প্রধান সংবাদলাইফস্টাইল

শীতে সর্দি-কাশি-অ্যালার্জি, কোন ফলের রস খেলে উপকার পাবেন?

লাইফস্টাইল ডেস্ক
শীত এলেই বেড়ে যায় সর্দি-কাশি, অ্যালার্জির সমস্যা। ওষুধ খেয়েও কমতে চায় না। কিন্তু অ্যালার্জির সঙ্গে আপস করা যায় না। একমাত্র যারা ভুক্তভোগী তারাই জানেন অ্যালার্জি কতটা মারাত্মক হতে পারে। বিশেষত খাদ্যনালী, শ্বাসনালী বা চোখের মতো স্পর্শকাতর স্থানগুলোতে অ্যালার্জি হলে তা ভয়াবহ আকার ধারণ করতে পারে।

‘অ্যালার্জিক রাইনাইটিস’ হলে অবস্থা গুরুতর হতে পারে। যাদের এই সমস্যা থাকে তারা লাগাতার সর্দি-কাশির সমস্যায় ভোগেন। চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, কেবল ওষুধ খেয়ে এই সমস্যার সমাধান হবে না। তারচেয়ে বরং নিয়মিত কয়েক রকম ফলের রস খেলে উপকার মিলতে পারে।
সর্দি-কাশি বা অ্যালার্জির মতো সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে ভরসা রাখতে পারেন আনারসের রসে। আনারসে রয়েছে ব্রোমালেইন নামক একটি উপাদান যা মিউকাসের ক্ষরণ বন্ধ করতে পারে। গলা ব্যথা বা গলায় সংক্রমণ হলেও সেটি কমায় আনারসের রস। এই ফলে রয়েছে ভিটামিন সি যা ঠান্ডা লাগার ধাত কমায়। শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়। তাই সর্দি-কাশি-জ্বর হওয়ার আশঙ্কা কম থাকে।

আনারস ছাড়াও খেতে পারেন মুসাম্বির রস। এই লেবুতে রয়েছে প্রচুর ফ্ল্যাভোনয়েড। হজম শক্তি বৃদ্ধিতে দারুণ ভূমিকা রাখে এই উপাদান। মুসাম্বিতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি। রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ানোর পাশাপাশি এটি সংক্রমণ জনিত অসুখ থেকেও সুরক্ষা দিতে পারে। এই লেবুতে থাকে অ্যান্টি-হিস্টামিন যা অ্যালার্জিক রাইনাইটিসের প্রকোপ কমাতে পারে।

শীতের সময়ে এমনিও অ্যালার্জির সমস্যা বেড়ে যায়। চিকিৎসকরা বলেন, রাইনাইটিস থাকলে কোনোভাবেই ঠান্ডা লাগানো যাবে না। ঠান্ডা লাগলেই শুরু হবে লাগাতার হাঁচি। সর্দি-কাশি কমতেই চাইবে না। সেসঙ্গে চোখ দিয়ে অনবরত পানি পড়া, চোখ ফুলে লাল হয়ে যাওয়া, চোখ ও নাকের চারপাশে চুলকানি হওয়ার মতো সমস্যাও দেখা দিতে পারে।

অ্যালার্জিক রাইনাইটিস থেকে অনেকের ত্বকের অ্যালার্জিও হয়। ত্বক শুষ্ক হয়ে ফেটে যাওয়া, চুলকানি, খসখসে হয়ে যাওয়া, ফোসকা পড়ার মতো সমস্যা দেখা দেয়। যাকে ‘অ্যাটোপিক ডার্মাটাইটিস’ বলে। তাই শীতে অ্যালার্জি থেকে দূরে থাকতে ভিটামিন সি ও অ্যান্টি অক্সিড্যান্ট আছে এমন খাবার খেতেই হবে।

Related Articles

Back to top button