আন্তর্জাতিকপ্রধান সংবাদ

বাতাসের মাধ্যমেও করোনা ছড়ায়: ডব্লিউএইচও

আন্তর্জাতিক ডেস্ক:

বিশ্বব্যাপী মহামারি আকারে ছড়িয়ে পড়া করোনা ভাইরাস আসলে বায়ুবাহিত, কিছুদিন ধরেই এমন দাবি করে আসছেন একদল বিজ্ঞানী। তাদের দাবি, বাতাসে ভাসমান ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র করোনা জীবাণু মানুষকে সংক্রমিত করতে পারে। এজন্য বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থাকে (ডব্লিউএইচও) এ পর্যন্ত করোনা রোধে দেওয়া স্বাস্থ্যবিধিতে পরিবর্তন আনার পরামর্শ দিয়েছেন বিজ্ঞানীরা।এত দিন ধরে বিভিন্ন গবেষণায় প্রমাণ পাওয়া গেলেও বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা একে গুরুত্ব দেয়নি। তবে দুই শতাধিক বিজ্ঞানীর চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দেওয়ার পর বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) বাতাসে করোনা ভাইরাস ছড়িয়ে পড়ার প্রমাণ উঠে আসার কথা স্বীকার করেছে।

মঙ্গলবার (০৭ জুলাই) সংবাদ সম্মেলনে সংস্থাটির কোভিড-১৯ মহামারির টেকনিক্যাল প্রধান মারিয়া ভ্যান কারখোভ বলেছেন, নভেল করোনা ভাইরাসের সংক্রমণের পদ্ধতি হিসেবে বায়ুবাহিত সংক্রমণ ও অ্যারোসল সংক্রমণের সম্ভাব্যতার বিষয়ে আমরা আলোচনা করছি।

গবেষকরা বলছেন, করোনা রোগীর হাঁচি বা কাশির সঙ্গে বড় অথবা ছোট ড্রপলেট তীব্র গতিতে বাতাসে মিশে যায়। সেগুলি বাতাসে ভর দিয়ে একটি নির্দিষ্ট দূরত্ব পর্যন্ত যেতে পারে। বাতাসে মিশে থাকা ওই ড্রপলেট শ্বাসের মাধ্যমে শরীরে গেলে যে কেউ সংক্রমিত হতে পারেন।

ইতিমধ্যেই গবেষকরা এসব যুক্তি তুলে ধরে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার কাছে একটি খোলা চিঠি পাঠিয়েছেন।

করোনা মহামারির প্রথম থেকেই বাতাসে এর অস্তিত্ব নিয়ে জোরালো কোন মন্তব্য করেনি ডব্লিউএইচও। তবে এবার করোনা ভাইরাসকে বায়ুবাহিত দাবি করে বিজ্ঞানীদের খোলা চিঠি পাওয়ার পর অনেকটা নাড়া দিয়ে উঠতে বাধ্য হলো সংস্থাটি।

মঙ্গলবার জেনেভায় প্রেস ব্রিফিংয়ে ডব্লিউএইচও’র সংক্রমণ প্রতিরোধ ও নিয়ন্ত্রণবিষয়ক টেকনিক্যাল প্রধান বেনেডেত্তা অ্যালাগ্রাঞ্জি বলেছেন, করোনা ভাইরাসের বায়ুবাহিত সংক্রমণের প্রমাণ হাজির হচ্ছে তবে এখনও তা চূড়ান্ত নয়।

তিনি বলেন, জনসমাগম স্থলে নির্দিষ্ট পরিবেশে, অতিরিক্ত মানুষ, বদ্ধ, আলো-বাতাস প্রবেশের যথাযথ ব্যবস্থা না থাকার মতো পরিবেশে বায়ুবাহিত সংক্রমণের বিষয়টি উড়িয়ে দেওয়া যায় না। যদিও এখন প্রমাণ সংগ্রহ ও পর্যালোচনা করা প্রয়োজন। এক্ষেত্রে আমাদের সমর্থন অব্যাহত থাকবে।

ডব্লিউএইচও’র এ কর্মকর্তা জানান, আগামী দিনে সংস্থাটি করোনা ভাইরাসের সংক্রমণের মাধ্যম নিয়ে একটি বৈজ্ঞানিক সারসংক্ষেপ প্রকাশ করবে।

মহামারির শুরুর থেকেই বলা হচ্ছিলো সংক্রমিত ব্যক্তির হাঁচি, কাশির মাধ্যমে ভাইরাসটি ছড়ায়। এছাড়া ভাইরাস থাকা কোনো কিছু স্পর্শ করার পর চোখ, নাক ও মুখ স্পর্শ করলেও সংক্রমিত হতে পারে ,এমন দাবিই করে আসছিল বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা।

চিত্রদেশ//এফ//

Related Articles

Back to top button