রিজেন্ট গ্রুপের চেয়ারম্যান সাহেদের ব্যাংক হিসাব স্থগিত
স্টাফ রিপোর্টার:
রিজেন্ট গ্রুপের চেয়ারম্যান মো. শাহেদ, সাহেদ বা শাহেদ করিম যে নামেই থাকুক না কেন- তার ব্যাংক হিসাব অবরুদ্ধ বা স্থগিত করার নির্দেশ দিয়েছে বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট (বিএফআইইউ)।
বৃহস্পতিবার এক চিঠির মাধ্যমে বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোকে এ নির্দেশ দেয় বিএফআইইউ।
চিঠিতে উল্লেখ করা হয়, ‘রিজেন্ট গ্রুপের চেয়ারম্যান মো. শাহেদ/ সাহেদ/ মো. শাহেদ করিম এবং তার স্বার্থসংশ্লিষ্ট ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানসমূহের নামে আপনার ব্যাংকে পরিচালিত সব হিসাবের লেনদেন অবরুদ্ধ করার নির্দেশ প্রদান করা হলো। আগামী ৩০ দিন অবরুদ্ধ থাকবে এ সব ব্যাংক হিসাব। মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইন, ২০১২ এর ২৩ (১) (গ) ধারায় প্রদত্ত ক্ষমতা বলে এ নির্দেশ দেয়া হলো। এটি অবিলম্বে কার্যকর হবে’।
জানা গেছে, করোনাভাইরাসের নমুনা পরীক্ষা না করে সনদ প্রদানসহ বিভিন্ন অপরাধে রিজেন্ট গ্রুপের চেয়ারম্যান মো. শাহেদ অভিযুক্ত থাকায় ইতিমধ্যে তার বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়। এছাড়া বুধবার বিভিন্ন গণমাধ্যমে রিজেন্ট হাসপাতালের কয়েকটি শাখা সিলগালা করে দেয়ার খবরের ওপর ভিত্তি করে তার ব্যাংক হিসাব অবরুদ্ধ করার নির্দেশ দেয় বিএফআইইউ।
এর আগে গত সোমবার রিজেন্ট হাসপাতালের উত্তরা ও মিরপুর শাখায় ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন র্যাাবের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সারোয়ার আলম।
অভিযানে ভুয়া করোনা পরীক্ষার রিপোর্ট, করোনা চিকিৎসার নামে রোগীদের কাছ থেকে অর্থ আদায়সহ নানা অনিয়মের সঙ্গে তার জড়িত থাকার বিষয়টি উঠে আসে। এরপর মঙ্গলবার রাতে উত্তরা পশ্চিম থানায় দণ্ডবিধি ৪০৬/৪১৭/৪৬৫/৪৬৮/৪৭১/২৬৯ ধারায় প্রতারণার অভিযোগে রিজেন্ট হাসপাতালের চেয়ারম্যান মো. সাহেদকে এক নম্বর আসামি করে সংশ্লিষ্ট ১৭ জনের বিরুদ্ধে একটি মামলা দায়ের করা হয়। এর মধ্যে আটজনকে আটক করা হয়েছে। সাহেদসহ নয়জন পলাতক। ওইদিনই রিজেন্ট হাসপাতালের সঙ্গে সমঝোতা স্মারক চুক্তি (এমওইউ) বাতিলসহ অবিলম্বে হাসপাতালটির সব কার্যক্রম বাতিল এবং সিলগালা করার নির্দেশ দেয় স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়। রিজেন্ট হাসপাতালে র্যা বের অভিযান, বিভিন্ন পত্রপত্রিকায় প্রকাশিত নানা অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগে দেশ ও সরকারের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণ হওয়ায় এ সিদ্ধান্ত নেয় মন্ত্রণালয়।
রিজেন্ট হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে অভিযোগ- হাসপাতালটি করোনার নমুনা পরীক্ষা না করে ভুয়া রিপোর্ট তৈরি করত। সরকারের সঙ্গে হাসপাতালটির চুক্তি ছিল ভর্তি রোগীদের বিনামূল্যে চিকিৎসা দেয়ার। সরকার এ ব্যয় বহন করবে। কিন্তু তারা রোগীপ্রতি লাখ টাকার বেশি বিল আদায় করেছে।
রোগীদের বিনামূল্যে চিকিৎসা দিয়েছে এই মর্মে সরকারের কাছে ১ কোটি ৯৬ লাখ টাকার বেশি বিল জমা দেয়। রিজেন্ট হাসপাতাল এ পর্যন্ত ২০০’র মতো কোভিড রোগীর চিকিৎসা দিয়েছে বলে জানা গেছে।
চিত্রদেশ//এফ//