রোববার থেকে শুরু আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলা
নিজস্ব প্রতিবেদক
পূর্বাচলে ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলার ২৮তম আসর শুরু হচ্ছে আগামী কাল রোববার থেকে। উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। চলছে শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতি। থাকবে কড়া নিরাপত্তা ব্যবস্থা। বঙ্গবন্ধু টানেলের আদলে নির্মাণ করা হয়েছে প্রধান ফটক। তুলে ধরা হয়েছে সরকারের উন্নয়নের নানা চিত্র। স্টলে-স্টলে শেষ মুহূর্তের সাজসজ্জা।
১৯৯৫ সাল থেকে যথারীতি বছরের প্রথম দিন থেকেই বসে ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলা। কিন্তু এবার তার ব্যতিক্রম। ৭ জানুয়ারি জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার কারণে পেছানো হয়েছে মেলার ২৮তম আসর। নির্বাচন পরবর্তী নতুন সরকার ও নতুন মন্ত্রিপরিষদ গঠন হওয়ায় মেলা বসার দিনক্ষণ নিয়ে অনিশ্চয়তায় ভুগছিল মেলায় বরাদ্দ নেয়া স্টল মালিক-শ্রমিকরা। তার অবসান ঘটিয়ে মেলা বসার সব প্রস্তুতি প্রায় শেষ।
দেশের পণ্য প্রদর্শনীর সব থেকে বড় আয়োজন আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলা। দেশীয় পণ্যের পাশাপাশি প্রতিবছর ভারত, পাকিস্তান, থাইল্যান্ড, তুরস্ক, মালয়েশিয়া, ইন্দোনেশিয়া, হংকং, সিঙ্গাপুর, নেপালসহ বিভিন্ন দেশের পণ্য শোভা পায় এ মেলায়।
দুই বছর ধরে রাজধানীর পূর্বাচলে বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশ-চীন মৈত্রী প্রদর্শনী কেন্দ্রে (বিবিসিএফইসি) বাণিজ্য মেলা অনুষ্ঠিত হচ্ছে। এর আগে শহরের শেরেবাংলা নগরে বাণিজ্য মেলা অনুষ্ঠিত হতো। মূলত জনদুর্ভোগ এড়াতে বাণিজ্য মেলা মূল শহর থেকে পূর্বাচলে স্থানান্তরের পরিকল্পনা নেয় সরকার।
এবারের আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলায় ১০ ক্যাটাগরিতে থাকছে ৩০০টি স্টল, ২৩টি প্যাভিলিয়ন। থাকছে ২৭টি মিনি প্যাভিলিয়নও। বিদেশি স্টল আছে ১২টি। অত্যাধুনিক শিশু পার্কের ব্যবস্থাও এবার থাকছে।
মেলা ঘিরে থাকছে কড়া নিরাপত্তা ব্যবস্থা। সিসি ক্যামেরার পাশাপাশি থাকছে ওয়াচ টাওয়ার ও পুলিশ কন্ট্রোল রুম। স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও ইজারাদারের পক্ষ থেকেও মাঠে থাকবে স্বেচ্ছাসেবক টিম।
দর্শনার্থীদের জন্য রাজধানীর কুড়িল থেকে ৫০টি বিআরটিসি শাটল বাস সার্ভিসের ব্যবস্থা করা হয়েছে। সংশ্লিষ্টদের আশা-জমজমাট হবে এবারের আয়োজন। বাণিজ্য মেলায় বড়দের প্রবেশের টিকেটের মূল্য নির্ধারণ করা হয়েছে ৫০ ও শিশুদের জন্য ২৫ টাকা।
//এস//