২৪ ঘণ্টায় মৃত্যু ৩৩, শনাক্ত ২৬৫৪
স্টাফ রিপোর্টার:
করোনাভাইরাসে দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় আরও ৩৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। এসময় রোগি শনাক্ত হয়েছে ২৬৫৪ জন। বুধবার করোনা সংক্রান্ত নিয়মিত অনলাইন স্বাস্থ্য বুলেটিনে এ তথ্য জানান স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (মহাপরিচালকের দায়িত্বপ্রাপ্ত) অধ্যাপক ডা. নাসিমা সুলতানা।
ডা. নাসিমা সুলতানা জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় ১১ হাজার ৯৬৪টি নমুনা সংগ্রহ এবং ১১ হাজার ১৬০টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়। এ নিয়ে মোট নমুনা পরীক্ষার সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১২ লাখ ১২ হাজার ৪১৬। নতুন পরীক্ষায় করোনা শনাক্ত হয়েছে ২ হাজার ৬৫৪ জন। ফলে মোট শনাক্ত রোগীর সংখ্যা দাঁড়াল ২ লাখ ৪৬ হাজার ৬৭৪ জনে। আক্রান্তদের মধ্যে গত ২৪ ঘণ্টায় মৃত্যু হয়েছে আরও ৩৩ জনের। ফলে ভাইরাসটিতে মোট মারা গেলেন ৩ হাজার ২৬৭ জনে। গত ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়েছেন আরও ১ হাজার ৮৯০ জন। এ নিয়ে মোট সুস্থ রোগীর সংখ্যা দাঁড়াল ১ লাখ ৪১ হাজার ৭৫০ জনে।
মৃত ৩৩ জনের মধ্যে পুরুষ ২৫ জন ও নারী ৮ জন। এদের মধ্যে ত্রিশোর্ধ্ব দুইজন, চল্লিশোর্ধ্ব চারজন, পঞ্চাশোর্ধ্ব আটজন, ষাটোর্ধ্ব ১০ জন, সত্তরোর্ধ্ব ছয়জন, আশির বেশি বয়সী একজন এবং নব্বোই বছরের বেশি বয়সী দুইজন রয়েছেন।
নিহতদের মধ্যে ঢাকা বিভাগে ১৮ জন, চট্টগ্রাম বিভাগের ৯ জন, রংপুর বিভাগে ৩ জন, খুলনা বিভাগে একজন, রাজশাহী বিভাগে একজন এবং বরিশাল বিভাগে একজন রয়েছেন।
গত ২৪ ঘণ্টায় নমুনা পরীক্ষার তুলনায় রোগী শনাক্তের হার ২৩ দশমিক ৭৮ শতাংশ। এ পর্যন্ত নমুনা পরীক্ষার তুলনায় রোগী শনাক্তের হার ২০ দশমিক ৩৫ শতাংশ। আর রোগী শনাক্তের তুলনায় সুস্থতার হার ৫৭ দশমিক ৪৬ শতাংশ এবং মৃত্যুর হার ১ দশমিক ৩১ শতাংশ।
রাবরের মতোই বুলেটিনে করোনাভাইরাস সংক্রমণের ঝুঁকি এড়াতে সবাইকে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর ও বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার পরামর্শ-নির্দেশনা মেনে চলার অনুরোধ জানানো হয়।
উল্লেখ্য, চীনের উহান থেকে করোনা গত ছয় মাসে বিশ্বের ২১৫ টি দেশ ও অঞ্চলে ছড়িয়ে পড়েছে । চীনে করোনার প্রভাব কমলেও বিশ্বের অন্য কয়েকটি দেশে মহামারি রূপ নিয়েছে। দেশে করোনা সংক্রমিত প্রথম রোগী শনাক্ত হয় গত ৮ মার্চ। তার ১০ দিন পর ১৮ মার্চ প্রাণঘাতী করোনায় আক্রান্ত হয়ে প্রথম একজনের মৃত্যু হয়।
করোনায় মূলত শ্বাসতন্ত্রে সংক্রমণ ঘটায়। এর লক্ষণ শুরু হয় জ্বর দিয়ে, সঙ্গে থাকতে পারে সর্দি, শুকনো কাশি, মাথাব্যথা, গলাব্যথা ও শরীর ব্যথা। সপ্তাহখানেকের মধ্যে দেখা দিতে পারে শ্বাসকষ্ট। উপসর্গগুলো হয় অনেকটা নিউমোনিয়ার মত। রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা ভালো হলে এ রোগ কিছুদিন পর এমনিতেই সেরে যেতে পারে। তবে ডায়াবেটিস, কিডনি, হৃদযন্ত্র বা ফুসফুসের পুরোনো রোগীদের ক্ষেত্রে ডেকে আনতে পারে মৃত্যু।
চিত্রদেশ//এফ//