স্টাফ রিপোর্টার:
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন কোনো কিছু পাওয়ার আশায় নয়, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের অসমাপ্ত কাজ শেষ করে যাওয়াই জীবনের লক্ষ্য। আর সে লক্ষেই দেশের উন্নয়নে কাজ করে যাচ্ছেন তিনি।
সোমবার (১৪ মার্চ) দুপুরে গণভবনে এমআইটি প্রেস কর্তৃক প্রকাশিত ইনোভেশনস (টেকনোলোজি, গভার্ননেন্স, গ্লোবালাইজেশন) জার্নালের ভলিউম ১২, ইস্যু ১-২ প্রধানমন্ত্রীর হাতে তুলে দেন এমআইটি প্রেসের দুই সম্পাদক ফিলিপ আওয়ার্সওয়াল্ড ও ইকবাল জেড কাদির।
এ সময় তাদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে প্রধানমন্ত্রী এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, জাতির পিতার স্বপ্ন ছিল এ দেশের মানুষ উন্নত সমৃদ্ধ জীবন পাবে, সুখে-শান্তিতে বাস করবে। কিন্তু আরাধ্য কাজ শেষ করার আগেই তিনি ঘাতকদের হাতে সপরিবারে নিহত হন। তার সেই অসমাপ্ত কাজ শেষ করাই নিজের লক্ষ্য বলে জানান প্রধানমন্ত্রী।
প্রধানমন্ত্রী জানান, ২০০৯ সালে আওয়ামী লীগ দায়িত্ব নেওয়ার পর দেশের উন্নয়নে সরকার পরিকল্পিতভাবে কাজ করে যাচ্ছে।
গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ার মাধ্যমে ধারাবাহিকভাবে সরকার পরিচালনার ফলে আজ দেশের এই অর্জন সাধিত হয়েছে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
বাংলাদেশের ৫০ বছর উপলক্ষে এমআইটি প্রেস থেকে প্রকাশিত জার্নালটিতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ‘স্ট্রাইভিং টু রিয়েলাইজ দ্য আইডিয়ালস অব মাই ফাদার’ শীর্ষক একটি নিবন্ধ প্রকাশিত হয়েছে।
নিবন্ধে দেশের স্বাধীনতা সংগ্রামের পটভূমি, মুক্তিযুদ্ধ, বঙ্গবন্ধুর স্বাধীনতা পরবর্তী যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশ পুনর্গঠন, নির্বাসনের দিন, স্বদেশ প্রত্যাবর্তন ও জনগণের কাছাকাছি যাওয়া, ১৯৯৬-২০০১ সালের শাসনামলের বিভিন্ন দিক তুলে ধরেছেন তিনি। এ ছাড়া তার সরকারের কৃষি, স্বাস্থ্য, শিক্ষা, অবকাঠামো, আইসিটিসহ বিভিন্ন খাতের উন্নয়ন ও অগ্রগতির কথাও উঠে এসেছে বঙ্গবন্ধুরকন্যার লেখায়।
নোবেল বিজয়ী অর্থনীতিবিদ অমর্ত্য সেন, কর্নেল বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতির অধ্যাপক কৌশিক বসু, সম্পাদক ইকবাল জেড কাদিরসহ সাত বিশিষ্ট লেখকের লেখা প্রকাশিত হয়েছে।
এসব লেখায় বিগত ১৩ বছরে বাংলাদেশের অভাবনীয় অগ্রযাত্রার বিভিন্ন দিক প্রকাশ করা হয়েছে।
জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ক আলোচনায় অংশ নিতে ও জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব মোকাবিলায় তার সুদীর্ঘ অভিজ্ঞতা ও কার্যক্রম তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রীকে আরও একটি নিবন্ধ লেখার অনুরোধ জানান ইনোভেশনসের সম্পাদকরা।
তাদের অনুরোধ বিবেচনার আশ্বাস দিয়েছেন শেখ হাসিনা।
এ সময় আওয়ামী লীগের গবেষণা সেল সেন্টার ফর রিসার্চ ইনস্টিটিউটের (সিআরআই) ট্রাস্টি রাদওয়ান মুজিব, প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব ড. আহমেদ কায়কাউস, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সিনিয়র সচিব তোফাজ্জল হোসেন মিয়া এবং প্রধানমন্ত্রীর স্পিচ রাইটার মো. নজরুল ইসলাম উপস্থিত ছিলেন।
চিত্রদেশ//এফটি//