চীনকে বদলাতে হবে, না হলে তারা সবাইকে বদলে দেবে: পম্পেও
আন্তর্জাতিক ডেস্ক:
মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাইক পম্পেও তার ভাষায় চীনের ‘নতুন স্বৈরাচারের’ কাছ থেকে আসা হুমকির বিরুদ্ধে বিজয় অর্জনে মুক্ত দেশগুলোর প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন।
বৃহস্পতিবার দেয়া এক ভাষণে বেইজিংয়ের প্রতি ওয়াশিংটনের প্রতিদ্বন্দ্বিতার কঠোর দৃষ্টিভঙ্গি তুলে ধরেন তিনি।
যুক্তরাষ্ট্রের এ শীর্ষ কূটনীতিক বলেন, বর্তমানে চীন অভ্যন্তরীণভাবে কর্তৃত্বপরায়ণ হয়ে উঠছে। এ ছাড়া অন্যত্র স্বাধীনতার প্রতি তার বৈরিতা আরও আগ্রাসী রূপ নিয়েছে।
ক্যালিফোর্নিয়ার ইয়োরবা লিনডায় রিচার্ড নিক্সন প্রেসিডেন্সিয়াল লাইব্রেরিতে দেয়া বক্তৃতায় তিনি আরও বলেন, যদি কমিউনিস্ট চীনকে মুক্ত বিশ্ব পরিবর্তন না করে, তবে কমিউনিস্ট চীন আমাদের পরিবর্তন করে দেবে।
পম্পেও বলেন, চীনা কমিউনিস্ট পার্টির জন্য বিশ্বকে উন্মুক্ত করে দিয়ে নিক্সন যা করেছিলেন, তা নিয়ে তার হতাশা ভবিষ্যৎ সূচক।
‘প্রেসিডেন্ট নিক্সন একসময় বলেছেন যে, তার আশঙ্কা তিনি সিসিপির জন্য বিশ্বকে খুলে দিয়ে নতুন এক ফ্রাঙ্কেনস্টেন বানিয়েছেন। কাজেই এখন আমরা তা-ই দেখতে পাচ্ছি।’
ভিসা জালিয়াতির জন্য মার্কিন বিচার বিভাগ বৃহস্পতিবার চীনের চার গবেষকের বিরুদ্ধে অভিযোগ উপস্থাপন করেছেন। চীনা সামরিক বাহিনীর সঙ্গে তারা নিজেদের সম্পর্ক অস্বীকার করেছেন বলে এতে বলা হয়েছে।
তাদের মধ্যে তিন গবেষককে আটক করা হয়েছে। আরেকজন সান ফ্রান্সিসকো কনস্যুলেটে আশ্রয় নিয়েছেন।
মার্কিন বিচার মন্ত্রণালয়ের অভিযোগ, যুক্তরাষ্ট্রের ইনস্টিটিউটগুলো থেকে বৈজ্ঞানিক ও প্রযুক্তিগত জ্ঞানার্জনে চীনা অনুপ্রবেশ চেষ্টার অংশ হলেন এই চার গবেষক।
সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল জন ডেমারস বলেন, এটি হলো আমাদের মুক্তসমাজ থেকে সুবিধা নিতে ও একাডেমিক ইনস্টিটিউটগুলোকে নিজ স্বার্থে ব্যবহার করতে চীনা কমিউনিস্ট পার্টির পরিকল্পনার অংশ।
তাদের প্রত্যেকের ১০ বছর করে কারাদণ্ড এবং আড়াই লাখ ডলার করে জরিমানা হতে পারে। তবে তাদের বিরুদ্ধে এসব অভিযোগকে নগ্ন রাজনৈতিক নিপীড়ন হিসেবে আখ্যায়িত করেছে চীন।
চিত্রদেশ//এস//