প্রধান সংবাদ

ভাস্কর্যবিরোধীদের উদ্দেশে যা বললেন হাছান মাহমুদ

স্টাফ রিপোর্টার:
দেশে ভাস্কর্য নিয়ে অহেতুক একটি বিতর্ক সৃষ্টির অপচেষ্টা চালানো হচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন তথ্যমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ।

তিনি বলেছেন, উপমহাদেশে ইংরেজরা আসার পর কেউ কেউ ইংরেজি শিক্ষা হারাম বলে ফতোয়া দিয়েছিল, টেলিভিশন চালু হলে তা দেখা হারাম এবং হজে যাওয়ার জন্য ছবি তোলাও হারাম বলে বিভ্রান্তি ছড়ানো হয়েছিল। মুক্তিযুদ্ধের সময় ফতোয়া দেয়া হল যে, যারা পাকিস্তানের বিরুদ্ধে লড়াই করছে তারা সবাই কাফের। সেই ধারাবাহিকতাতে তাদেরই প্রেতাত্মারা কিন্তু আজকে ভাস্কর্য নিয়ে প্রশ্ন তুলছে, বিভ্রান্তি ছড়াচ্ছে।

বৃহস্পতিবার দুপুরে রাজধানীর ধানমণ্ডিতে আওয়ামী লীগ সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ে দলের ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ উপকমিটির পক্ষ থেকে বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়ন ও ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের জন্য মাস্ক হস্তান্তর অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

সমগ্র বিশ্বের উদাহরণ দিয়ে তথ্যমন্ত্রী বলেন, ইসলামী দেশগুলোসহ সারাবিশ্বে এমনকি সৌদি আরবেও মানুষের অবয়বসহ নানা ভাস্কর্য রয়েছে। ইরানে ইসলামী বিপ্লবের মাধ্যমে যেখানে ইসলামী সরকার প্রতিষ্ঠিত হয়েছে, সেখানে আয়াতুল্লাহ খোমেনীরও ভাস্কর্য আছে।

হাছান মাহমুদ বলেন, বাংলাদেশেও অনেক আগে থেকে বহু নেতা, কবি, সাহিত্যিকের ভাস্কর্য আছে। তখন কেউ কিছু বলেন নাই। হঠাৎ করে এই প্রশ্ন আনা রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। কারণ যারা এই প্রশ্নগুলো উপস্থাপন করছেন তাদের কোনো না কোনো রাজনৈতিক দলের সঙ্গে সংশ্লিষ্টতা আছে। তারা বিভিন্ন দলের নেতা, তাদের দলগুলো আবার নির্বাচন কমিশনে নিবন্ধিত। সুতরাং তারা যখন বক্তব্য দেয়, তখন রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবেই বক্তব্য দেয়।

ইসলাম একটি শান্তির ধর্ম, এর অপব্যাখ্যা করে বিভ্রান্তি না ছড়ানোর জন্য বিনীতভাবে অনুরোধ জানিয়ে ড. হাছান বলেন, যারা এতদিন ধরে স্বাধীনতাবিরোধীদেরকে লালন করেছে, পোষণ করেছে, স্বাধীনতাবিরোধীদের দিয়ে রাজনীতি করে, তারাই এটার পেছনে ইন্ধন দিচ্ছে। সুতরাং আমাদেরকে এ ব্যাপারে সতর্ক থাকতে হবে।

সর্বসাধারণের মাঝে বিতরণের উদ্দেশ্যে আওয়ামী লীগের ত্রাণ কমিটিকে ৫০ হাজার মাস্ক দেয়ার জন্য অস্ট্রেলিয়া আওয়ামী লীগ ও সিডনি আওয়ামী লীগকে ধন্যবাদ জানিয়ে তথ্যমন্ত্রী বলেন, মানুষের পাশে দাঁড়াতে গিয়ে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের প্রায় ৬শ’ কর্মী-সমর্থক, মন্ত্রিসভার সদস্য, পার্লামেন্ট সদস্য, কেন্দ্রীয় কমিটির অনেকেই মৃত্যুবরণ করেছেন। ভয়-ভীতি উপেক্ষা করে তারা সবাই মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছেন, বহুজন আক্রান্ত হয়েছেন। কিন্তু, আওয়ামী লীগ মানুষের পাশে আছে এবং থাকবে। কারণ রাজনীতি হচ্ছে একটি ব্রত। রাজনীতি মানুষের কল্যাণের জন্য, মানুষের সেবার জন্য।

আওয়ামী লীগের ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ উপকমিটির সম্পাদক সুজিত রায় নন্দীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে মাস্ক প্রদানকারী দু’টি সংগঠন অস্ট্রেলিয়া আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক গাউসুল আজম শাহজাদা এবং সিডনি আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ফয়সাল আজাদকে সঙ্গে নিয়ে ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি কুদ্দুস আফ্রাদ ও ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের যুগ্ম সম্পাদক আবদুল মজিদের হাতে মাস্ক তুলে দেন তথ্যমন্ত্রী।

চিত্রদেশ//এফ//

Related Articles

Back to top button