সমবয়সীকে বিয়ে করা কি ভালো না খারাপ?
সমবয়সীদের মধ্যে প্রেম বা বিয়ে নতুন কিছু নয়। বর্তমানে অনেকেই কলেজ বা বিশ্ববিদ্যালয় জীবনে সঙ্গী বেছে নেন। পরবর্তীতে সেই সঙ্গীকেই বানান জীবনসঙ্গী। কিন্তু সমবয়সীকে বিয়ে করা কি ভালো না খারাপ? কী মনে করেন বিশেষজ্ঞরা?
সমবয়সী বিয়ে করার যেমন ভালো দিক রয়েছে, তেমনি অসুবিধাও আছে। বিশেষজ্ঞের মতে, অনেকেই জীবন সঙ্গীকে পেতে চান বন্ধু হিসেবে। তাই তারা সমবয়সী কাউকে খোঁজেন।
সমবয়সে বিয়ের ক্ষেত্রে কিছু সাধারণ সমস্যা প্রায়ই দেখা যায়। যা দাম্পত্য জীবনকে বিষিয়ে তুলতে পারে। অনেকসময় দেখা যায়, সমবয়সী পুরুষ সঙ্গী নারীর কাছে মানসিক দিক থেকে ভ্রাতৃতুল্য হয়। কিন্তু বিবাহিত জীবনে পুরুষটির আচরণে এসে পড়ে কর্তৃত্ব। যেহেতু নারীটি ওই পুরুষ থেকে পরিণতমনস্ক, তাই বেশিরভাগ বিষয়ে নিজের কর্তৃত্ব ফলানোর চেষ্টা করেন। ফলে অচিরেই শুরু হয়ে যায় ব্যক্তিত্বের সংঘাত।
আবার অনেকক্ষেত্রে এমনও হয়, যুক্তি-বুদ্ধি নিয়ে গড়ে ওঠা স্ত্রীর নিজস্ব চিন্তা ভাবনাকে সম্মান দেখানোর মানসিকতা থাকে না সমবয়সী স্বামীর। নারীদের যেহেতু পারিপার্শ্বিকতা বোঝার ক্ষমতা একটু বেশি তাই, স্বামীর চেয়ে সমবয়সী স্ত্রী সবসময় বেশি সচেতন থাকেন। এবিষয়কে কেন্দ্র করেই দেখা দেয় দাম্পত্য জীবনে মতভেদ, জটিলতা। একে অপরকে যথাযথ সম্মান দিতে নারাজ থাকে তারা।
আবেগে ভাটা পড়লে এমন সম্পর্কের পরিণতি হয় ডিভোর্স। আর কেউ যদি এই সংঘাতের মধ্যে টিকে যান তবে মধ্য বয়সে দেখা দেয় নতুন আরেক ঝামেলা। দুজনের বয়স যখন ৪০ থেকে ৪৫ এর মধ্যে থাকে তখন এমনটা হয়। নারীদের জীবনের টার্নিং পয়েন্ট এটি। নানা স্বাভাবিক সঙ্কট দেখা দেয় তাদের মধ্যে। সন্তান ধারণের ক্ষমতা হারানো, স্বামীর শারীরিক ইচ্ছার বিরুদ্ধে অনিচ্ছা, ক্যালসিয়ামের অভাব ইত্যাদি তখন নিত্যসঙ্গী হয়।
একই দেখা দেয় নানা মানসিক টানাপোড়েন। অশান্তিতে দেখা দেয় ডিভোর্সের আশঙ্কা। সম্পর্ক বিশেষজ্ঞদের মতে, পাত্রীর চেয়ে পাত্রের বয়স কমপক্ষে ৫ থেকে ৯ বছর বেশি থাকা উচিত। তবে বৈবাহিক জীবনে স্বামী স্ত্রীর বয়সের পার্থক্য থাকলেই যে তারা সুখী হবেন আর সমবয়সীকে বিয়ে করলেই যে সুখী হবেন না বিষয়টি আসলে তেমন নয়।
বৈবাহিক জীবনের সুখ নির্ভর দু’জনের মধ্যে ভালোবাসা, পারস্পরিক শ্রদ্ধার ওপর। দুজনের বোঝাপড়া ঠিক থাকলে বয়স পার্থক্য থাকা না থাকা কোনো প্রভাব ফেলে না।