বোরকা পরেও রক্ষা পেলেন না শাহেদ
স্টাফ রিপোর্টার:
অবশেষে গ্রেপ্তার করা হয়েছে রিজেন্টের চেয়ারম্যান শাহেদকে। বুধবার ভোর ৫টার দিকে অস্ত্রসহ সাতক্ষীরা সীমান্তের দেবহাটা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। র্যাবের মিডিয়া উইংয়ের পরিচালক আশিক বিল্লাহ এ তথ্য জানান।
র্যাব জানায়, বোরকা পরে শাহেদ নৌকাযোগে পালানোর চেষ্টা করছিলো।
এছাড়া প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে শাহেদ অপরাধের দায় স্বীকার করেছে বলে গণমাধ্যম সূত্রে জানা গেছে।
শাহেদকে হেলিকপ্টারে করে ঢাকায় আনার পর সংবাদ সম্মেলন করে বিস্তারিত জানানো হবে বলেও র্যাবের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে।
এর আগে শাহেদকে ধরার জন্য মঙ্গলবার মৌলভীবাজার অভিযান চালানো হয়েছিলো।
এর আগে শাহেদের প্রতারণা কাজের অন্যতম সহযোগী রিজেন্ট গ্রুপের এমডি মাসুদ পারভেজকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব। মঙ্গলবার সন্ধ্যা ৭টার দিকে গাজীপুরের কাপাসিয়া এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
প্রসঙ্গত, ৭ জুলাই অভিযান চালিয়ে রিজেন্ট হাসপাতালের উত্তরা ও মিরপুরের শাখা দুটি সিলগালা করে দেয় র্যাবের ভ্রাম্যমাণ আদালত।
অভিযানের পর র্যাবের ম্যাজিস্ট্রেট সারোয়ার আলম সাংবাদিকদের বলেন, রিজেন্ট হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে তিন ধরনের অভিযোগ ও অপরাধের প্রমাণ তারা পেয়েছেন।
এরপর প্রতারণার অভিযোগে রিজেন্ট হাসপাতালের চেয়ারম্যান মো. শাহেদকে প্রধান আসামি করে ১৭ জনের নামে উত্তরা পশ্চিম থানায় মামলা করে র্যাব। এরই মধ্যে হাসপাতালটির ব্যবস্থাপকসহ ৮ জনকে আটক করা হয়। তবে অভিযানের পর থেকেই পলাতক ছিলেন শাহেদ।
রিজেন্ট হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে অভিযোগ, হাসপাতালটি করোনার নমুনা পরীক্ষা না করে ভুয়া রিপোর্ট তৈরি করত। হাসপাতালটির সঙ্গে সরকারের চুক্তি ছিল ভর্তি রোগীদের বিনামূল্যে চিকিৎসা করাবে। কিন্তু এ চুক্তি ভঙ্গ করে রোগীপ্রতি লক্ষাধিক টাকা বিল আদায় করে তারা। রোগীদের বিনামূল্যে চিকিৎসা দেওয়ার কথা বলে সরকারের কাছে ১ কোটি ৯৬ লাখ টাকার বেশি বিল জমা দেয়।
এছাড়া সরকারের সঙ্গে বিনামূল্যে করোনা পরীক্ষার চুক্তি থাকলেও তারা তারা আইইডিসিআর, আইটিএইচ ও নিপসম থেকে ৪ হাজার ২০০ রোগীর বিনামূল্যে নমুনা পরীক্ষা করিয়ে এনেছে। পাশাপাশি নমুনা পরীক্ষা না করেই আরও তিন গুণ লোকের ভুয়া করোনা রিপোর্ট তৈরি করে।
চিত্রদেশ//এস//