শ্রমিকদের পাওনা পরিশোধের নির্দেশ দিলেন সাকিব
স্টাফ রিপোর্টার:
সাতক্ষীরার শ্যামনগরে কাঁকড়া খামারের বিক্ষোভরত কর্মচারীদের সকল পাওনা পরিশোধ করে দেয়ার নির্দেশ দিয়েছেন সাকিব আল হাসান। বর্তমানে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে পরিবারের সঙ্গে রয়েছেন তিনি। সেখান থেকেই সাতক্ষীরার ‘সাকিব আল হাসান অ্যগ্রো ফার্ম লিমিটেড’ কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দিয়েছেন শ্রমিকদের পাওনা পরিশোধ করার জন্য।
সোমবারই সাতক্ষীরার শ্যামনগর উপজেলার বুড়িগোয়ালিনী এলাকায় অবস্থিত সাকিব আল হাসানের কাঁকড়া খামারের দুই শতাধিক শ্রমিক চার মাসের বেতনের দাবিতে বিক্ষোভ শুরু করে। চারমাস ধরে বেতন না পেয়ে তারা বিক্ষোভ করতে বাধ্য হয়েছেন বলে জানান। করোনার কারণে সব কিছু বন্ধ থাকার কারণে মানবেতর জীবন-যাপন করছিলেন এই শ্রমিকরা।
সাকিব আল হাসানের কাঁকড়া ফার্মের অন্যতম স্বত্ত্বাধিকারী সাহাগির হোসেন পাভেল আগেই জানিয়েছেন, শ্রমিকদের পাওনা পরিশোধের জন্য ৩০ এপ্রিল পর্যন্ত সময় বেধে দেয়া ছিল। তবুও, তার আগে এভাবে বিক্ষোভ করা পুরোপুরিই অনাকাঙ্খিত।
মিডিয়ার সঙ্গে আলাপে পাভেল বলেন, ‘আমি গতকালই ওই ঘটনা ঘটার পর সাকিবের সঙ্গে ফোনে কথা বলেছি। আজ ফার্মের জেনারেল ম্যানেজারের সঙ্গে মিটিং করতে যাচ্ছি। সাকিব সব শ্রমিকের যাবতীয় সব পাওনা পরিশোধ করার নির্দেশ দিয়েছেন। যদিও আমরা শ্রমিকদের আগেই জানিয়েছিলাম যে, ৩০ এপ্রিল তাদের বকেয়া পাওনা পরিশোধ করা হবে। সাকিবও এ বিষয়ে জানতেন। এটা ছিল সত্যিই একটি অনাকাঙ্খিত ঘটনা। এ জন্য আমরাও খুব হতাশ।’
বিক্ষোভরত শ্রমিকরা জানান, গত জানুয়ারিতেই ফার্মের কার্যক্রম বন্ধ করে দেয়। এরপরও আমরা চার মাসের বেতন পাওনা রয়েছে। যদিও সাকিবের ফার্মের অন্যতম স্বত্ত্বাধিকারী পাভেল জানাচ্ছেন, যারা বিক্ষোভ করেছে তাদের সবাই কিন্তু বকেয়া বেতন পাওনা নন।
তিনি বলেন, ‘দেখুন, করোনাভাইরাসের কারণে গত জানুয়ারি থেকেই আমাদের শিপমেন্ট পুরোপুরি বন্ধ। গত জানুয়ারিতেই তাই আমরা ৮০ ভাগ শ্রমিককে বিদায় করে দিয়েছিলাম। সংখ্যাটা হবে প্রায় ২৫০ জন। বাকি প্রায় ৪০ জন কর্মচারি ছিল, যারা ফার্মেই অবস্থান করছিলেন। এদের মধ্য থেকেও বেশ কয়েকজনকে ফেব্রুয়ারি, মার্চ এবং চলতি এপ্রিল মাসে বিদায় করে দেয়া হয়। সুতরাং, সব শ্রমিকই চার মাসের পারিশ্রমিক পাবেন, এটা মোটেও সত্য নয়।’
পাভেল আরো জানান, ‘তবুও আমরা সব শ্রমিকের প্রতিই দয়াশীল। জানুয়ারি থেকে যেসব শ্রমিককেও বিদায় করে দেয়া হয়েছে তাদের অধিকাংশই- যারা আমাদের কাছে পাওনা রয়েছেন, তাদের সবার পারিশ্রমিক যত দ্রুত সম্ভব দিয়ে দেয়ার ব্যবস্থা করছি। তবে, করোনাভাইরাসের কারণে আমরা ব্যবসায় বিশাল ক্ষতির সম্মুখিন। আমাদের বেশ কিছু বিল পেমেন্ট বাকি রয়ে গেছে। তবুও, গতকাল যে বিক্ষোভ হয়েছে, যেটা সত্যিই অনাকাংখিত, আমরা দ্রুত ব্যবস্থা নিচ্ছি পাওনা পরিশোধের। এটা তো শুধু এককভাবে আমাদের একার সমস্যা নয়। করোনাভাইরাসের কারণে সারা বিশ্বব্যাপিই রপ্তানিমুখি সমস্ত ব্যবসার একই অবস্থা দাঁড়িয়েছে।’
চিত্রদেশ//এফ//