রোজিনার মুক্তির দাবিতে সাব-এডিটরস কাউন্সিলের মানববন্ধন
স্টাফ রিপোর্টার:
সাংবাদিক রোজিনা ইসলামের নিঃশর্ত মুক্তির দাবি জানিয়েছে ঢাকা সাব-এডিটরস কাউন্সিল (ডিএসইসি)। একইসঙ্গে তার বিরুদ্ধে করা মামলা প্রত্যাহার ও তাকে হেনস্থার ঘটনায় স্বাধীন নিরপেক্ষ তদন্ত কমিটি গঠনের দাবি জানিয়েছে সংগঠনটি।
শনিবার (২২ মে) বেলা ১১টায় জাতীয় প্রেস ক্লাব প্রাঙ্গণে সাংবাদিক রোজিনার মুক্তি, মামলা প্রত্যাহার ও দোষীদের শাস্তির দাবিতে আয়োজিত মানববন্ধনে এ সব দাবি জানায় সংগঠনের নেতারা।
সংগঠনের সভাপতি মামুন ফরাজীর সভাপতিত্বে, সাধারণ সম্পাদক আবুল হাসান হৃদয়ের পরিচালনায়, মানববন্ধনে উপস্থিত ছিলেন জাতীয় প্রেস ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক ইলিয়াস খান, বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের (বিএফইউজে) সভাপতি মোল্লা জালাল, ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব আবদুল মজিদ, মহাসচিব নুরুল আমিন রোকন, কোষাধ্যক্ষ দীপ আজাদ, ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি কুদ্দুস আফ্রাদ, কাদের গণি চৌধুরী, সাধারণ সম্পাদক সাজ্জাদ আলম তপু, শহিদুল ইসলাম, ডিইউজের কোষাধ্যক্ষ আশরাফুল ইসলাম, ডিইউজের যুগ্ম সম্পাদক খায়রুল আলম, দফতর সম্পাদক জান্নাতুল ফেরদৌস, ডিএসইসির সহ-সভাপতি আনজুমান আরা শিল্পী, সাংগঠনিক সম্পাদক শামসুল আলম সেতু, কোষাধ্যক্ষ অলক বিশ্বাস, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক কবীর আলমগীর, প্রশিক্ষণ ও গবেষণা সম্পাদক লাবিন রহমান, কার্যনির্বাহী সদস্য জাফরুল আলম, আবু জাফর সাইফুদ্দীন, ডিএসইসির সাবেক সভাপতি শাহ মুতাসিম বিল্লাহ, নাসিমা সোমা, আল মামুন প্রমুখ।
মানববন্ধনে সংহতি জানায় বাংলাদেশ ব্রডকাস্ট জার্নালিস্ট সেন্টার, ঢাকা সাংবাদিক পরিবার বহুমুখী সমিতি, ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি (ডিআরইউ)সহ সাংবাদিকদের বিভিন্ন সংগঠন।
মানববন্ধনে বিএফইউজে’র সভাপতি মোল্লা জালাল বলেন, ‘আমরা আশা করি আগামীকাল রোববার সাংবাদিক রোজিনা ইসলামকে নিঃশর্তভাবে মুক্তি দেওয়া হবে। তা না হলে নো রিটার্ন হোম আন্দোলন শুরু করা ছাড়া উপায় থাকবে না। আমাদের আর পেছনে ফেরার কোনো সুযোগ নেই।’
ঢাকা সাব-এডিটরস কাউন্সিলের সভাপতি মামুন ফরাজী বলেন, ‘সাংবাদিক রোজিনা ইসলামকে নিঃশর্ত মুক্তি দিতে হবে। সচিবালয়ের দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তা যারা তাকে হেনস্ত করেছে, তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে। এ ছাড়া রোজিনাকে হেনস্থার ঘটনায় স্বাধীন নিরপেক্ষ তদন্ত কমিটি গঠন করতে হবে। তা না হলে আমাদের আন্দোলন চলবেই।’
মানববন্ধনে সব ভেদাভেদ ভুলে অধিকার আদায়ে সাংবাদিকদের জাতীয় ঐক্যের তাগিদ দেওয়া হয়। এ ছাড়া সাংবাদিক নিপীড়ন-নির্যাতনে ব্যবহার হওয়া সাইবার সিকিউরিটি অ্যাক্টসহ সকল কালাকানুন বাতিলের দাবি জানানো হয়।
চিত্রদেশ//এস//