বেড়েছে নদী ভাঙনের তীব্রতা
স্টাফ রিপোর্টার:
বিভিন্ন নদ-নদীর পানি বাড়তে থাকায় দেশে বন্যা পরিস্থিতির আরো অবনতি হয়েছে। বন্যার সাথে সাথে নদী ভাঙনের তীব্রতা বেড়েছে। প্রতিদিন কোন না কোন স্থাপনা নদী গর্ভে চলে যাচ্ছে।
এরই মধ্যে মানচিত্র থেকেও হারিয়ে গেছে দেশের কয়েকটি গ্রাম। নিঃস্ব হয়েছে অসংখ্য মানুষ। আতঙ্ক আর উৎকন্ঠায় দিন কাটছে ঝুঁকিতে থাকা এলাকার মানুষের। তাদের সবারই অভিযোগ, ভাঙন রোধে কেউ কোন কার্যকর পদক্ষেপ নিচ্ছে না।
বিভিন্ন গণমাধ্যমের তথ্য মতে, সম্প্রতি মাদারীপুরের শিবচরে পদ্মায় বিলীন হয়ে যায় চরাঞ্চলের শিক্ষার বাতিঘর। তার এক সপ্তাহের মধ্যেই আরও একটি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ৩ তলা ভবনের একাংশ ভেঙ্গে পড়েছে।
রংপুরের নদীগর্ভে গেছে গোটা শংকরদহ গ্রামটি। চিহ্ন হিসেবে আছে শুধু একটি মসজিদ। এভাবে গ্রামের পর গ্রাম এবং বিভিন্ন এলাকা চলে যাচ্ছে নদীতে।
লক্ষ্মীপুরের রামগতি ও কমলনগর উপজেলায় মেঘনার ভাঙন বেড়েছে। গত কয়েকদিনে নদী গর্ভে চলে গেছে ২ উপজেলার কয়েকটি হাট-বাজার, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও হাজার হাজার একর ফসলি জমি। হুমকিতে রয়েছে আরো বেশ কয়েকটি এলাকা।
নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জে বামনী নদীর ভাঙ্গনের কবলে চর এলাহী ইউনিয়ন। এরইমধ্যে ইউনিয়নের অনেক রাস্তাঘাট, ঘরবাড়ি আর ফসলি জমি নদীগর্ভে গেছে। এমন ভাঙল চলতে থাকলে কয়েকদিনের মধ্যে হয়তো মানচিত্রে এলাকাটির কোন চিহ্নই থাকবে না।
বর্ষয়ি নরসিংদীর রায়পুরায় মেঘনা নদীতে ভাঙন শুরু হয়। অপরিকল্পিতভাবে বালু তোলার কারণে এ ভাঙন বলে অভিযোগ স্থানীয়দের।
ধরলা নদীর ভাঙনে কুড়িগ্রামে মাত্র এক সপ্তাহে নিঃস্ব হয়েছে অর্ধশত পরিবার। অনেকেই আশ্রয় নিয়েছেন বাঁধে।
চিত্রদেশ//এফ//