অর্থ-বাণিজ্যপ্রধান সংবাদ

সঞ্চয়পত্রে বিনিয়োগের সীমা কমলো

স্টাফ রিপোর্টার:
সঞ্চয়পত্রে বিনিয়োগ নিরুৎসাহিত করতে বিভিন্ন পদক্ষেপের অংশ হিসেবে জাতীয় সঞ্চয়পত্রে বিনিয়োগের সীমা কমিয়েছে সরকার। নতুন নিয়ম অনুযায়ী একক নামে ৫০ লাখ এবং যৌথ নামে এক কোটি টাকার বেশি সঞ্চয়পত্র কেনা যাবে না।

বৃহস্পতিবার (৩ ডিসেম্বর) অভ্যন্তরীণ সম্পদ বিভাগের (সঞ্চয় শাখা) সিনিয়র সহকারী সচিব নুসরাত জাহান নিসু স্বাক্ষরিত এক প্রজ্ঞাপনে বিনিয়োগের সীমা নির্ধারণ করা হয়।

প্রসঙ্গত বর্তমানে একক নামে সর্বোচ্চ এক কোটি ৫৫ লাখ এবং যৌথ নামে দুই কোটি ১৫ লাখ টাকা বিনিয়োগ করা যায়।

প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, ‘সঞ্চয়পত্র রুলস, ১৯৭৭ এবং পরিবার সঞ্চয়পত্র নীতিমালা, ২০০৯ এ বিনিয়ােগের ঊর্ধ্বসীমা বিষয়ে যাহাই বলা থাকুক না কেন সরকার পাঁচ বছর মেয়াদি বাংলাদেশ সঞ্চয়পত্র, তিন মাস অন্তর মুনাফাভিত্তিক সঞ্চয়পত্র এবং পরিবার সঞ্চয়পত্র তিনটি স্কিমের বিপরীতে সমন্বিত বিনিয়ােগের ঊর্ধ্বসীমা একক নামে সর্বোচ্চ ৫০ লাখ টাকা অথবা যৌথ নামে সর্বোচ্চ এক কোটি টাকা নির্ধারণ করিল। জনস্বার্থে এই আদেশ জারি করা হইল। ইহা জারির তারিখ হইতে কার্যকর হইবে।’

উল্লেখ্য, জাতীয় সঞ্চয় স্কিম অনলাইন ম্যানেজমেন্ট সিস্টেমের আওতায় গত ১ জুলাই থেকে সারাদেশে সঞ্চয়পত্র বিক্রি কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে। ক্রেতা বাংলাদেশ ব্যাংক, বাণিজ্যিক ব্যাংক, জাতীয় সঞ্চয় অধিদফতর বা ডাকঘর যেখান থেকেই সঞ্চয়পত্র কিনুক না কেন, সব তথ্য জমা হচ্ছে নির্দিষ্ট একটি ডাটাবেজে।

এক লাখ টাকার বেশি হলে ক্রেতাকে করদাতা শনাক্তকরণ নম্বর (টিআইএন) দিতে হচ্ছে। এছাড়া সবধরনের লেনদেন ব্যাংক অ্যাকাউন্টের মাধ্যমে করা বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। এসব কারণে সঞ্চয়পত্রে কালো টাকার বিনিয়োগ অনেকটা কমে এসেছে।

চিত্রদেশ//এফ//

Related Articles

Back to top button