অনুভূতি সবার সমান নয়। আমরা চলার পথে অনেক কিছুর সাথেই পরিচিত হই, অনেক ঘটনা দেখি। কিন্তু সেগুলোর গভীরে অনেকেই ঢুকতে চাই না বা ঢুকি না। আসলে আমাদের চারপাশে অনেক কিছু আছে যা আমরা অন্তর চক্ষু দিয়ে দেখতে চাই না। অন্তরের অনুভূতি সে আর এক ব্যাপার। সবকিছু সাধারণ চোখে দেখলাম। ফুরিয়ে গেল। এক বৃদ্ধ বা বৃদ্ধাকে দেখলাম। তার চেহারার ভাঁজ দেখলাম। যার শরীর বাঁকা হয়ে গেছে দেখলাম। কিন্তু শরীরের বাঁকা হওয়া চামড়া কুচকানোর পিছনে যদি চলে যাই তবে দেখতে পাবো এক জীবন সংগ্রামে কঠিন পরিশ্রমী একজন নারী বা পুরুষ যে তার জীবনের বেশির ভাগ সময়ই সংসার, সন্তানের পিছনেই ব্যয় করেছে। আজ হয়তো সে একাকী, জীবনের ভার বইবার ক্ষমতাও তার নাই।অনেকে হয়তো ভাববে এটাইতো নিয়ম। এভাবেই তো পৃথিবী চলছে। আমি বলবো এখানেই তো অনুভূতি। অন্তর দিয়ে অনুধাবন করা। তা হলে নিজের জীবনকেও একজন উপলব্দি করতে পারবে।আবার যদি মনে করি সকালের হাওয়া, সূর্য, পাখীর গান, আকাশ, নদী,পাহাড়, প্রকৃতি সবইতো সুন্দর। প্রতিদিনই সূর্য উঠে, ডুবে যায়, চাঁদ, জোছনা,আকাশ নীল হয়, মেঘলা হয়, বৃষ্টি পড়ে, পাখী গান গায়, গাছগাছালীর পাতা ঝিরঝির্ করে ইত্যাদি। এই যে প্রকৃতি প্রতিদিনই কিন্তু সুন্দর। কিন্তু অনেকের কাছে এমন প্রকৃতিই হয়তো তার মনকে নস্টালজিয়ায় ভরে তুলবে। প্রকৃতিতে সে সৃষ্টিকর্তাকে খুঁজবে। তার অন্তর আত্না কেঁপে উঠবে। তার কাছে সকালের সূর্য, শীতল হাওয়া, পাখির গান সবকিছু মায়াবী মনে হবে। মনে হবে পৃথিবীটা কত পুরনো। চারদিকে শুধু মায়া আর মায়া যেন হাতছানি দিয়ে ডাকছে । আর এটাইতো অনুভূতি। যা সে কেবল তার অন্তর আত্না দিয়ে অনুভব করে। এ অনুভূতি সবার ভিতরে কি কাজ করে?