প্রধান সংবাদবিনোদন

সরিষা ফুলের মধু চাষ করে স্বাবলম্বী হচ্ছেন অনেকেই

শরীয়তপুর প্রতিনিধি:
ভোজ্য তেলের ঘাটতি কমানোর চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় শরীয়তপুরে আগাম ও উন্নত জাতের সরিষা উৎপাদনের কার্যক্রম গতিশীল হয়েছে। সরকারের মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়নে এবার জেলাটিতে দ্বিগুণ জমিতে সরিষা আবাদ হয়েছে।

২০২৫ সালের মধ্যে দেশের ভোজ্য তেলের উৎপাদন ৪০ শতাংশ বাড়ানোর লক্ষ্যে কাজ করছে সরকার। এরই অংশ হিসেবে শরীয়তপুর কৃষি বিভাগ বারি-১৮, বারি-১৪, বারি-১৭, বিনা-৪ ও বিনা-৯ জাতে সরিষা আবাদে চাষিদের উদ্বুদ্ধ করছে। এতে গত মৌসুমের চেয়ে এবার জেলাটিতে ৪ হাজার ১৩০ হেক্টর বেশি জমিতে সরিষা আবাদ হয়েছে।

কৃষকরা বলছেন, এবার ফলন ভালো হওয়ায় ভালো লাভের প্রত্যাশা করছেন তারা।

জাতীয় ঘাটতি পূরণে মাঠ পর্যায়ে ব্লক ভিত্তিক শস্য বিন্যাসের মাধ্যমে আগাম জাতের সরিষার চাষের কথা জানিয়েছে স্থানীয় কৃষি বিভাগ।

শরীয়তপুর কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের জেলা প্রশিক্ষণ কর্মকর্তা কৃষিবিদ গোলাম রাসুল জানান, উপজেলার ক্রপ পর্যায় থেকে শুরু করে বিভিন্ন কার্যক্রম পাশাপাশি প্রণোদনা গ্রহণ করায় সরিষার আবাদ এ বছর ব্যাপকভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। আশা করছি, আগামী চার বছরের মধ্যে আমাদের যে লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে বেশি অর্জন করতে সক্ষম হবো।

এদিকে, মাগুরা সদরের ইছাখাদ গ্রামের মুখলেসুর রহমান এবার নিজ এলাকায় বড় পরিসরে মধু চাষ করে সফল হয়েছেন। সরিষা খেতের পাশে মৌ বক্সে উৎপাদিত এই খাটি মধু কিনতে প্রতিদিনই তার কাছে ভিড় করছেন অনেক মধু ব্যবসায়ী ও খুচরা ক্রেতা। এ কাজে নিজে সফল হওয়ার পাশাপাশি আশেপাশের জেলার প্রায় ৫ হাজার বেকার নারী-পুরুষকে প্রশিক্ষণ দিয়ে মোখলেছ।

মাগুরা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক সুফি মোহাম্মদ রফিকুজ্জামান জানান, সরিষা থেকে আমরা তেল পাচ্ছি, একই সঙ্গে মধুও পাচ্ছি আমরা। একই সঙ্গে দুটো পণ্যকে পাচ্ছি আমরা।

অন্যদিকে সাভারের ধামরাইয়ে বিস্তীর্ণ মাঠ জুড়ে ফুটে থাকা এই হলুদের রাজ্যের পাশে মৌ বক্স বসিয়ে খাটি মধু উৎপাদন করেছে স্থানীয় চাষিরা। এসব মধু সংগ্রহে দিনরাত কাজ করার পাশাপাশি দৈনিক মজুরির ভিত্তিতে স্থানীয় বেকার যুবকদেরও সহায়তা নিচ্ছেন। উপজেলাটিতে এবার ৬ হাজার ১ শ হেক্টর জমিতে উৎপাদিত সরিষা থেকে প্রায় ৭ মেট্রিকটন মধু সংগ্রহ করা যাবে বলছে স্থানীয় কৃষি বিভাগ।

সরকারের সঠিক উদ্যোগ ও পরিকল্পনা সরিষা থেকে উৎপাদিত এসব তেল ও মধু প্রক্রিয়াজাত এবং বাজারজাতকরণের পথকে আরো সহজ করবে, এমনটাই প্রত্যাশা চাষিদের।

সিএনএস ডটকম//এসএল//

Related Articles

Back to top button