অর্থ-বাণিজ্যপ্রধান সংবাদ

স্বাভাবিক রয়েছে নিত্যপণ্যের দাম

স্টাফ রিপোর্টার:

করোনায় বৈশ্বিক অস্থিতিশীল পরিবেশের মধ্যেও স্বাভাবিক রয়েছে রাজধানীর নিত্যপণ্যের বাজার। যেখানে বাইরের যেকোন দেশ থেকেই প্রায় আমদানি বন্ধের পর্যায়ে তখনও দেশের বাজারে স্বাভাবিক রয়েছে নিত্যপণ্যের দাম। কমে এসেছে পেঁয়াজ-রসুনের দাম। নতুন করে দাম বাড়েনি কোন পণ্যের।

আজ শুক্রবার রাজধানীর মিরপুর, শেওড়াপাড়া, কাজীপাড়া, আগারগাঁও, তালতলা, কল্যাণপুর ও কারওয়ান বাজার ঘুরে এবং ব্যবসায়ীদের সঙ্গে কথা বলে এসব তথ্য জানা যায়।

গত সপ্তাহের তুলনায় এ সপ্তাহে দাম কমেছে পেঁয়াজ-রসুন ও আদার দাম। পাশাপাশি কমের মধ্যে রয়েছে শাক-সবজির দাম। চাল-তেল ও চিনির দাম আগে থেকে বাড়তি থাকলেও নতুন করে আর বাড়েনি।

আজ রাজধানীর কারওয়ান বাজারে প্রতি কেজি দেশি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৪০ টাকা। আর আমদানি করা বার্মা ও মিশরের পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৫০ টাকা। যেখানে গত সপ্তাহে এই দুই ধরনের পেঁয়াজই প্রায় ২০ থেকে ২৫ টাকা দাম বেশি ছিল। আগামী সপ্তাহেই এই দাম আরও নেমে আসতে পারে বলে ব্যবসায়ীদের ধারণা।

ব্যবসায়ীরা জানান, আগামী ১৫ মার্চ ভারত থেকে পেঁয়াজ আসবে ফলে তখন পেঁয়াজের দাম আরও অনেক কমে যাবে। এছাড়া আমাদের দেশের পেঁয়াজও বাজারে উঠতে শুরু করেছে।

এদিকে বাজারে দেশি রসুনের দামও কমেছে। প্রতি কেজি দেশি রসুন বিক্রি হচ্ছে মাত্র ৬০ টাকায়। আর আমদানি করার চায়না রসুন এখন বিক্রি হচ্ছে ১৫০ টাকা কেজি দরে। যা এক সপ্তাহ আগেও ১৮০ টাকায় বিক্রি হয়েছে। আর দেশি রসুন বিক্রি হচ্ছে ৮০ টাকায়। বেশি এবং আমদানি দুটোতেই দাম কমেছে প্রায় ২০ টাকার মতো।

এদিকে গত সপ্তাহের মতোই বাজারে শাক-সবজি বিক্রি হচ্ছে। তেমন একটা দাম বাড়েনি কোন শাক-সবজির। কাঁচাবাজার ঘুরে দেখা যায়, লাউ, করলা, টমেটো, শসা, শিম, শালগম, মুলা, গাজর, ফুলকপি, বাঁধাকপি, বেগুন বাজারে ভরপুর রয়েছে। তবে সপ্তাহের ব্যবধানে কোনো সবজির দাম কমেনি।

গত কয়েক সপ্তাহের মতো এখনো বাজারে সব থেকে দামি সবজির তালিকায় রয়েছে করলা। গত সপ্তাহের মতো করলার কেজি বিক্রি হচ্ছে ১২০-১৩০ টাকা। মাঝারি আকারের লাউ বিক্রি হচ্ছে ৪০-৫০ টাকা পিস। বরবটির কেজি ৮০-১০০ টাকা। শসা ২০-৩০ টাকা, পেঁপে ৩০-৪০, পাকা টমেটো ৩০-৪০, শিম ৩০-৪০, ফুলকপি-বাঁধাকপি পিস ৩০-৩৫, গাজর ২০-৩০, শালগম ২৫-৩০, মুলা ৩০-৩৫, বেগুন ৪০-৫০ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে। আর কাঁচা মরিচের পোয়া (২৫০ গ্রাম) বিক্রি হচ্ছে ১৫-২০ টাকা।

এদিকে মাছ বাজার ঘুরে দেখা গেছে, রুই মাছের কেজি বিক্রি হচ্ছে ২২০-৫০০ টাকা। তেলাপিয়া ১৩০-১৭০, শিং ৩০০-৪৫০, শোল মাছ ৪০০-৭৫০, পাবদা ৪০০-৫০০, টেংরা ৪৫০-৬০০, নলা ১৮০-২০০ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে।

বয়লার মুরগি বিক্রি হচ্ছে ১২৫-১৩০ টাকা কেজি। পাকিস্তানি কক বিক্রি হচ্ছে ২৩০-২৪০ টাকা। লাল লেয়ার মুরগি বিক্রি হচ্ছে ২০০-২২০ টাকা কেজি। গরুর মাংস ৫৫০-৫৭০ টাকা এবং খাসির মাংস ৭০০-৮৫০ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে।

 

চিত্রদেশ//এস//

Related Articles

Back to top button