেড়েছে একাধিক পণ্যের দাম।

সরবরাহ সংকটের অযুহাত দেখিয়ে রমজানকে সামনে রেখে চাল থেকে শুরু করে ডাল, ভোজ্যতেল, পেঁয়াজ, মরিচ, আদা-রসুন, চিনি এমনকি রমজানে অতি ব্যবহৃত পণ্য ছোলা ও খেজুরের দাম বাড়ানো হয়েছে। বিদ্যমান পরিস্থিতিতে এসব পণ্য কিনতে সাধারণ মানুষ দিশেহারা হয়ে পড়েছেন।

সরকারি সংস্থা ট্রেডিং কর্পোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) সোমবারের তথ্য মতে, গত এক সপ্তাহে প্রতি কেজি মাঝারি আকারের মশুর ডালের দাম বেড়েছে ২৩ দশমিক ৫৩ শতাংশ। সাত দিনে কেজিতে পেঁয়াজের দাম বেড়েছে ২১ দশমিক ০৫ শতাংশ। সপ্তাহের ব্যবধানে প্রতি কেজি আদার দাম বেড়েছে ১৮ দশমিক ১৮ শতাংশ। রসুনের দাম বেড়েছে ২০ শতাংশ। মাসের ব্যবধানে কেজিতে ছোলার দাম বেড়েছে ৬ দশমিক ৯০ শতাংশ। প্রতিকেজি চিনিতে দাম বেড়েছে ৩ দশমিক ৭০ শতাংশ। এছাড়া কেজিতে ৯ দশমিক ৯ শতাংশ বেড়েছে খেজুরের দাম।

জানতে চাইলে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের মনিটরিং সেলের সদস্য ও জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক মো. আব্দুল জব্বার মন্ডল গণমাধ্যমকে বলেন, প্রতিদিন বাজার তদারকি করা হচ্ছে। যেসব পণ্যের দাম বাড়ানো হয়েছে, তা কোন কারণে বেড়েছে তা আমরা খতিয়ে দেখছি। কোনো ধরনের অনিয়ম পেলে আইনের আওতায় আনা হচ্ছে। কাউকেই ছাড় দেয়া হচ্ছে না।

এদিকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা করোনা পরিস্থিতি ও রমজানে নিত্যপণ্যের দাম ভোক্তা সহনীয় রাখতে সংশ্লিষ্টদের বারবার নজর রাখতে বলেছেন। রাজধানীসহ সারা দেশে টিসিবির মাধ্যমে ভর্তুকি মূল্যে পণ্য বিক্রি অব্যহত রাখা হয়েছে। এর পরে অসাধুরা পণ্যের দাম বাড়িয়ে চলছে।

 

চিত্রদেশ//এস//

Related Articles

Back to top button