অস্ট্রেলিয়ার দাবানলে এলাকা ছাড়ছে মানুষ, এ পর্যন্ত নিহত ১৮
আন্তর্জাতিক ডেস্ক:
ক্রমশ আরও ভয়াবহ রূপ নিচ্ছে অস্ট্রেলিয়ার দাবানল। হাজারও মানুষ এলাকা ছাড়ছেন দাবানলের হাত থেকে বাঁচতে। সামনের দিনগুলোতে পরিস্থিতি আরও খারাপ হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। দু’মাসেরও বেশি সময় ধরে চলমান এ দাবানলে অস্ট্রেলিয়াজুড়ে অন্তত ১৮ জনের প্রাণহানি হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (২ জানুয়ারি) আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম এ তথ্য জানায়।
খবরে বলা হয়, গত দু’মাসেরও বেশি সময় ধরে দাবানলে পুড়ছে অস্ট্রেলিয়া। দাবানলে এ পর্যন্ত মৃত্যু হয়েছে অন্তত ১৮ জনের। ভস্মীভূত হয়ে গেছে ১২শ’ বসতবাড়ি।
আগুনের তীব্রতা বাড়তে থাকায় এ সপ্তাহে নিউ সাউথ ওয়েলস ও ভিক্টোরিয়া রাজ্য দু’টিতে জরুরি অবস্থা জারি করা হয়েছে। নিউ সাউথ ওয়েলসের দক্ষিণ উপকূলবর্তী এলাকা ছাড়ছেন অসংখ্য মানুষ। এ কারণে বৃহস্পতিবার রাজধানী সিডনিগামী সব মহাসড়কে তীব্র যানজট সৃষ্টি হয়েছে। এসময় স্থানীয় পেট্রোল পাম্পগুলোতেও লম্বা লাইন লক্ষ করা গেছে।
এছাড়া, ভিক্টোরিয়া রাজ্যের দাবানল এলাকা ছাড়ছেন পর্যটকসহ অসংখ্য মানুষ। এতো বেশি সংখ্যক মানুষ একসঙ্গে এলাকা ছাড়ার ঘটনা অস্ট্রেলিয়ার ইতিহাসে এ প্রথম।
নিউ সাউথ ওয়েলস রুরাল ফায়ার সার্ভিস জানায়, আগামী শনিবার (৪ জানুয়ারি) পরিস্থিতি আরও প্রতিকূল হয়ে উঠবে। এতে নিরাপত্তার ঝুঁকি বাড়বে। শনিবারের মধ্যেই সবাইকে রাজ্যের দক্ষিণ উপকূলবর্তী এলাকা ছাড়তে নির্দেশ দিয়েছে তারা।
এ রাজ্যের পরিবহনমন্ত্রী অ্যান্ড্রু কনস্ট্যান্স এক বিবৃতিতে সবাইকে ধীরে গাড়ি চালানোর আহ্বান জানিয়েছেন। গাঢ় ধোঁয়ায় ভালো করে কিছু দেখা যাচ্ছে না বলে সাবধানতা অবলম্বন করতে বলেন তিনি।
সোমবার (৩০ ডিসেম্বর) থেকে এ পর্যন্ত দাবানলে নিউ সাউথ ওয়েলসে সাত জন এবং ভিক্টোরিয়ায় এক জন মারা গেছেন। অস্ট্রেলিয়ার পুলিশের বরাত দিয়ে খবরে বলা হয়, সোমবার থেকে ভয়াবহ দাবানলে দেশটির নিউ সাউথ ওয়েলস রাজ্যে সাত জনের প্রাণহানি হয়েছে। এর মধ্যে বুধবার সকালে দু’টি আলাদা গাড়ির ভেতর থেকে দু’জনের মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। বাড়ি ও কৃষি-যন্ত্রপাতি বাঁচানোর জন্য এলাকা না ছাড়ায় মারা গেছেন এক বাবা ও ছেলে। এছাড়া, ঝড়ো বাতাসে ফায়ার ইঞ্জিন উল্টে যাওয়ায় নিহত হয়েছেন ২৮ বছর বয়সী এক স্বেচ্ছাসেবী দমকলকর্মী।
দাবানলে ভিক্টোরিয়ার ইস্ট গিপ্সল্যান্ডে ৬৭ বছর বয়সী এক বৃদ্ধের মৃত্যু হয়েছে। ইস্ট গিপ্সল্যান্ড ফায়ার সার্ভিসের কর্মকর্তা বেন র্যানকিন বলেন, দাবানল কয়েক সপ্তাহ বা কয়েক মাস পর্যন্ত চলতে পারে। কবে এ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসবে তা এখনই বলা যাচ্ছে না। এছাড়া, দাবানল আক্রান্ত বেশ কিছু দুর্গম অঞ্চলে পৌঁছাতে ব্যর্থ হয়েছে দমকল বাহিনী।
চিত্রদেশ//এস//