প্রধান সংবাদ

যারাই ইতিহাসকে বিকৃত করতে চেয়েছে, তারাই মুছে গেছে: তথ্যমন্ত্রী

স্টাফ রিপোর্টার:
তথ্যমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহ্‌মুদ বলেছেন, ‘যারা ইতিহাসবিকৃতি ঘটিয়েছে, ইতিহাসকে মুছে ফেলতে চেয়েছে, তারাই ধীরে ধীরে ইতিহাসের পাতা থেকে মুছে গেছে, এটিই ইতিহাসের শিক্ষা।’

আজ রাজধানীতে জাতীয় প্রেসক্লাবে প্রধান মিলনায়তনে বঙ্গবন্ধুর ৭ই মার্চের ভাষণের আলোকচিত্র এবং বাংলা ও ইংরেজি ভাষায় বিবরণ সংবলিত ‘মুক্তির ডাক’ গ্রন্থের দিনব্যাপী প্রদর্শনী উদ্বোধনকালে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় মন্ত্রী একথা বলেন।

মন্ত্রী বলেন, ‘বিএনপি ৭ই মার্চের ভাষণের সমালোচনা করে বুঝিয়ে দিয়েছে, সমগ্র বাঙালি জাতি বুঝলেও তারা পাকিস্তানিদের মতোই সেই ঐতিহাসিক ভাষণটি বোঝেনি। আশা করেছিলাম বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবাষির্কীতে একটি অনুষ্ঠান তারা পালন করবে। কিন্তু তারা ১৭ মার্চ পালন করে না। ১৫ আগস্ট যেদিন বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করা হলো সেদিন তারা ভুয়া জন্মদিন পালন করে।’

ড. হাছান বলেন, ‘আমি আশা করেছিলাম বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবাষির্কী ও স্বাধীনতার ৫০তম বার্ষিকীতে তারা অতীতের ভুল স্বীকার করবে, এতোদিন ধরে যে ১৫ আগস্ট কেক কেটে ভুয়া জন্মদিন পালন করেছে, এজন্য জাতির কাছে ক্ষমা চাইবে। কিন্তু আজকে তারা সেই সুযোগটি নিতে ব্যর্থ হয়েছে।’
ড. হাছান এসময় ৭ মার্চের ভাষণের ভিডিওচিত্র ধারণকারীদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানিয়ে বলেন, পূর্ব পাকিস্তান টেলিভিশন সেদিন ভাষণটি ধারণ করতে পারেনি। কিন্তু আমাদের ডিএফপি (চলচ্চিত্র ও প্রকাশনা অধিদপ্তর) এই ভাষণটি ধারণ করেছিল। শুধু তা-ই নয়, সেটি পাকিস্তানিদের চক্ষু এড়িয়ে প্রথমে সচিবালয়ে পরে কেরানীগঞ্জে ধানের গোলার মধ্যে লুকিয়ে রেখে পরে সেটি ভারতে নিয়ে সংরক্ষণ করেছিলেন ডিএফপি’র সদস্যরা।’

যারা সেদিন এই কাজ করেছিলেন, তারা অনেকেই বেঁচে আছেন এবং তথ্যমন্ত্রী হিসেবে তাদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানাই, ধন্যবাদ জানাই’ উল্লেখ করে ড. হাছান বলেন, ‘আজকে ইতিহাসের পাতায় তারা যেভাবে এই জিনিসগুলোকে ধারণ করেছেন এজন্য আসলে তারা জাতির পক্ষ থেকে ধন্যবাদ পাওয়ার অধিকার রাখেন।’
এসময় ‘মুক্তির ডাক’ গ্রন্থটির দ্বিতীয় সংস্করণের মোড়ক উন্মোচনে তথ্যমন্ত্রীর সাথে অংশ নেন গ্রন্থটির সম্পাদক ও বিশেষ অতিথি বাংলাদেশ সংবাদ সংস্থা পরিচালনা পর্ষদের চেয়ারম্যান আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক, ৭ই মার্চের ভাষণের অন্যতম আলোকচিত্রী রফিকুর রহমান, জাতীয় প্রেসক্লাবের সভাপতি ফরিদা ইয়াসমিন, আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি নির্মল গুহ, সাধারণ সম্পাদক আফজালুর রহমান বাবু, গ্রন্থটির প্রকাশক জয়িতা প্রকাশনীর সত্ত্বাধিকারী ইয়াসিন কবীর জয় প্রমুখ।
বইটি সম্পর্কে তথ্যমন্ত্রী বলেন, আমরা সবাই ৭ মার্চের ভাষণ সম্পর্কে জানি, কিন্তু একটি পুস্তকের মধ্যে সমস্ত ছবিগুলো নিয়ে আসা এবং ভবিষ্যতের জন্য এই ইতিহাস সংরক্ষণে প্রকাশনাটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

চিত্রদেশ//এফ//

 

Related Articles

Back to top button