মেদ কমাবে যেসব খাবার
লাইফস্টাইল ডেস্ক:
ক্ষুধা লাগলেই ফাস্ট ফুড, চাওমিন বা বিরিয়ানি খাচ্ছন? অনিয়মের বেড়াজালে নিজেকে বন্দী করে কিন্তু নানা জটিল রোগকেই কাছে ভিড়তে সাহায্য করে চলেছেন! হৃদরোগ, হাড়ের অসুখ, ডায়াবেটিসের মতো সমস্যাগুলো শুরু হয় মেদ বৃদ্ধি থেকেই। সঠিক ডায়েটের পাশাপাশি নিয়মিত শরীরচর্চা পারে এসব রোগ থেকে দূরে রাখতে। কঠিন নিয়মে নিজেকে অভ্যস্ত করতে না পারলে প্রতিদিনই খেতে পারেন এমন কিছু খাবার যা মেদ ঝরাতে সাহায্য করে। মেদ কমাতে কার্বোহাইড্রেটের পরিমাণে হ্রাস টানা জরুরি। প্রোটিন দিয়ে পেট ভরাতে পারলে সবচেয়ে ভালো হয়। তার সঙ্গে আরও কিছু খাবারদাবার যোগ করতে পারেন মেদ কমানোর জন্য।
টক দই প্রোটিন
প্রাণীজ বা উদ্ভিজ্জ প্রোটিন খান প্রচুর পরিমাণে। মাছ, মুরগির মাংস, ডিম, পনিরের সঙ্গে মসুর ডাল ও সয়াবিনও থাকুক পাতে।
টক দই
শরীরকে কেবল ডিটক্স করতেই নয়, ওবেসিটি কমাতেও টক দইয়ের ভূমিকা অপরিহার্য। টক দইয়ের ফারমেন্টেড এনজাইম খাবার হজমের জন্য ভীষণ উপযোগী। এতে ফ্যাটও কম থাকে এবং এটি কোলেস্টরলের মাত্রা কমাতে সাহায্য করে। প্রতিদিন এক বাটি দই খেতে পারেন মেদের সঙ্গে লড়াই করতে চাইলে।
লেবু
যেকোনও ধরনের লেবু, বিশেষ করে বাতাবিলেবু বা কমলালেবু মেদ ঝরাতে বিশেষ উপযোগী। শরীরে জিঙ্ক, ম্যাগনেশিয়াম, ভিটামিন ই এর মতো উপাদানগুলো পরিমাণ কম থাকলে ওজন বাড়ে। সেই প্রবণতা দূর করে লেবু।
মৌসুমি শাকসবজি
ভাত-রুটির পরিমাণ কমিয়ে বা ভাত বন্ধ করে পেট ভরাতে বেশি করে শাকসবজি খান। পাশাপাশি মাছ, মাংস, ডাল তো থাকবেই। শরীরে ফাইবারের যোগান বাড়িয়ে ওজন কমাতে সাহায্য করে সবজি।
গ্রিন টি
অ্যান্টিঅক্সিড্যান্টে ভরপুর এই পানীয় শরীরে মেটাবলিজমের হার বাড়িয়ে তোলে। মেটাবলিজম হার বাড়লে ক্ষুধা কমে। ওজন নিয়ন্ত্রণে থাকে।
ওটমিল
সকালের নাস্তায় ওটমিল রাখতে পারেন নিশ্চিন্তে। এটি প্রচুর পরিমাণে ফাইবারের যোগান দেয়। ফলে পেট ভরা থাকে অনেকক্ষণ।
বাদাম
বাদাম থেকে পাওয়া যায় স্বাস্থ্যকর ফ্যাট। ভারি খাবারের মাঝের সময়ে ক্ষুধা মেটাতে বাদাম খান। আমন্ড, কাজু বা চিনাবাদাম খেতে পারেন।
চিত্রদেশ //এস//