আমাদের সমাজে অনেক শিক্ষিত লোক আছেন। অনেক বড় বড় ডিগ্রিধারী লোক আছে সমাজে। অনেকেই খুব সুন্দর পোশাক আশাক পড়ে ভদ্র বেশে চলাফেরা করছি। তার সাথে যোগ হয় দামি গাড়ি, বাড়ি অথবা ফ্ল্যাট,আরো কত কি। কিন্তু এই যে, এই আমরা এত ভদ্র, শিক্ষিত, ডিগ্রিধারী আমরা কি আমাদের আচরণকে ঠিক রাখতে পারি। আমরা খুবই স্পর্শকাতর। দোদুল্যমন্যতায় ভুগি। আমাদের যেন শুধু আরো চাই, আরো চাই। একটা অস্থিরতা আমাদের মধ্যে কাজ করে। আমরা সিদ্ধান্তহীনতায় ভুগি। নিজের ব্যক্তি স্বার্থের কথা চিন্তা করে আমরা প্রায়ই অযাচিত আচরণ করে বসি। এই ভদ্রবেশি উচ্চডিগ্রিধারী লোকজন কখনও কখনও ভাষা জ্ঞানও যেন হারিয়ে ফেলি। স্থান, কাল পাত্র ও ভুলে যাই। আমরা অল্পতে রেগে যাই। কখনো কখনো মুখে যা ইচ্ছা তাই ভাষা প্রয়োগ করে ফেলি। আসলে আমাদের সংযম খুব প্রয়োজন। আর প্রয়োজন একজন আরেকজনকে বোঝা। অন্যজনের অবস্থানে নিজেকে দাঁড় করালেই কিছুটা অনুধাবন করা যায়। অনুধাবন টা হতে হবে একেবারে অন্তরের ভেতর থেকে
মানুষের সাথে আচরণের সময় আমাদের শব্দ, ভাষা ও বাক্যে ব্যয়ে মাত্রাজ্ঞানহীন কথাবার্তা না বলে নিজেকে সংযত রেখে কথা বললে যেমন নিজের ব্যক্তিত্ব বজায় থাকে তেমনি পরিবেশ ও সুন্দর হয়। একটি সুন্দর সমাজ গড়ে ওঠে কেবলমাত্র সুশীল লোকদের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় ও সুসংবদ্ধ সহ অবস্থানে।