২০০ কোটি টাকা লভ্যাংশ পাবেন ক্ষুদ্র বিনিয়োগকারীরা
স্টাফ রিপোর্টার:
ব্যাংকের বিনিয়োগকারীদের মধ্যে লভ্যাংশ বিতরণের স্থগিতাদেশ প্রত্যাহার করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। নতুন নির্দেশনা অনুযায়ী ৩০ সেপ্টেম্বরের আগেই পুঁজিবাজারের তালিকাভুক্ত বাণিজ্যিক ব্যাংকের ব্যক্তিশ্রেণীর বিনিয়োগকারীদের মধ্যে নগদে লভ্যাংশ বিতরণ করতে পারবে। এ সুবাদে ৯ বেসরকারি বাণিজ্যিক ব্যাংক থেকে প্রায় ২০০ কোটি টাকার নগদে লভ্যাংশ পাবেন পুঁজিবাজারের ক্ষুদ্র বিনিয়োগকারীরা।
ইতোমধ্যে ব্যাংকগুলো ৫ থেকে ১৫ শতাংশ পর্যন্ত নগদ লভ্যাংশ ঘোষণা করেছে। গতকাল (৭ জুন) বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে নগদে লভ্যাংশ দেয়ার জটিলতা দূর করার পর ক্ষুদ্র বিনিয়োগকারীদের আর লভ্যাংশ পাওয়ার কোনো বাধা থাকল না। এখন শুধু অপেক্ষা করতে হবে বার্ষিক সাধারণ সভায় (এজিএম) অনুমোদন পর্যন্ত।
জানা গেছে, পুঁজিবাজারে ব্যাংকের বিনিয়োগকারীদের মধ্যে নগদে লভ্যাংশ বণ্টনের ক্ষেত্রে বিধিনিষেধ আরোপ করেছিল বাংলাদেশ ব্যাংক। বলা হয়েছিল, আগামী ৩০ সেপ্টেম্বরের আগে কোনো ব্যাংক বিনিয়োগকারীদের মধ্যে নগদে কোনো লভ্যাংশ বিতরণ করতে পারবে না। একই সাথে যেসব ব্যাংকের মূলধন ১০ শতাংশের কম রয়েছে তারা নগদ বা স্টক কোনো লভ্যাংশই বিতরণ করতে পারবে না।
ইতোমধ্যে ৯টি ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদের সভায় ডিভিডেন্ড ঘোষণা করেছে। ব্যাংকগুলোর মধ্যে ডাচ বাংলা, মার্কেন্টাইল, স্ট্যান্ডার্ড, ইস্টার্ন, এক্সিম, ব্যাংক এশিয়া, ব্র্যাক, প্রাইম ও উত্তরা ব্যাংক রয়েছে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের সংশ্লিষ্ট সূত্র জানিয়েছে, পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত দেশের বাণিজ্যিক ব্যাংক রয়েছে ৩০টি। এ ব্যাংকগুলোতে দেশী-বিদেশী মিলে ব্যক্তিশ্রেণীর বিনিয়োগকারী রয়েছে প্রায় ৩৪ শতাংশ। বাকি ৬৬ শতাংশ প্রাতিষ্ঠানিক ও উদ্যোক্তা শেয়ারহোল্ডার রয়েছে।
আলোচ্য ব্যাংকগুলোর মধ্যে উল্লিখিত ৯টি ব্যাংক ইতোমধ্যে তাদের পরিচালনা পর্ষদ লভ্যাংশ ঘোষণা করেছে। এ ৯ ব্যাংকের শেয়ারধারণকারীদের মধ্যে ২৭ শতাংশ আছে ব্যক্তিশ্রেণীর উদ্যোক্তা। ইতোমধ্যে ব্যাংকগুলো নগদে যে লভ্যাংশ ঘোষণা করা হয়েছে এতে ২৭ শতাংশ ব্যক্তিশ্রেণীর উদ্যোক্তাদের মধ্যে ২০০ কোটি টাকার লভ্যাংশ বিতরণ করতে হবে ৯ ব্যাংকের। ৩০ সেপ্টেম্বরের আগে যেকোনো সময় এ লভ্যাংশ বিতরণ করতে পারবে ব্যাংকগুলো।
চিত্রদেশ//এস//