শিশু ও নারীদের প্রতি বৈষম্যমূলক আচরণ এবং মণোস্তাত্বিক ভাবনা
ডাঃফাহমিদা ফেরদৌস:
বৈচিত্র্যময় এই পৃথিবীতে যেকোন কিছুরই তারতম্য হলে এক ধরণের অস্বস্তিকর অথবা অস্বাস্থ্যকর পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়ে থাকে। যেমন : আবহাওয়ায় জলীয়বাস্পের হঠাৎ তারতম্য বিশেষ করে তাপমাত্রায় আদ্রতা এবং উষ্ণতার পার্থক্য পরিলক্ষিত হলে একধরণের অস্বীকর এবং অস্বাস্থ্যকর পরিবেশের তৈরি হয়ে থাকে ঠিক
তেমনি যেকোন মানুষের শারিরীক বৃদ্ধির পাশাপাশি মানসিক বিকাশ যদি সুস্ঠ না হয়ে থাকে তাহলে তৈরি হবে মানসিক ব্যধি এবং বিকাশ হবে অস্বাস্থ্যকর। “মন” মানুষের মস্তিষ্কে অবস্থিত এক বিশেষ স্থাস্হ্য যার বিকাশ এবং গঠন শুরু হয় যখন শিশু মায়ের গর্ভে আসে তখন মস্তিষ্কের গঠনের সাথে সাথে।
শিশুদের মণের তিন ধরনের বিকাশ পরিলক্ষিত হয়-
১.ধারনার জগতের বিকাশ।
২.নৈতিকতার বিকাশ।
৩.আবেগের বিকাশ।
বলা হয়ে থাকে একটি শিশু পৃথিবীতে যখন পৃথিবীতে ভূমিষ্ঠ হয় তখন পরিবার ও পরিজন বিশেষ করে বাবা ও মা বিভিন্ন পরিবেশ ও পরিস্থিতি অনুযায়ী বিভিন্ন কার্যক্রমের মাধ্যমে একটি শিশুর মনের/মানসিক বিকাশে সহযোগীতা করে থাকেন। একটি শিশুর ৫/৬ছরের মধ্যে মণের এবং ভাষা বিকাশের মৌলিক কাঠামো হয়ে থাকে। যদি কোন শিশু ছেলে হয়ে থাকে বাবা হবে সে ছেলে শিশুর পথিকৃৎ। যদি শিশুটির বাবা যেকোন কারনে তার সাথে এবং তার মায়ের সাথে খারাপ ব্যবহার ও ভাষা প্রয়োগ করছে এবং ভুল করলে শিশুটির নিজের এবং তার মায়ের গায়ে হাত তুলছে তখন শিশুটির “ধারণার” জগতে শিক্ষা নিয়ে থাকে শিশুদের সাথে এবং মেয়েদের সাথে আচরন কেমন হবে। পরবতী জীবনে কোন শিশু এবং ণারীর প্রতি এ আবেগ ই সে প্রকাশ করবে যা শিশুটি শৈশব কালে ধারণ করেছে। যত ই স্কুলে শেখানো হোক না কেনো “মায়ের পায়ের নীচে বেহেস্ত “।
স্কুলে সব সময় ই নৈতিকতার শিক্ষা দেয়া হয়ে থাকে কিন্তু পরিবার বিশেষ করে বাবা ও মা যদি নৈতিকতার চর্চা না করে থাকেন তাহলে তা খাতা কলমে ই থেকে যাবে। সবচেয়ে বড় শিক্ষালয় নিজ গৃহ শিক্ষাগুরু বাবা ও মা।
তাই শৈশবকাল থেকেই শিশুকে শিক্ষা দিতে হবে শিশুদের প্রতি আদর ভালোবাসা এবং মায়া মমতার, নারীদের প্রতি সর্বোচ্চ মর্যাদার যুগে যুগে যে নারীর গভে জন্ম নিয়েছেন সকল নবী ও রাসূলদের জন্ম এবং পৃথিবীর
সকল বিখ্যাত ব্যক্তিগন।
লেখক :মনোরোগ বিশেষজ্ঞ এবং ভাষাবিদ
সহকারী অধ্যাপক
মনোরোগবিদ্যা বিভাগ
জেড, এইচ,সিকদার ওমেন্স মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল।