লকডাউনের শুক্রবারে ঢাকার রাস্তা প্রায় সুনসান
স্টাফ রিপোর্টার:
লকডাউনের সময় বাড়ানোর পর আজ নবম দিনে এসে শুক্রবার সাপ্তাহিক ছুটি হওয়ায় সড়কে যানবাহন ও মানুষের উপস্থিতি কম দেখা গেছে। এইদিন সকাল থেকে রাজধানীর রাস্তায় মানুষ কম বের হয়েছে অন্যান্য দিনের তুলনায়। ফলে ঢাকার রাস্তা প্রায় সুনসান।
শুক্রবার (৯ জুলাই) রাজধানীর প্রগতি সরণি, রামপুরা, মালিবাগ, গুলশান, বাড্ডা, কুড়িল বিশ্বরোড এলাকা ঘুরে দেখে গেছে- লকডাউনে গণপরিবহন না চলার পাশাপাশি আগের দিনগুলোর তুলনায় সড়কে মানুষ ও যানবাহন অনেক কম। সড়কে অল্প সংখ্যক ব্যক্তিগত গাড়ি, ট্রাক, কাভার্ড ভ্যান, পিকআপ চলছে। তব অন্য সব বাহনের তুলনায় আজ রিকশার সংখ্যা কিছুটা বেশি। সেই সঙ্গে অন্যান্য দিনের মতোই সড়কে অনুমোদিত দোকান ছাড়া বাকি সব বন্ধ থাকতে দেখে গেছে।
রাজধানীর উত্তর বাড্ডা থেকে উত্তরা হাউজ বিল্ডিং যাওয়ার জন্য অপেক্ষা করছিলেন সেলিম আহমেদ নামের একজন। তিনি বলেন, লকডাউন শুরুর প্রথম তিনদিন খুব ভালোভাবে লকডাউন পালিত হয়েছে। এরপর থেকে সড়কে মানুষ ও যানবাহনের সংখ্যা অনেক বেড়ে যায়। কিন্তু আজ শুক্রবার সাপ্তাহিক ছুটির দিন হওয়ায় সকালে সড়কে মানুষের উপস্থিতি অনেক কম। সেই সঙ্গে যানবাহনের সংখ্যাও কম। অন্যদিন যাওয়ার জন্য কোনো না কোনো ব্যবস্থা হয়ে যায়। সিএনজি, খ্যাপের মোটরসাইকেল বা চলতি প্রাইভেটকার কিছু না কিছু পেয়ে যাই। আজ অনেকক্ষণ ধরে অপেক্ষা করছি, বাহন পাচ্ছি না।
অন্যদিকে নতুন বাজার এলাকায় সড়কের পাশেই রিকশা নিয়ে অপেক্ষা করছিলেন চালক আব্দুর রশিদ মিয়া। তিনি বলেন, আজ বাইরে মানুষ কম, তাই ট্রিপ পাচ্ছি না। অন্যদিন যেখানে সকাল থেকে ২০০/৩০০ টাকার ট্রিপ হয়ে যায়, আজ সেখানে সকাল সাড়ে ৯টা পর্যন্ত মাত্র ১২০ টাকার ভাড়া মেরেছি।
মহাখালী থেকে গুলশান-১ নম্বর পর্যন্ত রিকশায় এসেছেন তৌহিদুল ইসলাম নামের একজন। তিনি বলেন, অন্যদিন এই সময় সড়কে অফিসগামী মানুষের ভিড় থাকে। আজ শুক্রবার সাপ্তাহিক ছুটি হওয়ার কারণে মানুষের উপস্থিতি তেমন একটা দেখা যাচ্ছে না। সেই সঙ্গে অন্যদিন অফিসের সব যানবাহন চলাচল করলেও আজ তা নেই। তাই সড়ক ফাঁকা। শুক্রবার সকালে খুব প্রয়োজন ছাড়া কেউ ঘর থেকে বের হয়নি।
চিত্রদেশ//এফটি//