এশীয়দের প্রতি বিদ্বেষ বন্ধে যুক্তরাষ্ট্রে বিক্ষোভ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক:
যুক্তরাষ্ট্রের জর্জিয়া অঙ্গরাজ্যের আটলান্টায় বন্দুক হামলায় ছয় এশীয় নারী নিহতের ঘটনায় সামনে আসতে শুরু করেছে দেশটিতে এশীয়দের প্রতি বিদ্বেষমূলক আচরণের কথা। শনিবার জর্জিয়ার ক্যাপিটল বিল্ডিং এলাকায় সমবেত হয়ে ১৬ মার্চ আটলান্টায় প্রাণহানির ঘটনায় ন্যায়বিচার নিশ্চিতের দাবিতে আওয়াজ তোলে কয়েকশ মানুষ। এ সময় তারা যুক্তরাষ্ট্রে বসবাসরত এশীয় কমিউনিটিসহ সব সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের বিরুদ্ধে বিদ্বেষ ও বর্ণবাদী আচরণ বন্ধের আহ্বান জানায়। আলজাজিরা।
এদিন বিক্ষোভকারীদের হাতে থাকা বিভিন্ন প্ল্যাকার্ডে লেখা ছিল, বিদ্বেষ একটি ভাইরাস, এশীয়দের প্রতি বিদ্বেষ থামাও, আমি আপনার মডেল সংখ্যালঘু নই প্রভৃতি।এশিয়ান-আমেরিকানদের প্রতি বৈষম্য বন্ধে উদ্যোগী হতে কর্তৃপক্ষের প্রতি আহ্বান জানায় বিক্ষোভকারীরা। ফ্লোরিডা থেকে দীর্ঘ সময় গাড়ি চালিয়ে শনিবার আটলান্টার বিক্ষোভে যোগ দেন টিমোথি ফান। সিএনএন-কে তিনি বলেন, যে নারীরা মারা গেছে, তাদের মধ্যে আমি আমার পরিবারকে খুঁজে পাই।’
আটকের পর আটলান্টার ওই বন্দুকধারী পুলিশের কাছে দাবি করেছে, ১৬ মার্চের ওই ঘটনা বর্ণবাদী হামলা ছিল না। তবে যুক্তরাষ্ট্রে বসবাসরত এশীয়-আমেরিকান কমিউনিটির সদস্যরা বলছে, তারা দীর্ঘদিন থেকেই বর্ণবাদী আচরণের শিকার হচ্ছে। দশকের পর দশক ধরে এটি চলে আসছে।
এদিকে শুক্রবার আটলান্টায় পৌঁছে এশিয়ান-আমেরিকান কমিউনিটি নেতাদের সঙ্গে বৈঠকের পর এশীয়দের বিরুদ্ধে বিদ্বেষমূলক হামলা বন্ধের আহ্বান জানিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। আটলান্টার এমরি ইউনিভার্সিটিতে দেওয়া ভাষণে বাইডেন বলেন, এমন কিছু মূল্যবোধ ও বিশ্বাস রয়েছে যার ভিত্তিতে আমেরিকান হিসেবে আমাদের ঐক্যবদ্ধ হওয়া উচিত। এগুলোর মধ্যে একটি হচ্ছে যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিক হিসেবে আমাদের ঐক্যবদ্ধ থাকা। আরেকটি হচ্ছে, বিদ্বেষ ও বর্ণবাদের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ থাকা।
২০২১ সালের ১৬ মার্চ বিকালে আটলান্টার তিনটি বডি ম্যাসাজ পার্লারে হামলা চালায় এক বন্দুকধারী। এতে ছয় এশীয় নারীসহ আট জন নিহত হন। আহত হন আরও পাঁচ জন। একই ব্যক্তি সবগুলো ঘটনা ঘটিয়েছে বলে সন্দেহ করা হচ্ছে। গুলিবর্ষণের কয়েক ঘণ্টার মাথায় সন্দেহভাজন হামলাকারীকে গ্রেফতার করে পুলিশ। এ ঘটনায় যুক্তরাষ্ট্রে এশীয়দের বিরুদ্ধে বিদ্বেষমূলক হামলার বিষয়টি নতুন করে সামনে আসে।
চিত্রদেশ//এসএইচ//