ইরানে ভবন ধসে নিহত ৬, ভেতরে আটকা আরও ৮০
আন্তজার্তিক ডেস্ক:
ইরানে ১০তলা এক ভবন ধসে কমপক্ষে ৬ জন নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন আরও বহু মানুষ। এছাড়া ভবন ধসের ঘটনায় ভেতরে আটকা পড়েছেন আরও কয়েক ডজন মানুষ।
সোমবার (২৩ মে) ইরানের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলীয় আবাদান শহরে এই ঘটনা ঘটে। ইরানি কর্তৃপক্ষের বরাত দিয়ে এই তথ্য জানিয়েছে বার্তাসংস্থা রয়টার্স এবং সংবাদমাধ্যম আলজাজিরা।
স্থানীয় রেড ক্রিসেন্টের প্রধান জানিয়েছেন, ভবন ধসের ঘটনার পর এখন পর্যন্ত ধ্বংসস্তুপের নিচ থেকে ৩২ জনকে উদ্ধার করার হয়েছে। উদ্ধারকৃতদের মধ্যে ২৭ জনকে বিভিন্ন হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে।
আলজাজিরা বলছে, ইরানের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলীয় আবাদান শহরের কেন্দ্রস্থলে ব্যস্ততম রাস্তায় অবস্থিত বাণিজ্যিক এই মেট্রোপোল ভবনের বড় অংশ ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে এবং দেশটির রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনকে কর্মকর্তারা বলছেন, ধসে পড়া ভবনটির ভেতরে এখনও ৮০ জন আটকে থাকতে পারে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, দুর্ঘটনার পর চলমান উদ্ধার অভিযানে সহায়তা করার জন্য ইরানের বিভিন্ন প্রদেশ থেকে উদ্ধারকারী কুকুর, হেলিকপ্টার, যানবাহন এবং কর্মীদের দুর্ঘটনাস্থলে একত্রিত করা হয়েছে। এর মধ্যে তেহরানের ৮০টি বাহিনী, দুর্ঘটনাস্থলে উদ্ধারকাজে সহায়তার জন্য ৫০ জন অগ্নিনির্বাপক এবং জরুরি উদ্ধারকর্মী কাজ করছেন।
এছাড়াও বিমান সহায়তা প্রদানের জন্য ৩০ জন কর্মী কাজ করছেন। তবে অতিরিক্ত গরম আবহাওয়ার জন্য উদ্ধারকাজে গতি আনতে বেগ পোহাতে হচ্ছে।
স্থানীয় পরিবেশ সুরক্ষা বিভাগের মুখপাত্র শাহরিয়ার আসগারি আধা-সরকারি নিউজ ওয়েবসাইট আইএসএনএ’কে বলেছেন, সোমবার শহরে দূষণকারী এবং ধূলিকণার ঘনত্ব অনুমোদিত সীমার চেয়ে ৪২ গুণ বেশি ছিল। এছাড়া তেলসমৃদ্ধ খুজেস্তান প্রদেশের অন্যান্য শহরে পরিস্থিতিও ভালো ছিল না।
এদিকে বার্তাসংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, ইরানের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলীয় আবাদান শহরে ভবন ধসের ঘটনায় ৫ জন নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় কমপক্ষে ৮০ জন মানুষ দুর্ঘটনাকবলিত ভবনে আটকা পড়েছেন।
এছাড়া ইরানের আধা-সরকারি বার্তাসংস্থা মেহের জানিয়েছে, ইরাকের সীমান্তের কাছাকাছি অবস্থিত আবাদান শহরের আমির কবির সড়কে অবস্থিত এই ভবনটি একটি আবাসিক-বাণিজ্যিক সম্পত্তি।
ইরানের রাষ্ট্রীয় টিভি জানিয়েছে, খুজেস্তান প্রদেশের বিচার বিভাগের প্রধান ভবনটি ধসে পড়ার বিষয়ে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন। একইসঙ্গে ভবনের মালিক এবং এটি নির্মাণকারী ঠিকাদারকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
চিত্রদেশ//এফটি//