একটি মানুষের দুটি স্বত্বা। একটি বাহ্যিক ও একটি অভ্যন্তরীন। বাহ্যিক স্বত্বা তার দেহ আর অভ্যন্তরীন স্বত্বা তার মন। আমরা শুধু মানুষের বাহ্যিক অর্থাৎ শারিরীক রূপ দেখি তার ভিতরের রূপ অর্থাৎ তার মনের খবর কেউ জানি না। একজন মানুষের দেহকে তৃপ্ত করা যায় নানাভাবে। আরামে খেয়ে-দেয়ে, শুয়ে, ঘুমিয়ে, ফূর্তি করে অথবা শরীরকে নানাভাবে উপভোগ করে। কিন্তু একজন মানুষের মনকে কি খবু সহজে তৃপ্ত করা যায়? যায় না। একজন মানুষের শরীরকে উপভোগ করা খুব সহজ কিন্তু তার মনকে ছুঁয়ে যাওয়া এত সহজ নয়। মনের তৃপ্তি একেবারে্ই ভিন্ন। তাই যদি হতো তাহলে তো আর অশান্তিই থাকতো না। এই যে স্বামী স্ত্রী একসাথে একই বিছানায় রাত কাটায় তারা কেউ কি তাদের অন্তরের সাথে যোগাযোগ করার চেষ্টা করে। না করে না। তারা শুধুই বাহ্যিক উপভোগে ব্যস্ত হয়ে পড়ে। আর তাইতো রাত পোহালে স্বামী যেন আর স্ত্রীকে চিনতে চায় না। স্ত্রীর কাছেও স্বামীকে অচেনা মনে হয়। স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে আবারও তর্ক বিতর্ক হয় নানা বিষয়ে। আবার তারা এক হয়। এভাবে চলতে থাকে। তাহলে কি বলবো আমাদের বাহ্যিক শরীরটা নিতান্তই একটা খোলস, সেখানে মানুষের অন্তরের কোন অস্তিত্ব থাকে না, ব্যক্তির কোন অস্তিত্ব থাকে না, থাকে শুধু তার শরীরের একদলা মাংসপিন্ড। আর তাইতো এই মাংসপিন্ডকে উপভোগ করার জন্য এত অন্যায় করে ফেলে মানুষ, হয়ে যায় হিতাহিত জ্ঞানশূন্য।