সম্পর্ক ভালো রাখতে যে সমস্যাগুলো এড়িয়ে চলবেন
লাইফস্টাইল ডেস্ক:
চিকিৎসার ফলোআপের জন্য বুধবার বিকেলে লন্ডনের উদ্দেশে রওনা দিয়েছেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল। একইদিন তার দুই মেয়ে ও স্ত্রীও গেছেন বলে জানা গেছে। তার দুই মেয়ে লন্ডনেই থাকেন। কিন্তু করোনার বিস্তারের আগে দেশে এসে আটকা পড়েন। তাই আজকে তারাও গেছেন।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে মন্ত্রীর পিএস ড. মো. ফেরদৌস আলম বুধবার রাত ৯টার দিকে বলেন, ‘স্যার চিকিৎসার ফলোআপে আজ বুধবার বিকেলে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের একটি ফ্লাইটে লন্ডনের উদ্দেশে রওনা হয়েছেন।’
সপরিবারে গেছেন কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘তার মেয়েরা সেখানেই থাকেন। কিন্তু করোনার আগে দেশে এসে আটকে যান। তাই তারাও আজকে গেছেন। তবে স্যার স্যারের মতো গেছেন। আর তার মেয়েরা নিজেদের মতো গেছেন।’
এদিকে অর্থমন্ত্রীর স্ত্রীও তাদের সঙ্গে গেছেন বলে জানা গেছে। সূত্র জানায়, বাজেট অধিবেশনের আগেই অর্থমন্ত্রীর চোখের ফলোআপ চিকিৎসার জন্য লন্ডনে যাওয়ার কথা ছিল। কিন্তু অধিবেশনের কারণে তিনি যেতে পারেননি। এখন বাজেট শেষ হওয়ায় তিনি লন্ডনে গেছেন।
সূত্র আরও জানায়, করোনাভাইরাসের কারণে নিয়মানুযায়ী অর্থমন্ত্রী লন্ডনে ১৪ দিন কোয়ারেন্টাইনে থাকবেন। তারপর পূর্ব নির্ধারিত হাসপাতালে তিনি চোখের ফলোআপ চিকিৎসা করাবেন।
এদিকে গতকাল মঙ্গলবার (৩০ জুন) জাতীয় সংসদে প্রস্তাবিত ২০২০-২১ অর্থবছরের বাজেট পাস হয়েছে। অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল ২০২১ সালের ৩০ জুন সমাপ্ত অর্থবছরের কার্যাদি নির্বাহের জন্য সংযুক্ত তহবিল থেকে অর্থপ্রদান ও নির্দিষ্টকরণের কর্তৃত্ব প্রদানের জন্য আনীত বিলটি (নির্দিষ্টকরণ বিল, ২০২০) পাসের প্রস্তাব করলে কণ্ঠভোটে তা পাস হয়। এরপর সংসদে উপস্থিত সবাই টেবিল চাপড়ে অর্থমন্ত্রীকে স্বাগত জানান।
এই বাজেট বর্তমান অর্থমন্ত্রীর দ্বিতীয় বাজেট। আর বর্তমান আওয়ামী লীগ সরকারের টানা ১২তম বাজেট। নতুন বাজেটের আকার পাঁচ লাখ ৬৮ হাজার কোটি টাকা। মোট আয় তিন লাখ ৭৮ হাজার কোটি টাকা। ঘাটতি এক লাখ ৯০ হাজার কোটি টাকা। জিডিপির আকার ৩১ লাখ ৭১ হাজার ৮০০ কোটি টাকা। এর আগে গত ১১ জুন জাতীয় সংসদে এ বাজেট প্রস্তাব করেন অর্থমন্ত্রী।
বাইরে থেকে উজ্জ্বল এবং সুন্দর বলে মনে হলেও, আপনি যদি একবার প্রেমের জালে জড়িয়ে যান তবে বুঝতে পারবেন যে, কোনো সম্পর্কই আসলে ঝামেলামুক্ত নয়। ধীরে ধীরে হয়তো সম্পর্ক খারাপের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে, কিন্তু প্রাথমিক লক্ষণগুলো সম্পর্কে না জানার কারণে আমরা তা বুঝতে পারি না।
