রাজধানীতে কখন কোথায় ঈদের জামাত
স্টাফ রিপোর্টার:
আসন্ন ঈদুল আজহার প্রধান জামাত জাতীয় ঈদগাহ ময়দানে (হাইকোর্ট প্রাঙ্গণ) রোববার সকাল ৮টায় অনুষ্ঠিত হবে। এখানে একটি জামাত অনুষ্ঠিত হয়। তবে আবহাওয়া খারাপ থাকলে সময় ঠিক রেখে প্রধান জামাত বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদে অনুষ্ঠিত হবে।
মন্ত্রিসভার সদস্য, সংসদ সদস্য, রাজনীতিবিদ, কূটনীতিকসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ সেই জামাতে নামাজ পড়বেন ঈদের সকালে।
প্রধান ঈদ জামাত ঘিরে নিরাপত্তার বন্দোবস্তুও সারা হয়েছে। আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর শীর্ষ কর্মকর্তারা নিরাপত্তার আয়োজন পর্য়বেক্ষণ করে আশ্বস্ত করেছেন।
অবশ্য একটি ‘যদি’থাকছে, সেটা বৃষ্টি। ধর্ম মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, আবহাওয়া অনুকূলে না থাকলে বা অন্য কোনো কারণে জাতীয় ঈদগাহে জামাত না হলে তা বায়তুল মোকাররম মসজিদে হবে সকাল সাড়ে ৮টায়।
ইসলামিক ফাউন্ডেশন জানিয়েছে, প্রতিবছরের মত এবারও ঈদুল আজহার দিনে পাঁচটি জামাত হবে ঢাকায় বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদে।
সকাল ৭টায় অনুষ্ঠিত প্রথম জামাতে ইমামতি করবেন বায়তুল মোকাররমের সিনিয়র পেশ ইমাম হাফেজ মুফতি মাওলানা মিজানুর রহমান, মুকাব্বির থাকবেন বায়তুল মোকাররমের সাবেক মুয়াজ্জিন হাফেজ আতাউর রহমান।
দ্বিতীয় জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল ৮টায়। এ জামাতে ইমামতি করবেন বায়তুল মোকাররমের পেশ ইমাম হাফেজ মুফতি মুহিব্বুল্লাহিল বাকী নদভী এবং মুকাব্বির হবেন খাদেম মো. আব্দুল হাদী।
সকাল ৯টায় অনুষ্ঠিত তৃতীয় জামাতে ইমাম হবেন বায়তুল মোকাররমের পেশ ইমাম হাফেজ মাওলানা এহসানুল হক। খাদেম মো. শহিদ উল্লাহ মুকাব্বিরের দায়িত্ব পালন করবেন। চতুর্থ ঈদ জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল ১০টায়। এই জামাতের ইমাম ইসলামিক ফাউন্ডেশনের মুফাসসির মাওলানা আবু সালেহ পাটোয়ারী। মুকাব্বির হিসাবে থাকবেন বায়তুল মোকাররম মসজিদের খাদেম মো. জহিরুল ইসলাম।
এবার ঈদুল আজহার পঞ্চম ও সর্বশেষ জামাতে ইমামতি করবেন অপর পেশ ইমাম মাওলানা মুহীউদ্দিন কাসেম। এ জামাতটি অনুষ্ঠিত হবে বেলা ১০টা ৪৫ মিনিটে। খাদেম মো. রুহুল আমিন সর্বশেষ জামাতে মুকাব্বির হিসাবে দায়িত্ব পালন করবেন। পাঁচটি জামাতে কোনো ইমাম অনুপস্থিত থাকলে বিকল্প ইমাম হিসাবে দায়িত্ব পালন করবেন ইসলামিক ফাউন্ডেশনের মুফতি মাওলানা মো. আব্দুল্লাহ।
এছাড়া বিভিন্ন মসজিদ ও ঈদগাহ ময়দানে স্থানীয়দের নির্ধারিত সময় অনুযায়ী ঈদ জামায়াত অনুষ্ঠিত হবে।
কোভিড সংক্রমণ ঠেকাতে ধর্ম মন্ত্রণালয় এবারের ঈদ জামাতে স্বাস্থ্যবিধির কিছু কড়াকড়ি ফিরিয়ে এনেছে। ধর্ম মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনায় বলা হয়েছে-
>> প্রত্যেককে নিজ নিজ বাসা থেকে ওযু করে ঈদগাহে বা মসজিদে আসতে হবে।
>> করোনাভাইরাসের সংক্রমণ রোধ নিশ্চিত করতে মসজিদ বা ঈদগাহের ওযুখানায় সাবান বা হ্যান্ড স্যানিটাইজার রাখতে হবে।
>> ঈদের জামায়াতে অবশ্যই মাস্ক পরে মসজিদে আসতে হবে। জায়নামাজ ও টুপি নিয়ে আসতে হবে বাসা থেকে।
>> ঈদের নামাজ পড়ার সময় কাতারে দাঁড়ানোর ক্ষেত্রে সামাজিক দূরত্ব ও স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ করতে হবে এবং এক কাতার অন্তর অন্তর কাতার করতে হবে।
শিশু, বয়োবৃদ্ধ, অসুস্থ ব্যক্তি এবং অসুস্থদের সেবায় নিয়োজিত ব্যক্তিদের ঈদ জামাতে অংশ নেয়া থেকে বিরত থাকার পরামর্শ দেয়া হয়েছে।
চিত্রদেশ//আর//