বৈদ্যুতিক ট্রেনের যুগে বাংলাদেশ, চালিয়ে দেখানো হলো
স্টাফ রিপোর্টার:
প্রথমবারের মতো বৈদ্যুতিক ট্রেনের যুগে প্রবেশ করল বাংলাদেশ। রেলপথে প্রথম বৈদ্যুতিক ট্রেন পরীক্ষামূলকভাবে চালিয়ে দেখানো হয়েছে।
মঙ্গলবার দুপুর ১২টার দিকে উত্তরায় মেট্রোরেলের ডিপোতে বিদ্যুতের সাহায্যে দেশের ইতিহাসে মেট্রোরেলের প্রথম চলাচল দেখানো হয়।
এর আগে রাজধানীর উত্তরার দিয়াবাড়ির ডিপো এলাকায় রাখা হয়েছে জাপান থেকে আনা মেট্রোরেলের ছয়টি বগি।
ডিপোর হল রুমে মেট্রোরেলের প্রথম সেটের প্রদর্শনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে ভিডিও কনফারেন্সে যুক্ত হয়ে বক্তব্য দেন সড়ক পরিবহণ ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
ঢাকায় নিযুক্ত জাপানের রাষ্ট্রদুত ইতো নাওকি বিশেষ অতিথি হিসেবে, জাপান আন্তর্জাতিক সহযোগিতা সংস্থার (জাইকা) আবাসিক প্রতিনিধি ইউহো হায়াকাওয়া, বাস্তবায়নকারী প্রতিষ্ঠান ডিএমটিসিএলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এম এ এন সিদ্দিক ও প্রকল্প পরিচালক আফতাব উদ্দিন তালুকদার বক্তব্য দেন।
ওবায়দুল কাদের বলেন, এমআরটি-৬ প্রকল্পের সকল ক্ষেত্রে বিভিন্ন পর্যায়ের কাজ চলমান রয়েছে। ডিপোর অভ্যন্তরে রেললাইন নির্মাণের কাজ সম্পন্ন হয়েছে। ভায়াডাক্টের ওপরে সাড়ে ১০ কিলোমিটার রেললাইন স্থাপন করা হয়েছে।
তিনি জানান, ২০২১ সালের মধ্যে ভায়াডাক্টের ওপরে মূল রেলপথে বৈদ্যুতিক ট্রেনের ‘পারফর্ম্যান্স টেস্ট’ শুরু করা হবে। এরপর ‘ইন্টিগ্রেটেড টেস্ট’ করা হবে। এরপর ট্রেনের ‘ট্রায়াল রান’ শুরু হবে।
অনুষ্ঠানে জাইকার আবাসিক প্রতিনিধি ইউহো হায়াকাওয়া বলেন, এই প্রকল্প বাংলাদেশ এবং জাপানের দ্বিপক্ষীয় সহযোগতার একটি নমুনা। প্রকল্পটি বাস্তবায়নে ডিএমটিসিএল এবং জাইকা দুই পক্ষই মহামারীর মধ্যেও আন্তরিকভাবে কাজ করে যাচ্ছেন।
এটি ঢাকা শহরের গণপরিবহনের চেহারা পাল্টে দেবে মন্তব্য করে তিনি বলেন, উত্তরা থেকে মতিঝিল পর্যন্ত বৈদ্যুতিক এই ট্রেন চালু হলে এর সুফল ভোগ করবে এই রুটের বিপুল কর্মজীবী মানুষ।
জাপানি প্রযুক্তিতে তৈরি হওয়া এই পরিবহন ব্যবস্থা নিরাপদ, জ্বালানীসাশ্রয়ী ও পরিবেশ বান্ধব বলেও জানান তিনি।
তিনি বলেন, এই রেলের ছয় কোচের প্রতিটি সেট একসঙ্গে আগে ভাড়া পরিশোধ সিস্টেমে এক হাজার ৭০০ যাত্রী পরিবহন করবে।
জাপানের রাষ্ট্রদুত ইতো নাওকি বলেন, বাংলাদেশের স্বপ্নের উন্নয়নের মাইলফলকের এই প্রকল্পে অংশীদার হতে পেরে আমরা সত্যি গর্বিত।
কোভিড-১৯ মহামারির মধ্যে এই প্রকল্পটির অসাধারণ অগ্রগতি হয়েছে। এজন্য তিনি প্রকল্প বাস্তবায়নের সঙ্গে জড়িত সব পক্ষকে আন্তরিক ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, উত্তরা থেকে মতিঝিল পর্যন্ত ১০০ মিনিটের ভ্রম সময় মেট্রোরেল লাইন চালুর মাধ্যমে মাত্র ৩৬ মিনিটে নেমে আসবে।
চিত্রদেশ//এল//