সামাজিক ঈর্ষা: কানিজ কাদীর
মানুষ সামাজিক জীব। সমাজে সবাইকে মিলে মিশে একসাথেই থাকতে হয়। এ সমাজে কেউ হয়তো অনেক প্রতিষ্ঠিত, স্বচ্ছল। আবার কেউ হয়তো প্রতিষ্ঠিত নয়, অতটা স্বচ্ছলও নয়। এই সমাজটা ব্যালেন্স করে চলে একে অপরের সহযোগিতায়। কারও সাফল্য থাকবে , সুখবর থাকবে। কারও বা কষ্ট থাকবে, দু:সংবাদও থাকবে। মানুষ একে অপরের সাহায্যে, কল্যাণে এগিয়ে আসে বলেই সমাজটা টিকে থাকে। আবার দেখা যায় প্রত্যেকটা পরিবার গড়ে উঠে কিছু নিয়ম মেনে। কারও কারও পরিবারে সন্তানরা সুশিক্ষিত হয়ে সমাজে প্রতিষ্ঠিত হয়ে বড় বড় চাকরি করে, ব্যবসা চালায় বা নানা বড় বড় কর্মকান্ডে ব্যস্ত হয়ে পড়ে। এই যে সাফল্য এখানে থাকে অনেক পরিকল্পনা, ইচ্ছা, চেষ্টা ও পরিশ্রম। যে সাফল্য লাভ করে তাঁর কিন্তু থাকে প্রচন্ড চেষ্টা, প্রশিক্ষণ, চর্চা ও পরিশ্রম। এখানে তাকে আমাদের সবার সাধুবাদ জানানো উচিত। কিন্তু আমাদের সামজে কিছু মানুষ আছে যারা অন্যের সাফল্যে ঈর্ষায় ভোগে। এতে কারও কারও মনের নীচুতাই প্রকাশ পায়। কারও সাফল্যে তাকে অভিবাদন জানানো উচিত। এতে কিছু কমে যায় না। মানুষের ভাল গুণের প্রশংসা করলে কখনও কারও কিছু কমে যায় না। বরং তাঁর মনের উদারতা, বিশালতা প্রকাশ পায়। তার প্রতিও আল্লাহর রহমত নাজিল হয়। সবসময় আমাদের এই দৃষ্টিভঙ্গি থাকা উচিত যে আমার যে ভাল গুণগুলো আছে সেগুলোকে চর্চার মাধ্যমে আমি অনেক ভাল কিছু অর্জণ করবো। অন্যের ভাল দেখে হিংসা করলে মানুষ শুধু পিছিয়েই যায়।সামনে আগাতে পারে না। অন্যের কোন সুখবর বা গুণকে অনুপ্রেরণা হিসাবে নিয়ে নিজের গুণগুলোকে আরও ধারালো করতে হবে। আল্লাহতায়ালা সবাইকে কোন না কোন ভাল গুণ দিয়ে থাকেন । সেটাই মানুষের শক্তি। পাশাপাশি মানুষকে সৎ, চরিত্রবান ও ভাল ব্যবহার সম্পন্ন অবশ্যই হতে হবে।