মাস্ক পরা ভুলে গেলে চলবে না: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
স্টাফ রিপোর্টার:
স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেছেন, ‘মানুষের মনোভাব বদলেছে। প্রতিদিন এখন ২ লাখ লোক টিকা গ্রহণ করছে। এ টিকা সবচেয়ে নিরাপদ টিকা। এ টিকার মাধ্যমেই আমরা করোনাকে দুর করবো। করোনা কিন্তু এখনই চলে যাচ্ছে না। মাস্ক পরার বিষয়টি ভুলে গেলে চলবে না। মাস্ক আপনারা পরতে থাকবেন, টিকাও নিতে থাকবেন। এক পর্যায়ে ইনশাল্লাহ করোনা এ দেশ থেকে বিদায় নিবে।
রোববার দুপুরে শহরের খানপুর এলাকায় ৩০০ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতাল (করোনা ডেডিকেটেড হাসপাতাল) পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের উদ্দেশ্যে মন্ত্রী এসব কথা বলেন।
মন্ত্রী বলেন, আমরা অনেক দেশ থেকে ভালো আছি। আশে পাশের অনেক দেশ এখনো তারা লকডাউন খুলতে পারে নাই। ইউরোপ, অ্যামেরিকা লকডাউনে আছে। তাদের অর্থনীতি ধ্বংস প্রাপ্ত। কিন্তু বাংলাদেশ প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে অনেক ভালো আছে। সকলেই কাজ কর্ম করে খেতে পারছে। ব্যবসা বাণিজ্য চলছে কারণ করোনা নিয়ন্ত্রণে আছে। মন্ত্রী আরো বলেন, ‘এ হাসপাতালটি আমরা ঘুরে দেখলাম। এখানে করোনার টিকা খুবই সফল ভাবে দেয়া হচ্ছে। প্রত্যেকদিন প্রায় দেড় হাজার লোককে টিকা দেয়া হচ্ছে। করোনার উৎপত্তি কিন্তু এ নারায়ণগঞ্জ থেকেই হয়েছিলো। আমি সারা দেশের সাথে কথা বলতাম ও খোঁজ নিতাম। দুটি জায়গা থেকে বেশি করোনা ছড়িয়েছে এর একটি নারায়ণগঞ্জ ও গাজীপুর এবং ঢাকা শহর থেকেও ছড়িয়েছে। কাজে এটি একটি করোনার সেন্টার ছিলো। কিন্তু আনন্দের বিষয় যেটা করোনার সেন্টার ছিলো এ জায়গাটাই এখন প্রায় করোনা মুক্ত।
নারায়ণগঞ্জের জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ভবনে হার্ট সেন্টার করার আবেদনের বিষয়ে মন্ত্রী বলেন, আমরা এ বিষয়ে যথাযথ গুরুত্ব সহকারে পদক্ষেপ গ্রহণ করবো। আমরা আইন মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে কথা বলে এ ভবনটি নেয়ার চেষ্টা করবো। ভবনটি যদি আমরা নিতে পারি তাহলে অবশ্যই এখানে একটি সুন্দর হাসপাতাল হবে।’
কোভিড ডেডিকেটেড হাসপাতালে সাধারণ চিকিৎসা চালু ও দ্রুত উন্নয়নের বিষয়ে মন্ত্রী বলেন, ‘এ রকম করোনা ডেডিকেটেড হাসপাতাল বাংলাদেশে অনেকগুলো হয়েছে। প্রতিটি হাসপাতালে করোনা ইউনিট ছিলো। এখন তো করোনা নাই। সারা দেশে মাত্র ১৩০০ রোগী আছে। অনেক হাসপাতালে আর রোগী নাই। সেগুলো করোনা মুক্ত হয়ে গেছে। এ হাসপাতালে ৮ জন রোগীও যদি থাকে তাহলে তারা একটি কর্নারে থাকতে পারবে। দ্রুত সাধারণ চিকিৎসা সেবা শুরু হবে আর হাসপাতালের উন্নয়ন কাজ দ্রুত শেষ হবে।’
এ সময় উপস্থিত ছিলেন নারায়ণগঞ্জ-৫ আসনের এমপি একেএম সেলিম ওসমান, নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের এমপি শামীম ওসমান, নারায়ণগঞ্জ ৩০০ শয্যা হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক আবুল বাশারসহ স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের ডিজি, সচিবসহ প্রশাসনের কর্মকর্তারা।
চিত্রদেশ//এইচ//