প্রধান সংবাদলাইফস্টাইল

ভালোবাসার এই দিনে, ভালোবাসা নাও চিনে

লাইফস্টাইল ডেস্ক
ভালোবাসা চিনতে পারা যায়? না চিনলে মানুষ ভালোবাসায় জড়ায় কী করে! তবু প্রেম যখন আসে, যখন আসে তখন ভেঙেচূড়েই আসে। হৃদয়ের ভেতরে ঝড় বয়ে যায়। সেই ঝড়ে আর আগের মানুষটা টিকে থাকতে পারে না। প্রেম এসে বদলে দেয় ভেতর-বাইরে অনেককিছুই। যেহেতু হৃদয়ের বিষয়, তাই একে হেলাফেলা করা উচিত নয়। প্রেমে সাধারণত মানুষ বারবার পড়ে না।

একটি সম্পর্ক একদিনের জন্য হয় না। অধিকাংশ ক্ষেত্রেই লক্ষ্য থাকে তা সারাজীবন টেনে নেওয়ার। কিন্তু সবাই পারেন কি? হয়তো পারেন, হয়তো পারেন না। যারা পারেন না তাদের ক্ষেত্রে নিজের ভালোবাসার মানুষকে চিনতে না পারাটা একটি বড় কারণ হতে পারে। তাই ভালোবাসার মানুষটিকে আগেভাগেই চিনতে পারা ভালো। এতে ভালোবাসা ভালো থাকে।

সে কি আপনার কথা ভাবে?

যদি সে আপনাকে ভালোবাসে, আপনার কথা সারাক্ষণ না ভাবলেও দিনের মধ্যে কিছুটা সময় আপনার জন্য ভাববে। আপনাকে মিস করবে। এবং এই কথা সে আপনাকে নানাভাবে বোঝানোর চেষ্টা করবে। সে কাজের ফাঁকে ফাঁকে আপনার সঙ্গে একটু হলেও কথা বলার সুযোগ খুঁজবে। এই বিষয়গুলোর দিকে খেয়াল রাখুন। তবে সবারই ব্যস্ততা থাকে। তাই তার ব্যস্ততার প্রতিও খেয়াল রাখতে হবে। অকারণে অভিমান করবেন না। যদি সে পর্যাপ্ত সময় পাওয়ার পরও আপনাকে একদমই সময় না দেয়, তাহলে হতে পারে সে আপনার জন্য সঠিক মানুষ নয়।

 

সে কি আপনার মতামতের গুরুত্ব দেয়?

ভালোবাসার মানুষের কাছে আপনার কথা কিংবা মতামতের গুরুত্ব অবশ্যই থাকবে। সে যদি আপনার কোনো কথা কানেই না তোলে কিংবা শুনেও না শোনার ভান করে থাকে তবে বুঝে নেবেন তার কাছে আপনার মতামতের গুরুত্ব এতটুকু নেই। এখন আপনি যখন একজন সম্পূর্ণ আলাদা মানুষ, আপনারও নিজস্ব চিন্তা-ভাবনা রয়েছে। তাই ভালোবাসার মানুষটির কাছে আপনার মতামতের গুরুত্ব থাকা জরুরি। নয়তো একসঙ্গে পথচলা দুঃসাধ্য হয়ে যাবে।

 

সে আপনাকে ছোট করে কথা বলে না তো!

ভালোবাসার মানুষটিকে মানুষ নিজের মতোই ভালোবাসে। তাই যাকে ভালোবাসে তাকে ইচ্ছাকৃতভাবে কখনো ছোট করে কথা বলতে পারে না। কারণ সে তো নিজেরই অংশ। তাই তাকে ছোট করা মানে নিজেকেই ছোট করা। যদি আপনার ভালোবাসার মানুষটি আপনাকে ছোট করে কথা বলার চেষ্টা করে তবে বুঝে নেবেন সে আপনার ভালোবাসার মানুষ হতেই পারে না। কারণ ভালোবাসলে সে আপনাকে নিজেরই অংশ বলে ভাবতো।

আপনাদের লক্ষ্য কি এক?

জীবনে লক্ষ্য থাকা জরুরি। নয়তো মানুষ কিছুটা দূরে গিয়ে মুখ থুবড়ে পড়বে। আর সেই লক্ষ্যের সঙ্গে ভালোবাসার মানুষটির জীবনের লক্ষ্যে মিল থাকা জরুরি। কিছু অমিল থাকাই স্বাভাবিক। অন্য কেউ কখনো পুরোপুরি আপনার মতোই হবে না। কিন্তু জীবনের লক্ষ্যে যদি আগাগোড়া অমিল থাকে, সেই পথে এগিয়ে যাওয়াই সম্ভব নয়। তাই খেয়াল করুন, আপনাদের লক্ষ্যে মিল আছে কি না। থাকলে ভালো, না থাকলে আরও একবার ভেবে দেখুন।

//এস//

Related Articles

Back to top button