প্রধান সংবাদ

ভাঙা হচ্ছে বসিলা সেতু

স্টাফ রিপোর্টার:
রাজধানীর কেরানীগঞ্জে বুড়িগঙ্গা নদীর ওপর নির্মিত বসিলা সেতু (শহীদ বুদ্ধিজীবী সেতু) ভেঙ্গে উচ্চতা বাড়িয়ে নতুন করে তৈরির কথা ভাবছে সরকার। সারাদেশে নির্বিঘ্নে নৌচলাচলের প্রয়োজনে বসিলাসহ দেশের ৮০৫টি সেতু প্রয়োজনীয় উচ্চতায় পুনঃনির্মাণ করা হবে।

বুধবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভাশেষে এ কথা জানান পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী ড. শামসুল আলম।

গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী ও একনেক চেয়ারপারসন শেখ হাসিনা অংশ নেন। এছাড়া শেরেবাংলা নগরের মন্ত্রিসভা কমিটি পরিষদ (এনইসি) সম্মেলন কক্ষে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রী ও সচিবরা ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে যুক্ত ছিলেন।

সভা শেষে পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান ও পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী ড. শামসুল আলম যৌথভাবে সংবাদ সম্মেলন করেন।

পরিকল্পনা মন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী এটি আগেও বহুবার বলেছেন, (আজ) আবারও জোর দিয়ে বলেছেন, যে আমরা কালভার্ট, সেতু তৈরি করতে গিয়ে নৌপথ অচল করে ফেলেছি।” সারা দেশে উচ্চতা ঠিক রেখে সেতু বানাতে নির্দেশ দিয়েছেন তিনি। প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, যেকোনো জায়গায় সেতু বানানোর আগে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর, সড়ক ও জনপথ (সওজ) বিভাগ ও বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষকে (বিআইডব্লিউটিএ) সমন্বয় করে কাজ করতে হবে।

এ সময় পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী শামসুল আলম বলেন, প্রতিটা ব্রিজ পরিকল্পনা মাফিক নির্মাণ করতে হবে।

ব্রিজ নির্মাণের সময় উচ্চতা ঠিক রাখতে হবে যেন ব্রিজের নিচ দিয়ে কার্গো চলাচল করতে পারে। নতুন প্রকল্পের আওতায় ৮০৫টি ব্রিজ ভাঙতে হবে। যেমন- বসিলা ব্রিজ ভাঙার উদ্যোগ নেয়া হচ্ছে। বর্ষার কারণে কার্গো জাহাজগুলো ব্রিজের নিচে দিয়ে যেতে পারে না। ব্রিজটি আরো উঁচু করতে হবে।

বেড়িবাঁধ চৌরাস্তা থেকে শহীদ বুদ্ধিজীবী সেতু পর্যন্ত বুড়িগঙ্গাপাড়ের এলাকাটি বছিলা নামে পরিচিত। এই সেতুকে বছিলা ব্রিজ বা তৃতীয় বুড়িগঙ্গা সেতু নামেও ডাকা হয়। ব্রিজটি মোহাম্মদপুরের সঙ্গে কেরানীগঞ্জকে যুক্ত করেছে।

২০০৯ সালের ২৯ ডিসেম্বর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা শহীদ বুদ্ধিজীবী সেতুটি উদ্বোধন করেন। বছিলা এলাকাটি ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) ৩৩ নম্বর ওয়ার্ডের অন্তর্ভুক্ত। প্রায় ৮৪ কোটি ৯ লাখ টাকা ব্যয়ে ৭০৮ মিটার দৈর্ঘ্যের এই সেতুটি নির্মাণ করা হয়। ভুল পরিকল্পনার কারণে মাত্র ১১ বছরের ব্যবধানে সেতুটি ভেঙে নতুন করে নির্মাণের পরিকল্পনা করছে সরকার।

চিত্রদশ//এফটি//

Related Articles

Back to top button