ট্রেনের টিকিটের কোটা বাতিল
স্টাফ রিপোর্টার:
রেলের টিকেট প্রাপ্তি যেন সোনার হরিণ। টিকেট বিক্রির ক্ষেত্রে ভিআইপির নামে টিকিট সংরক্ষণ (ব্লকিং) ব্যবস্থার জন্য টিকেট পাওয়া কষ্টসাধ্য হয়ে পড়েছে। সম্প্রতি এই ব্লকিং বন্ধ ঘোষণা করেছে রেল কর্তৃপক্ষ।
গত রোববার (২২ ডিসেম্বর) বাংলাদেশ রেলওয়ের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (অপারেশন) মিয়া জাহান স্বাক্ষরিত এক আদেশে এ তথ্য জানা গেছে।
এছাড়া পরবর্তী নির্দেশনা না দেয়া পর্যন্ত এ আদেশ কার্যকরের জন্য ম্যানেজিং ডিরেক্টর সিএনএস লিমিটেডকে (অনলাইনে ট্রেনের টিকিট বিক্রির প্রতিষ্ঠান) বলা হয়েছে।
এসব সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নে পূর্ব ও পশ্চিমাঞ্চলের মহাব্যবস্থাপক (জিএম), বিভাগীয় রেলওয়ে ব্যবস্থাপক (ডিআরএম), প্রধান বাণিজ্যিক কর্মকর্তা (সিসিএম) ও প্রধান পরিবহন কর্মকর্তাকে (সিওপিএস) দায়িত্ব দেয়া হয়েছে।
রেলওয়ের একাধিক কর্মকর্তা জানিয়েছেন, এবার সারাবছরই টিকেট সংরক্ষণ পদ্ধতি তুলে নিচ্ছে রেল কর্তৃপক্ষ। পাশাপাশি ভিআইপিদের জন্য সংরক্ষিত টিকেট ৪৮ ঘণ্টা আগে উন্মুক্ত করতে যাচ্ছে রেলওয়ে।
রেলওয়ের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (অপারেশন) মিয়া জাহান বলেন, কোটার টিকিটগুলো ব্যক্তি বিশেষ হিসেবে কত ঘণ্টা আগে রিলিজ করা হবে সেটারও নির্দেশনা দেয়া হবে। তবে টিকেট কালোবাজারিসহ নানা বিষয়ে রেল প্রশাসন কঠোর নজরদারি করছে বলে জানান তিনি।
অপরদিকে ২০১৮ সালের ২৬ নভেম্বর রেলভবনে অনুষ্ঠিত মাসিক পরিচালন পর্যালোচনা সভায় (ওআরএম) কাউন্টারের টিকেট ও অনলাইনের টিকেট এক তারিখে উন্মুক্ত করার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। পাশাপাশি ভিআইপিদের জন্য বিশেষভাবে সংরক্ষিত টিকেটগুলো ৪৮ ঘণ্টা আগে কাউন্টার বা অনলাইনে উন্মুক্ত করার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।
প্রাপ্ত তথ্যে জানা যায়, তূর্ণা এক্সপ্রেস ট্রেনে ভিআইপিদের জন্য সংরক্ষিত থাকে ৬২টি টিকেট, মহানগর প্রভাতী ও গোধূলী ট্রেনে ৬০টি করে, সুবর্ণ এক্সপ্রেসে ৬৮টি করে সর্বোচ্চ পরিমাণে টিকেট ভিআইপিদের জন্য সংরক্ষণ করা থাকে। এর মধ্যে সুবর্ণ এক্সপ্রেসে বিচারপতিদের জন্য ৪টি, এমপিদের জন্য ৪টি, ভিআইপি ৮টি (স্নিগ্ধা), বিশেষ কোটা ১২টি (স্নিগ্ধা), ভিআইপি ৮টি (শোভন চেয়ার), বিশেষ কোটা ১২টি (শোভন চেয়ার) এবং প্রতিবন্ধী কোটায় শোভন চেয়ার শ্রেণির টিকেট সংরক্ষিত থাকে ২০টি।
অন্যান্য ট্রেনে অন্যান্য নিয়মিত কোটার পাশাপাশি যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধা কোটা, সামরিক বাহিনীর সদস্যদের জন্য টিকেট সংরক্ষণ করা থাকে।
চিত্রদেশ//এস//