এ জীবন দেখতে দেখতে চলে যায়। কিভাবে যে সময় চলে যায় এক সময় তা ভেবে ভেবেই আমরা হাহুতাশ করি। এই ছোট্ট জীবনে নিজেকে ভালোবাসা অত্যন্ত জরুরী। নিজেকে ভালোবেসে নিজের প্রতি যত্নশীল হওয়া আরও জরুরী। আমাদের সমাজের বেশীর ভাগ মেয়েই নিজের প্রতি উদাসীন। তারা স্বামী, সন্তান, সংসারকে এত ভালোবাসে যে তারা মনে করে যে নিজের জীবন পাত করে হলেও সবার জন্য করতে হবে। কেউ কেউ যেন নিজের চুল আচরানোর সময়ই পায় না। সারাদিন : রান্নাবান্না, ঘরবাড়ী গোছানো ও অন্যান্য কাজ তদারকি করতে করতে তারা ঠিক সময়ে গোসল, খাওয়া দাওয়া করতেও ভুলে যায়। শ্বশুড় বাড়ির নানা ধরণের নিয়মকানুন, ঘরসংসারের নানা দায়িত্ব কাঁধে নিয়ে একজন নারী ঠিকমত বিশ্রামও নিতে পারে না। দিনশেষে তার পরিশ্রমকে প্রায়ই অবমূল্যায়ন করা হয়। বেশীর ভাগ নারী ভুলে যায় তার নিজের জন্য একটু সময় দরকার। মেয়েদের বলবো নিজের প্রতি যত্ন নিন । সংসার বা বাহিরের কাজের মাঝেও একটু সময় রাখুন।নিজেকে পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাখুন।,ঘরে ভাল কাপড় চোপড় পরুন। অনেকে মনে করে নিজের ঘরে সবচেয়ে তেনা তেনা মিল -ঝিল নাই এমন কাপড় চোপড় পরলে অসুবিধা কি? না, আপনার পরিবারের প্রতিটা সদস্য আপনার দিকে চেয়ে থাকে, আপনার কাছ থেকে শুধু তারা ভাল রান্না -আপনাকে সুন্দর পরিপাটি দেখতেও পছন্দ করে। চেষ্টা করে দেখুন। আপনি প্রতিদিন নিজের চুল, দাতঁ, মুখের যত্ন নিন। সুষম খাবার খান। নিজের জন্য সময় বের করুন। একান্তে একট বই পড়ার, গান শোনার ছবি আকাঁর (যদি থাকে), সেলাই করার অথবা বসে বসে রিলাক্স করে চা-কফি পান করার। সময়মত চিকিৎসার প্রয়োজন হলে চিকিৎসা নিন। সময় করে হালকা ব্যায়াম করুন। মাঝে মাঝে আপনার মুখমন্ডলে প্রাকৃতিক ফেইস প্যাক দিন। মুখে ভালো লোশন ব্যবহার করুন। সুন্দর করে সাজগোজ করুন। পরিবার, সমাজ একজন অসুস্থতায় প্যান প্যান মানুষ দেখতে পছন্দ করে না। আপনার ত্যাগ কষ্ট কয়জন মনে রাখবে। যার যার জীবন নিয়ে সে ব্যস্ত। দেখবেন দিনশেষে আপনি একা। তাই নিজেকে কর্মক্ষম রাখুন, সাথে সাথে সতেজ রাখুন। নিজেকে শিক্ষিত ও আত্মনির্ভরশীল করে গড়ে তুলুন। নিজের প্রতি উদাসীনতা কমিয়ে নিজেকে নিজে যত্ন করুন । নিজেকে আরও গুরুত্বপূর্ণ করে তুলুন।
তবে আশার আমাদের মেয়েরা এখন নিজের প্রতি অনেকখানিই সচেতন। পরিবেশ ও পরিস্থিতি অনেক সময়ই তাকে গুটিয়ে রাখে। তবে সব কিছুর মাঝেই একজন নারীকে সচেতন থাকা জরুরী। তাই প্রয়োজন নিজেকে সুশিক্ষিত ও স্বনির্ভর করে গড়ে তোলা।





