প্রধান সংবাদ

সুনামগঞ্জে পানিবন্দি লক্ষাধিক মানুষ, ২৫২ বিদ্যালয় বন্ধ

সুনামগঞ্জ প্রতিনিধি:
সুনামগঞ্জে বন্যা পরিস্থিতি ক্রমেই অবনতি হচ্ছে। ইতোমধ্যে ছয় উপজেলার লক্ষাধিক মানুষ পানিবন্দি হয়েছে। জেলার ২৫২টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে পাঠদান বন্ধ রয়েছে। বিশুদ্ধ পানি ও খাবারের সংকট দেখা দিয়েছে।

দেখা গেছে, বন্যার পানিতে অনেক বাড়ি-ঘর ও রাস্তাঘাট তলিয়ে গেছে। বন্যাকবলিত এলকায় বিদ্যুৎ বন্ধ রয়েছে। অনেকেই আবার রান্না ও স্যানিটেশন ব্যবস্থা না থাকায় বিপাকে পড়েছেন। যেসব এলাকা প্লাবিত হয়েছে সেসব এলকায় আশ্রয়কেন্দ্র খোলা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (১৯ মে) বিকেল ৫টা পর্যন্ত জেলার সুরমা, যাদুকাটা, কুশিয়ারা নদীর পানি বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। পানি উন্নয়ন বোর্ড বলছে, ভারতের মেঘালয়, আসাম সীমান্তে ভারী বৃষ্টিপাতের সম্ভবনা থাকায় সুনামগঞ্জ বন্যা পরিস্থিতি আরও অবনতি হতে পারে।

এদিকে ঢলের পানিতে প্লাবিত হয়েছে সুরমা নদী তীরবর্তী সুনামগঞ্জ সদর, বিশ্বম্ভরপুর, তাহিরপুর, দোয়ারাবাজার, ছাতক, ধর্মপাশা উপজেলার নিম্নাঞ্চল। বন্যার কারণে জেলার ছাতক-সুনামগঞ্জ-সিলেট, তাহিরপুর, বিশ্বম্ভরপুর-সুনামগঞ্জ এবং সুনামগঞ্জ-হালুয়াঘাট-মঙ্গলকাটা সড়কে যান চলাচল বন্ধ রয়েছে।

শুধু তাই নয়, প্রবল স্রোতে জেলার দোয়ারাবাজারে দুটি ও বিশ্বম্ভরপুরের একটি এবং তাহিরপুর উপজেলার একটিসহ এলজিইউডির চারটি কালভার্ড বা ছোট সেতু ভেঙ্গে গেছে। এ ছাড়াও বন্যার পানিতে এলজিইডির ২৫টির বেশি গ্রামীণ ও আভ্যন্তরীণ সড়ক ডুবে গেছে।

জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিস জানায়, জেলার ২৫২টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সাময়িকভাবে পাঠাদান বন্ধ রয়েছে। বন্যার্ত মানুষের আশ্রয়ের জন্য ২৮টি বিদ্যালয়ের প্লার্ড সেন্টার খুলে দেওয়া হয়েছে।

জেলা প্রশাসক মো. জাহাঙ্গীর হোসেন জানান, বন্যার্ত এলাকায় ত্রাণ সহযোগিতা হিসেবে জেলায় ৩০ টন জিআর চাল ও নগদ সাড়ে ৬ লাখ টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়াও এক হাজার প্যাকেট শুকনো খাবার বিতরণ করা হয়েছে।

যদিও অনেক এলাকায় এখনও ত্রাণ পৌঁছায়নি বলে অভিযোগ রয়েছে।

চিত্রদেশ//এফটি//

Related Articles

Back to top button