শিশুদের কলকাকলিতে মুখর বইমেলা
স্টাফ রিপোর্টার:
একুশে গ্রন্থমেলায় আজ ছিলো শিশুপ্রহর। শুক্রবার (২৫ ফেব্রুয়ারি) সকাল ১১টায় খোলা হয়েছে মেলার দ্বার। গেট খোলার পর থেকেই শিশুদের আনাগোনায় মুখর হয়ে উঠে পুরো মেলা প্রাঙ্গণ। বিভিন্ন স্কুলের শিক্ষার্থী ছাড়াও অনেক ছোট্ট ছোট্ট সোনামণিদের দেখা গেছে শিশুপ্রহরে। বাবা-মায়ের সঙ্গে গ্রন্থমেলায় বই কিনতে দেখা যায় শিশুদের।
গ্রন্থমেলার শিশুকর্নার ঘুরে দেখা গেছে, বিভিন্ন বয়সী শিশুরা স্টল ঘুরে ঘুরে বইয়ের পাতা উল্টে নিজেদের পছন্দের বই খুঁজছে। অনেক অভিভাবক আবার মেলায় আসাকে স্মৃতিময় করে রাখতে বাচ্চাদের নিয়ে ফ্রেমে বন্দি হচ্ছেন।
কথা হয় মেলায় ঘুরতে আসা চতুর্থ শ্রেণির শিক্ষার্থী মানজিল মুনিরের সঙ্গে। গত বছরের মতো এবারও সে মায়ের সঙ্গে একুশে গ্রন্থমেলায় বই কিনতে এসেছে। কমিক ও বিজ্ঞানের বই পড়তে তার ভীষণ পছন্দ।
যাত্রাবাড়ী থেকে পাঁচ বছরের সন্তান রাবিয়াকে নিয়ে মেলায় এসেছেন রাইসুল ইসলাম ও সাবরিন। তারা দুজনই সরকারি চাকরিজীবী।
সাবরিন বলেন, একুশে ফেব্রুয়ারির দিন আসতে পারিনি। আজ সুযোগ পেয়েছি বাচ্চাকে নিয়ে চলে এসেছি। ফাইভ মোরাল, দাদুর বাগানের গল্পসহ বেশকিছু বই নেওয়া হয়েছে। দুপুর পর্যন্ত থাকবো। এরপর ফিরবো।
মাসুদ ও ফারিয়া দম্পতি তাদের আড়াই বছরের বছরের শিশু মামুনকে নিয়ে মেলায় এসেছেন। মাসুদ জানান, এখন মেলা আগের চেয়ে অনেক পরিপাটি। ধুলাবালি নেই। স্পেস বেড়েছে। সবমিলিয়ে বাচ্চাকে নিয়ে দিনটি খুব উপভোগ করছি।
স্টলে বই কিনছিলেন হাসিব। পড়েন প্রথম শ্রেণিতে। হাসিব বলে, কমিক্স আর রূপকথার গল্পের বই পড়তে বেশ ভালোলাগে। মেলায় তার প্রথম আসা। কয়েকটি স্টল ঘুরে পছন্দের ৬টি বই কিনেছে।
ঘাসফড়িং স্টলের এক বিক্রিয়কর্মী বলেন, শিশুদের জন্য বেশ কিছু চমৎকার বই প্রকাশিত হয়েছে। সকাল ১১টায় মেলার দ্বার খুলেছে। অনেকেই আসছেন, দেখছেন। কেউ কেউ কিনছেন। তবে বেলা বাড়লে বিক্রি আরও বাড়বে বলে আশা প্রকাশ করেন তিনি।
গ্রন্থমেলায় শিশুদের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করতে ১৯৯৮ সালে থেকে ‘শিশুপ্রহর’ সুবিধা চালু করে বাংলা একাডেমি। এরপর থেকে এটি নিয়মিত পালন করছে মেলা আয়োজক কমিটি।
চিত্রদেশ//এফটি//