ট্রেন চলাচল নিয়ে বিশেষ ঘোষণা দিলো রেলওয়ে
স্টাফ রিপোর্টার:
দেশে প্রাণঘাতি করোনা ভাইরাস সংক্রমনের মাত্র নিয়ন্ত্রণে নিতে গত ২৩ জুলাই সকাল থেকে দেশে চলছে ১৪ দিনের কঠোর বিধিনিষেধ। যা আগামী ৫ আগস্ট রাত ১২টা পর্যন্ত চলবে। এই বিধিনিষেধে সরকারি, বেসরকারি অফিস, শিল্প কারখানা, পোশাক শিল্পসহ সব ধরনের কার্যক্রম বন্ধ রয়েছে। বন্ধ রয়েছে গণপরিবহন। মানুষের চলাচলে রয়েছে নিষেধাজ্ঞা।
এরই মধ্যেই ট্রেন চলাচল নিয়ে বিশেষ ঘোষণা দিয়েছে বাংলাদেশ রেলওয়ে। বৃহস্পতিবার (২৯ জুলাই) বাংলাদেশ রেলওয়ের ফেসবুক পেজে এ ঘোষণা দেওয়া হয়। ওই ঘোষণায় বলা হয়, আগামী ৫ আগস্ট পর্যন্ত লকডাউন। এরপর লকডাউন না বাড়ানো হলে চলবে গণপরিবহন। সেই লক্ষ্যে বাংলাদেশ রেলওয়ে সর্বাত্মক প্রস্তুত রয়েছে স্বাস্থ্যবিধি মেনে ট্রেন চালানোর বিষয়ে।
এবারের এই বিধিনিষেধ আগের সব বিধিনিষেধের চেয়ে কঠোর হচ্ছে। সরকারি নির্দেশনা অমান্য করে বিনা প্রয়োজনে বাসা থেকে বের হওয়ায় প্রতিদিনই গ্রেপ্তার ও জরিমানার মুখোমুখি হচ্ছেন অসংখ্য মানুষ। ইতোমধ্যে জনজীবনে নেমে এসেছে স্থবিরতা। এমতাবস্থায় আগামী ৫ আগস্টের পর বিধিনিষেধ বাড়বে নাকি তুলে নেওয়া হবে তা নিয়ে মানুষের মনে নানা প্রশ্ন।
প্রসঙ্গত, করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ঠেকাতে গত ১ থেকে ৭ জুলাই কঠোর বিধিনিষেধ আরোপ করে সরকার। পরে তা বাড়িয়ে ১৪ জুলাই করা হয়। ঈদুল আজহার কারণে ১৫ থেকে ২২ জুলাই পর্যন্ত বিধিনিষেধ শিথিল করা হয়। পরে ২৩ জুলাই থেকে ৫ আগস্ট পর্যন্ত ‘কঠোরতম বিধিনিষেধ’ জারি করে সরকার।
পূর্ব ঘোষণা অনুযায়ী, শুরু হওয়া ২ সপ্তাহের লকডাউনের বিধিনিষেধ সংক্রান্ত একটি প্রজ্ঞাপন গত ১৩ জুলাই জারি করে সরকারের মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ।
প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, করোনা ভাইরাসজনিত সংক্রমণ পরিস্থিতি বিবেচনায় নিয়ে ২৩ জুলাই সকাল ৬টা থেকে ৫ আগস্ট দিনগত রাত ১২টা পর্যন্ত কঠোর বিধিনিষেধ আরোপ করা হলো। খুব জরুরি প্রয়োজন ছাড়া কেউ ঘরের বাইরে বের হলে তাকে শাস্তির আওতায় আনা হবে।
সরকার আরোপিত চলমান ‘কঠোর বিধিনিষেধের’ মধ্যে রয়েছে-
১) সব সরকারি, আধাসরকারি, স্বায়ত্তশাসিত ও বেসরকারি অফিস বন্ধ থাকবে।
২) সড়ক, রেল ও নৌপথে গণপরিবহন (অভ্যন্তরীণ বিমানসহ) ও সব ধরনের যানবাহন চলাচল বন্ধ থাকবে।
চিত্রদেশ//এফটি//