কোনো সম্পর্কের ক্ষেত্রে সমস্যা থাকা সম্পূর্ণ স্বাভাবিক। সেসব সমস্যা চিহ্নিত করে তা দূর করার চেষ্টাও করতে হবে। নয়তো সম্পর্ক ভাঙনের দিকে গড়াতে পারে। আপনি যদি মনে করেন, সম্পর্ক আর আগের মতো নেই তবে সমস্যা কোথায় তা খুঁজে বের করুন। এর প্রাথমিক লক্ষণগুলো জানা থাকলে সমস্যা খুঁজে বের করা সহজ হবে। এমনটাই জানাচ্ছে টাইমস অব ইন্ডিয়া-
সামঞ্জস্যের অভাব
প্রত্যেকেরই আলাদা আলাদা পছন্দ থাকে, তাই দু’জন মানুষ একসঙ্গে থাকতে গেলে তাদের মধ্যে সামঞ্জস্যতার অভাব অন্যতম প্রধান সমস্যা হয়ে ওঠে। আপনি যখন কোনো পার্টিতে যেতে পছন্দ করেন, আপনার সঙ্গী হয়তো সেসময় বাড়িতে বসে আরাম করতে পছন্দ করে। বা আপনার সঙ্গী অ্যাডভেঞ্চারার হতে পারে, যখন আপনার বইয়ের মধ্যেই ডুবে থাকতে ভালোবাসেন। কোনোকিছুতেই মিল না থাকলে তা ভবিষ্যতে একটি বড় সমস্যা হয়ে উঠতে পারে। তাই শুরুতেই এর সমাধান করে নিন।
ঘনিষ্ঠতা না থাকা
অন্তরঙ্গতা সন্তুষ্ট সম্পর্কের মূল চাবিকাঠি। আপনি যদি ইতিমধ্যে আপনার সঙ্গীর সাথে অস্বস্তিকর সম্পর্কের অভিজ্ঞতা অর্জন করেন, তবে আপনাদের সম্পর্কে ঘনিষ্ঠতা বাড়ানো জরুরি। এগুলো লুকিয়ে রাখা বা পাত্তা না দেয়ার পরিবর্তে এর থেকে বেরিয়ে আসুন এবং সমাধান খুঁজে বের করুন।
অগ্রাধিকার দেয় না
সঙ্গীর ইচ্ছাকে অন্য যেকোনো কিছুর চেয়ে উপরে রাখাই প্রেমের লক্ষণ। তবে, যদি আপনাদের সম্পর্ক কেবলই শুরুর দিকে এবং খেয়াল করেন যে সে আপনাকে অগ্রাধিকার দিচ্ছে না তবে ভেবে দেখার যথেষ্ট সময় রয়েছে। এক্ষেত্রে ছাড় দিয়ে চললে ভবিষ্যতের জন্য তা আরও খারাপ হয়ে দেখা দিতে পারে।
নিয়ন্ত্রণ করতে চাওয়া
অনেকে কেবল সঙ্গীকে নিয়ন্ত্রণ করতে চায়। এটি প্রচুর দ্বন্দ্ব এবং বিভ্রান্তির দিকে নিয়ে যায়। যদি আপনার সঙ্গী সবসময় আপনার সিদ্ধান্তগুলোর বিরোধিতা করার চেষ্টা করে বা নিয়ন্ত্রণ করে তবে বুঝবেন, আপনারা একটি ব্যর্থ সম্পর্ক বয়ে নিচ্ছেন। প্রতিটি সম্পর্কের ক্ষেত্রে বোঝাপড়া এবং স্বাধীনতা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
আক্রমণাত্মক স্বভাব
হিংসা, নিরাপত্তাহীনতা এবং সন্দেহ একটি সম্পর্কের সবচেয়ে নেতিবাচক তিনটি দিক। অনেক সময় এই বিষয়গুলো যে কাউকে আক্রমণাত্মক করে তুলতে পারে। সম্পর্কের অর্থ এই নয় যে, আপনি আপনার সঙ্গীকে তার ব্যক্তিগত প্রাপ্য থেকে বঞ্চিত করতে পারেন। এর কারণে ভবিষ্যতে সমস্যা হতে পারে এবং এমনকি ভেঙে যেতে পারে সম্পর্কও।
বিশ্বাস এবং সততার অভাব
আনুগত্য এবং বিশ্বাস একটি সম্পর্কের দৃঢ় ভিত্তি। এটি বন্ধনকে বাঁচিয়ে রাখে। আপনি যদি ইতিমধ্যে আপনার সঙ্গীর সম্পর্কে সন্দেহবাদী হন তা দূর করার চেষ্টা করতে হবে। কারও বিশ্বাস হারিয়ে ফেলা অত্যন্ত সহজ, তবে এটিকে ফিরে পাওয়া আরও বেশি কঠিন।
চিত্রদেশ//এস//