সাহেদের ‘গোপন অফিসে’ অভিযানে র্যাব
স্টাফ রিপোর্টার:
বহুল আলোচিত-সমালোচিত রিজেন্ট গ্রুপের চেয়ারম্যান মো. সাহেদকে সাতক্ষীরার দেবহাটা সীমান্ত থেকে আজ বুধবার (১৫ জুলাই) ভোরে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব। সকাল ঠিক ৯টার দিকে তাকে হেলিকপ্টারে করে ঢাকায় আনা হয়। ঢাকায় এনেই উত্তরার রিজেন্ট গ্রুপের দ্বিতীয় অফিসে অভিযানের পরিকল্পনা করে র্যাব।
ইতোমধ্যে রাজধানীর উত্তরা-১১ নম্বর সেক্টরের একটি ভবন ঘিরে রেখেছে র্যাব। বুধবার সকাল থেকে সেক্টর -১১ এর ২০ নম্বর সড়কের ৬২ নম্বর ‘সিএইচএল বাইতুল ইহসান’ ভবনটি ঘিরে রাখা হয়েছে।
র্যাব সূত্র জানায়, গ্রেফতার হওয়া রিজেন্ট গ্রুপ ও রিজেন্ট হাসপাতাল লিমিটেডের চেয়ারম্যান সাহেদ করিম ওরফে মো. সাহেদকে নিয়ে এই ভবনের ৪(এ) নম্বর ফ্ল্যাটে অভিযান চালানো হবে। তবে এটি সাহেদের নিজস্ব ফ্ল্যাট কি না, তা এখনও নিশ্চিত হওয়া যায়নি।
ঘিরে রাখার বিষয়ে ভবনের নিচে অবস্থান করা র্যাবের লিগ্যাল ও মিডিয়া উইংয়ের পরিচালক আশিক বিল্লাহ সাংবাদিকদের বলেন, আমরা একটা তথ্যের ভিত্তিতে এখানে (উত্তরা) এসেছি, তথ্য যাচাই করে বিস্তারিত বলতে পারব। আমরা একটা প্রক্রিয়ার মধ্যে আছি। প্রক্রিয়া শেষ হলে আপনাদের জানানো হবে।
আশিক বিল্লাহ বলেন, উত্তরা ১১ নম্বর সেক্টরের ২০ নম্বর রোডের ৬২ নম্বর বাসায় রিজেন্ট গ্রুপের দ্বিতীয় অফিস। ওই অফিসে আমরা অভিযানে যাব একটু বাদেই। সাহেদকে গ্রেপ্তারের পরই প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তিনি আমাদের এ তথ্য জানিয়েছেন। তাই আমরা সাহেদকে নিয়ে তার অফিসে অভিযানে যাব। অভিযানের পর এ ব্যাপারে বিস্তারিত জানানো হবে।
র্যাব সূত্র জানায়, সাহেদকে বর্তমানে র্যাব সদর দফতরে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। প্রাথমিক জিজ্ঞাবাদ শেষে তাকে নিয়ে দুপুরে উত্তরার ওই ফ্ল্যাটে অভিযান চালানো হতে পারে।
চিকিৎসাসেবা নিয়ে প্রতারণার অভিযোগে গত ৬ জুলাই বিকেল থেকে রাত অবধি উত্তরার রিজেন্ট হাসপাতালের মূল কার্যালয়ে প্রথমে অভিযান পরিচালনা করেন র্যাবের ভ্রাম্যমাণ আদালত। সেখান থেকে অভিযান শেষে হাসপাতালটির মিরপুর শাখায় অভিযান চালানো হয়। এ সময় হাসপাতালটির আট কর্মকর্তা-কর্মচারীকে আটক করা হয়।
এরপর ৭ জুলাই রাজধানীর উত্তরার ১১ নম্বর সেক্টরের কোভিড ডেডিকেটেড রিজেন্ট হাসপাতালটি সিলগালা করে দেয় র্যাব-১। এ ছাড়া উত্তরার ১৪ নম্বর সেক্টরের রিজেন্ট গ্রুপের মূল কার্যালয়ও সিলগালা করা হয়। ৭ জুলাই রিজেন্ট হাসপাতালের মালিক সাহেদসহ ১৬ জনের বিরুদ্ধে উত্তরা পশ্চিম থানায় মামলা করা হয়।
রিজেন্ট হাসপাতালের বিরুদ্ধে অভিযোগ, প্রতিষ্ঠানটি প্রায় সাড়ে চার হাজার করোনা টেস্টের ভুয়া রিপোর্ট দিয়েছে। একজন কম্পিউটার অপারেটর বসে বসে সাড়ে চার হাজার রিপোর্ট তৈরি করেছেন। মনগড়া রিপোর্ট পজিটিভ-নেগেটিভ দিয়েছেন।
চিত্রদেশ//এস//