বইমেলায় রাইসুল আলম জন এর নতুন উপন্যাস ‘আঁধারের ফেরারি’
লাবণ্য হক:
অমর একুশের বইমেলায় এসেছে রাইসুল আলম জন এর নতুন উপন্যাস ‘আঁধারের ফেরারি’ । বইমেলার সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের পারিজাত প্রকাশনীর ৩৫১-৩৫২ নম্বর স্টলে বইটি পাওয়া যাচ্ছে। বইটির প্রচ্ছদ করেছেন সোহানুর রহমান অনন্ত। বইটির মূল্য : ২৫০
লেখক রাইসুল আলম জন এর এটি তৃতীয় গ্রন্থ। তার লেখা প্রথম কাব্যগ্রন্থ ‘এবং ভালোবাসা ‘ ২০১৯ সালে পারিজাত প্রকাশনী থেকে প্রকাশিত হয় । লেখকের প্রথম উপন্যাসের নাম ‘অচিন পরশি’। ।
রাইসুল আলম জন। জন্মগ্রহণ করেন ৬ জুন ১৯৮৮ সালে। তার পিতা মৃত আব্দুস সাত্তার, মাতা রানী পারভিন আলম। লেখকের লেখালেখির অভ্যাসটা চেপে ধরেছিল স্কুল জীবন থেকে। কবিতা লেখার মাধ্যমে নিজেকে প্রকাশ করেন দিনাজপুরের লোকাল পত্রিকায়। সাহিত্যের বিশদে মনোনিবেশ করে বেঁচে থাকতে চান সারাজীবন। মায়ের উৎসাহ এবং অনুপ্রেরণায় সাহিত্য চর্চা করা। সময় পেলেই বসে পরেন কবিতা লিখতে। তার স্বপ্ন লেখার মাধ্যমে চিরকাল মানুষের মনে স্থান করে নেওয়ার।
আঁধারের ফেরারি’ উপন্যাসের কাহিনীর সার সংক্ষেপ:
কিসের যেন আওয়াজ!! ভয় ভয় রাত, ঝুপ ঝুপ অন্ধকার, আকারের বিলুপ্ত দুজনের মাঝে আরও একজন অচেনা কেউ। কই!! কোথাও কেউ নেই। আছে ভয়, ভয়ের হৃদ স্পন্দন। আঁধারে ছুটে বেড়ানো একজনের সঙ্গী। কে সে?
আমি হারুন। মন্ডুটা এখনও নিখোঁজ। একা একা ঘুরে বেড়াচ্ছি নিঃশব্দ পথে। আর ওরা আনন্দের সাথে তাল মিলিয়ে ছিঁড়ে খাচ্ছে আমার প্রানের সাথীকে। তার মানে আমি ঘুমন্ত নগরীতে নিখোঁজ মানুষের ভীরে অগোছালো পথচারী? হা হা হা…. ওমন করে হাসতে নেই। কামরুল পালাবে কতদূর?
এই পথে কেউ আসে না। তোরাই প্রথম এলি!! নিশি নক্ষত্রের নিচে আমি একা। কিন্তু তোরা কে?? আঁধারের সঙ্গী হতে চাস?? তা হবে না, ও শুধু আমার।
হত্যার ঘটনায় পরিবর্তনের অমানিশায় হারায় কয়েক জন। আর উচ্ছিষ্টের প্রান্ত বিন্দুই আঁধারের ফেরারি। কোন স্রোতে ভাসবে জীবন? অনুকূলের শান্ত ছায়ায় নাকি প্রতিকূলের ঢেউয়ের ধাক্কায়। কিভাবে প্রকাশ হবে ভোরের আলো?? একটু একটু করে আড়ালে প্রবেশ করবে আঁধারের ফেরারি…………
চিত্রদেশ//এইচ//