শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলছে কাল, ইউনিফর্ম পরায় ছাড়
স্টাফ রিপোর্টার:
মহামারি করোনাভাইরাসের ধাক্কা কিছুটা সামলে প্রায় দেড় বছর পর আগামীকাল (১২ সেপ্টেম্বর) খুলছে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। দীর্ঘ সময় স্কুল-কলেজ বন্ধ থাকায় অনেক শিক্ষার্থীর ইউনিফর্ম ছোট হয়ে গেছে। তাই আপাতত রাজধানীর বেশ কিছু শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান শিক্ষার্থীদের নির্দিষ্ট পোশাক বা ইউনিফর্ম পরার বিষয়ে ছাড় দিয়েছে। এসব প্রতিষ্ঠান আপাতত শিক্ষার্থীদের ইউনিফর্মের কাছাকাছি রঙের পোশাক পরে স্কুল বা কলেজে আসতে বলেছে।
শিক্ষার্থীদের অভিভাবকদের সঙ্গে কথা বললে তাঁরা জানান, প্রায় দেড় বছর ধরে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ। অনেক শিক্ষার্থীর স্কুলের পুরোনো পোশাক এখন আর গায়ে লাগে না। অনেকের সাদা পোশাকের রং হলদেটে হয়ে গেছে। এতদিন অনলাইনে ক্লাস করার ক্ষেত্রে নতুন পোশাক প্রয়োজন হয়নি।
এদিকে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার খবরে শিক্ষা সরঞ্জাম কেনার পাশাপাশি প্রাতিষ্ঠানিক পোশাক (স্কুল ড্রেস) বানাতে ব্যস্ত সময় যাচ্ছে শিক্ষার্থী-অভিভাবকদের। বিশেষ করে খ্যাতনামা প্রতিষ্ঠানগুলোর ড্রেস বানিয়ে থাকে, এমন দর্জি দোকান বা টেইলার্সে দেখা যাচ্ছে বেশি ব্যস্ততা।
রাজধানীর নয়াপল্টনের সিটিহার্ট মার্কেটের নিচতলায় ছেলে ও মেয়েকে নিয়ে স্কুল ব্যাগ কিনতে এসেছেন এক বাবা। তিনি বলেন, আগে ড্রেস বানানো ছিল, সেগুলো দিয়েই চালিয়ে দেবো। তবে ব্যাগটা নতুন লাগবে। এছাড়া খাতা-কলম কিনতে হবে।
মতিঝিলের নটরডেম কলেজের পাশেই একটি দর্জির দোকানে জামার মাপ দিচ্ছেন ওই কলেজের শিক্ষার্থী অনিক। তিনি বলেন, কলেজ বন্ধ থাকায় এতদিন গ্রামে ছিলাম। লেখাপড়ার কোনো চাপ ছিল না। দীর্ঘদিন ঘরে বসে থাকার কারণে স্বাস্থ্যের কিছুটা পরিবর্তন হয়েছে। পুরাতন জামা ছোট হয় বলে নতুন জামার অর্ডার দিচ্ছি।
যেসব স্কুল অথবা কলেজ শিক্ষার্থীদের নির্দিষ্ট পোশাক পরার ক্ষেত্রে সাময়িক ছাড় দিয়েছে, সেগুলোর মধ্যে রয়েছে- রাজধানীর নেভি স্কুল অ্যান্ড কলেজ, স্যার জন উইলসন স্কুল, রাজধানীর সেন্ট যোসেফ হাইস্কুল অ্যান্ড কলেজ।
আনুষ্ঠানিক নোটিশ না দিলেও রাজধানীর ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজ ইউনিফর্মের বিষয়টি বিবেচনায় রেখেছে বলে জানিয়েছেন প্রতিষ্ঠানটির প্রধান শাখার নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক শিক্ষক। তিনি বলেন, ঘোষণা দিলে শিক্ষার্থীরা সবাই দল বেঁধে ইউনিফর্ম ছাড়া সাধারণ পোশাক পরে আসতে পারে। তবে যারা ইউনিফর্ম পরে আসবে না, তারা যৌক্তিক কারণ দেখালে কিছু বলা হবে না।
রাজধানীর নেভি স্কুল অ্যান্ড কলেজের খিলক্ষেত শাখার অভিভাবক উম্মে সালমা বলেন, তিনি গত বুধবার স্কুল থেকে একটি নোটিশ পান, যেখানে বলা হয়েছে, প্রথম দুই সপ্তাহ সাধারণ শোভন পোশাকে শিক্ষার্থীরা স্কুলে যেতে পারবে। ইউনিফর্মের বাধ্যবাধকতা থাকবে না। তবে এই সময়ের মধ্যে স্কুলের নির্ধারিত দরজির কাছ থেকে অবশ্যই ইউনিফর্ম বানিয়ে নিতে হবে।
চিত্রদেশ//এফটি//